মোস্তাফিজুর রহমানের মতো দুর্দান্ত পেসার আছেন। আছেন সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এই দলের বোলিং আক্রমণে আছেন ডেথ ওভারে দারুণ বোলিং করা রুবেল হোসেনও। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচে নামের সুবিচার করতে কি পেরেছেন বাংলাদেশের বোলাররা?
এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচে ৩ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। মাশরাফি-রুবেলের সঙ্গে অন্য উইকেটটি পেয়েছেন খণ্ডকালীন বোলার সাব্বির রহমান। প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ এতটাই নির্বিষ, কে সবচেয়ে ভালো বোলিং করেছেন, সেটি বলার কি প্রয়োজন আছে?
পুরো ৫০ ওভার বোলিং করার সুযোগ পাননি বাংলাদেশের বোলাররা। ওভালে বাংলাদেশের দেওয়া ৩০৬ রানের লক্ষ্য ইংলিশরা পেরিয়েছে ৪৭.২ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে। একই মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত ম্যাচে বাংলাদেশ করেছে ১৬ ওভার। রুবেলের সৌজন্যে অ্যারন ফিঞ্চকে এলবিডব্লু করাটা ছিল বোলিংয়ে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি। আয়ারল্যান্ড সিরিজে ভালো খেলা মোস্তাফিজ এখনো উইকেটের দেখা পাননি। দুই ম্যাচে ১৪ ওভার বোলিং করেছেন, ৭৮ রান দিয়ে বাঁহাতি পেসার উইকেটশূন্য।
জিততে হলে প্রতিপক্ষকে অলআউট বা দ্রুত উইকেট ফেলে চাপে ফেলা কতটা জরুরি, সেটা বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজেই বুঝেছে। ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডকে ১৮১ রানে অলআউট করে ম্যাচটা মাশরাফিরা জিতেছিলেন ৮ উইকেটে। কিন্তু ইংল্যান্ডে এসে বাংলাদেশের বোলাররা কেন এতটা নির্বিষ হয়ে গেলেন? চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বোলাররা যে নিয়মিত সাফল্য পাচ্ছেন না, সেটিও তো নয়। প্রথম সাত ম্যাচের পাঁচটিতে অলআউট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
কাল কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিংয়ে জাদু না দেখাতে পারলে ব্যর্থতার লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরতে হবে মোস্তাফিজ-সাকিবদের। এমনিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের নিয়েই আলোচনা হয় বেশি। কিন্তু এবার বোলিং নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় যাত্রায় বড় ভূমিকা কিন্তু ছিল বোলারদেরই।
Source: Prothom Alo
0 comments:
Post a Comment