কলেজ বেলায় বড় ভাইয়েরা ধরিয়ে দিয়েছিলেন দুই লাইনের ছড়া, ‘২১শে জুন/নির্মলেন্দু গুণ।’ আমার বন্ধুবান্ধব কাউকে কাউকে দেখেছি, প্রেয়সীর কাছে লেখা চিঠির জন্য নির্মলেন্দু গুণের নির্বাচিতা কবিতা সংকলনটি ঘাটছে। কখনো তারা আবৃত্তি করতেন গুণের ‘মানুষ’, ‘যাত্রাভঙ্গ’, ‘ওটা কিছু নয়’ ইত্যাদি সব কবিতার দুই-দশ লাইন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দেয়ালের লিখা দেখে জেনেছি এটা গুণের কবিতার কোনো কবিতার লাইন। কিংবা কোনো কোনো প্রতিবাদী মিছিল থেকে ফিরে যখন আবৃত্তি শুনেছি
‘মননীয় সভাপতি ….। সভাপতি কে? কে সভাপতি?
ক্ষমা করবেন সভাপতি সাহেব,
আপনাকে আমি সভাপতি মানি না।’
তখন আমাদের রক্ত স্পন্দিত হয়ে উঠেছে। এটা নির্মলেন্দু গুণেরই ‘অসমাপ্ত কবিতা’র কয়েকটি লাইন। এইভাবে জীবনের বিভিন্ন সময়ে নির্মলেন্দু গুণকে আবিষ্কার করেছি। আজকের দিনে যখন কোনো আবৃত্তি প্রতিযোগিতা শুনি, অবশ্যসম্ভাবী ভাবেই সেখানে নির্মলেন্দু গুণের কবিতা পাওয়া যায়। তার এমন অনেক কবিতাই আছে, কবির নাম বলার আর অপেক্ষা রাখে না, চেনা যায়।
প্রেমিক, বিরহী, গৃহত্যাগি সন্ন্যাসি, সভার মাঝে বিদ্রোহি, হুলিয়া মাথায় নিয়ে ফেরা ফেরারি, বিপ্লবী, দার্শনিক সবার জন্যই তার কবিতা আছে। গণমানুষের সংগ্রামী স্লোগানে, জাতির সংকটে, সামাজিক বিতর্ক, সম্প্রদায়িক দাঙ্গা দূরীকরণেও তার কবিতা সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
একথা আজ অবলীলায়ই বলা যায়, নির্মলেন্দু গুণ বাংলা কবিতায় সবচেয়ে পাঠকপ্রিয় ও নান্দনিক কবি। অতিক্রান্ত ৭০ বছর জীবনের ৫০ বছরের অধিক সময়ই তার কবিতা যাপনের কাল। গত শতাব্দির মধ্য ষাট থেকে শুরু করে এই একবিংশ শতকেও তার কবিতার হাত প্রবলভাবেই উর্বর।
খুব বেশি প্রতীকি অর্থেও না প্রেমিক না বিপ্লবী বইটির নামটি উল্লেখ করা যায়। এটা তার আত্ম-অন্বেষারই বিশেষ দিক। তিনি এই দুই সত্তাকেই তীব্রভাবে ধারণ করেছেন। এই আত্ম-অন্বেষণের জায়গা থেকে নিজেকে তিনি জীবন, নারী, প্রকৃতি এবং স্বদেশের ভেতর দিয়ে খুঁজে ফিরেছেন। সমাজ-ব্যক্তিমানুষ সেখানে যেমন উঠে এসেছে, সমকালীন রাজনীতিও উঠে এসেছে তেমনি। তিনি নিজের বিশ্বাসে স্থির। যে কারণে কবিতায় তিনি কৃত্রিমতাকে প্রশ্রয় দিতে পারেননি। আর একারণেই সমকালীনতার ঊর্ধ্বেও তার কবিতা পাঠককে ছুঁয়ে যায়। আসলে সময়ের জন্মের সঙ্গে উচ্চ চিন্তাবোধ যুক্ত হলেই এমন হওয়া সম্ভব।
ত্রিশের দশকে আধুনিক কবিতার উন্মেষ ঘটে। সেই সময়ের কবিতায় যে বিষয়, আকাঙ্ক্ষা, উপমা, উৎপ্রেক্ষা পরবর্তী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পঞ্চাশের মনন্বতর এবং দেশ ভাগের মধ্য দিয়ে আলাদ হয়ে যায়। নির্মলেন্দু গুণের জন্ম ১৯৪৫ সালের ২১ জুন। বলা ভাল, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের গর্ভ-রাষ্ট্র পূর্ব পাকিস্তানে। পরবর্তীতে ’৫২-র ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে তা সুস্পষ্ট হয়। তাই তাকে দেশ বিভাগ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ক্ষত নিয়েই বেড়ে উঠতে হয়েছে। ভাষা আন্দোলন তাকে প্রথম স্বাধীকার বোধ দিয়েছে বৈকি। ’৫৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের আঁচ তার গায়েও লেগেছিল। পঞ্চাশের দশকের বাংলা কবিতায় যে আত্ম-স্বর নির্মাণ তাকে ষাটের দশককে কণ্ঠ দিয়েছে বলা যায়। ’৬২-র শিক্ষা আন্দোলনে তিনিও শোষণহীন সমাজ নির্মাণের দীক্ষায় দীক্ষিত হন। একদিকে স্বৈরশাসনের অন্ধকার অন্যদিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে রক্তাক্ত ভোরের দিকে এগিয়ে যাওয়া–এই দুইয়ের মধ্যে কবিতার উন্মেষ ঘটে নির্মলেন্দু গুণের।
তার কবিতায় প্রেম থাকলেও তা অনিবার্য বিপ্লবের সামনেই কবিকে দাঁড় করিয়ে দেয়। তাই কবি প্রেম কাতর হলেও শেষ পর্যন্ত বিপ্লবের মাঝেই নিজেকে আবিষ্কার করেন। আবিষ্কার করেন তার প্রেম। স্বাধীনতা-উত্তর সময়েও তার কবিতার স্বর, মেজাজ একই থেকে যায়। কারণ তখনও বাংলাদেশের উষর ভূমিতে ভাঙনের বেগ আসে। ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে পড়া, মর্মান্তিক ঘটনা, তারপর দীর্ঘ স্বৈরশাসনের বুটে চাপা পরে দেশ। কবি বুঝে ফেলেন দেশ স্বাধীনের যে স্বপ্ন তা মোটেই বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি করণীয় নির্ধারণ করে ফেলেন। সে সময় তার বইয়ের নাম,তার আগে চাই সমাজতন্ত্র।
অনেক সময় তার কবিতার সমালোচনা করতে গিয়ে এই সরাসরি, বক্তব্যধর্মী কিংবা স্লোগান উচ্চকিত বলা হয়। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, যে অর্থে তাকে অভিযুক্ত করা হয়, তার কবিতা সেই অর্থে প্রপাগান্ডাধর্মী নয় মোটেই। বরং গণমানুষের অনিবার্য দাবির সঙ্গে একান্ত, গণকবির যে ভূমিকা তিনি তাকেই নান্দনিক রূপ দিয়েছেন। তার কবিতা দারুণভাবেই নান্দনিক। তিনি নিজেই যেমন বলেন,
‘আমি সত্যসন্ধানী, স্বীকারোক্তিমূলক সাহিত্য ধারার লেখক। আমি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় আমার জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ সত্যকে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। আমি চেয়েছি আমার ভেতরের সত্য-আমিটিকে আবিষ্কার করতে। তার মুখোমুখি দাঁড়াতে। সামাজিক আমির পাশাপাশি, আমার আমি বলেও যে একটা আমি আছে—তার লীলাকেও আমি তুচ্ছ বলে ভাবিনি, বরং আমার রক্তের ভেতরে তার উপস্থিতিকে আমি প্রাণ ভরে উপভোগ করেছি।’
(নির্গুণের মুখপঞ্জি ও কাশবনের গল্প)
অস্বীকার করা সুযোগ নেই আমাদের দেশের কবিতা পাঠকের বড় অংশই মধ্যবিত্ত। আমাদের পাঠকের মধ্যবিত্তীয় সীমাবদ্ধতার সীমিত জল কখনো কখনো দুলে ওঠে নির্মলেন্দু গুণের কবি জীবনের মধ্যে। হেলাল হাফিজ, মহাদেব সাহা, বিশেষত আবুল হাসানের সঙ্গে তার বোহেমিয়ান জীবন যাপন, তার সংক্রামক দ্বারা অনেকেই আক্রান্ত হন। মানুষের মুখে মুখে ফেরে তার কবিজীবন। এখনও তার এই নৈনাগরিক শহরের বাইরে থাকা, কারো কারো মনে দোলা দেয়। তাদের বোঝা দরকার নির্মলেন্দু গুণ হচ্ছেন সততই কবি সত্তার মানুষ। যে কারণে বহু সুযোগ থাকলেও তিনি নিজেকে কোনো স্লোগানে, তোষণে বাঁধেননি। এখানেই তার কবিতার লাইন তাকেও উৎসর্গ করা যায়, ‘ছফুট দীর্ঘ সীমানাহীন অসীম আগুন।’
গতকাল ছিল এই কবি সত্তার কবির ৭১তম জন্ম দিন। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইকোলজি এন্ড অটিজম ফিল্ম ফোরাম ও জাতীয় কবিসভা’র পক্ষ থেকে নির্মলেন্দু গুণের দিনব্যাপি জন্মোৎসব আয়োজন করে। এর কর্মসূচি হিসেবে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শাহবাগস্থ পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার কক্ষে (নিচতলা) ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ ও ‘হুলিয়া’ চলচ্চিত্র দু’টি প্রদর্শন হয়। চলচ্চিত্র দু’টি তার কবিতার চলচ্চিত্র রূপ।
nimalendu-goon-2.JPGএরপর কবির ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কবিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় ৭১টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ও আলোচনা সভার মাধ্যমে। বিকেল ৫টা থেকে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কবির অনুপস্থিতি ও অন্যান্য কারণে তা সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শুরু হয়। বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় কবির অনুপস্থিতিতে কার্যক্রম শুরু হলেও অল্পক্ষণের মধ্যে সভায় যোগ দেন নির্মলেন্দু গুণ। অনুষ্ঠানের শুরুতে জন্মদিনের ৭১টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এর পরে একে একে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি কবিকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
ছড়াকার এম আর মঞ্জুর স্বাগত ভাষণের পর ছড়াকার আসলাম সানীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্য বক্তৃতা রাখেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি বন্ধু নূহ-উল-আলম লেনিন, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, কবি বিমল গুহ, ড. মুহাম্মদ সামাদ, সবেক সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, কবি রবীন্দ্র গোপ, সাংবাদিক সোহরাব হাসান, কবি ড. তপন বাগচী, কবি মিলন সব্যসাচী, , মাহবুব আজিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর ও আয়াত আলী পাটোয়ারি। বক্তৃতায় অনেকই কবিকে নিবেদন করে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। আবৃত্তি শিল্পী লায়লা আফরোজ নির্মলেন্দু গুণের ‘ছিন্নপত্র ১৯৭১’ কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান। এছাড়া কবি ও চলচ্চিত্রকার মাসুদ পথিক কবির ‘মানুষ’ কবিতা অবলম্বনে নির্মিতব্য ‘কবিগাছ’ চলচ্চিত্রের উদ্বোধন করেন নির্মলেন্দু গুণ। অনুষ্ঠানে নির্মলেন্দু গুণের ভক্ত অনুরাগিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কবি ও অনুবাদ রাজু আলাউদ্দিন, কবি মুজিব ইরম, কবি ওবায়েদ আকাশ, লেখক স্বকৃত নোমানসহ অনেকেই।
স্বাগত বক্তৃতায় ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস কবির ‘কসাই’ কবিতাটি আবৃত্তি করে বলেন,‘যত দিন আমরা সম্প্রদায়িতকতা দ্বারা তাড়িত হব, যত দিন আমরা বুঝতে পারবো না মানুষের শেষ পরিচয় হচ্ছে সে মানব সন্তান ততদিন পর্যন্ত নির্মলেন্দু গুণ ও তার কসাই কবিতা প্রবল ভাবে প্রাসঙ্গিক থাকবে।’
কবিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘আপনি ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’র কাব্য পঙক্তির মধ্যদিয়ে প্রেম ও বিপ্লবকে এক পর্যায় এনে দাঁড় করিয়েছিলেন।’
কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন,‘গুণ দা’ আমাদের পরিবারের একজন অভিভাবকের মতো। তার সব কবিতাই প্রায় আমার মুখস্ত ছিল।’
স্মৃতিকথার হাস্যরসে নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন,‘প্রথম জীবনে তিনি নাট্যকার হতে চেয়েছিলেন। নির্মলেন্দুর উন্মেষ আমার উন্মেষ বলে মনে হয়। কারণ ও যখন কবি হতে শুরু করে, আমি তখন নাট্যকার হতে শুরু করি।’
goon-1.jpgফুলেল শুভেচ্ছাস্নাত কবি নির্মলেন্দু গুণ তার শুভেচ্ছা বক্তৃতায় বলেন,‘আমি ভাবিনি আজ আমাকে এমন একটা অনুষ্ঠান মোকাবেলা করতে হবে। কারণ আমার জন্মদিন আমার গ্রামে, আমার স্কুলে হয়। সেখানে সারা দিন কবিতা আবৃত্তি গান করে ছেলে-মেয়েরা।’ ক্রিকেটপ্রিয় কবি বলেন,‘রাস্তায় আসতে আসতে দেখলাম হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। ভাবতে ভালই লাগছে, আমার জন্মদিনেও বৃষ্টি হয়।’
নির্মলেন্দু গুণের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকে জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আখ্যা দিয়ে ড. নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন,‘আমাদের সময় বাংলা বিভাগ ছিল কবিতা সংক্রামিত। কিন্তু এর মধ্যে নির্মলেন্দু গুণই ছিল প্রধান কবি। সবাই ছিল ওর ভক্ত।’
এক সময়ের সহপাঠী কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন কবিকে নিয়ে, গুণকে নিয়ে তার সদ্য লেখা কবিতা পাঠ করে শোনান। তিনি বলেন,‘অনেকে নিরিক্ষাপ্রবণ হলেও নির্মলেন্দু তা নন, আমাদের মধ্যে তার ছিল শীর্ষ মৌলিক সত্তা। অনেকে অনেক সত্তার কবি হয়, কিন্তু নির্মলেন্দু কবি সত্তার কবি।’
মূলত কবি হিসেবে পরিচিত হলেও সাহিত্যের অন্যান্য শাখায়ও নিজেকে বিকশিত করেছেন নির্মলেন্দু গুণ। শুরুতে তিনি নাটক রচনায় প্রয়সী হয়েছিলেন। তার রচিত প্রযুক্তিনির্ভর নাটক ‘এ যুগের আকবর’ ১৯৬৭ সালে মঞ্চস্থ হয়। এ নাটকে রেডিও, টিভি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান টিভিতে তার লেখা নাটক প্রচারিত হয়। ওই নাটকে তিনি নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। তার আপন দলের মানুষ গল্পগ্রন্থটি শৈলি ও চিন্তায় গুরুত্বপূর্ণ। ছড়ার বই ১৯৮৭ সোনার কুঠার নান্দনিকতার সঙ্গে লক্ষ্যভেদি দ্যোতনায় সমুন্নত। তাছাড়া আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ আমার ছেলেবেলা, আমার কণ্ঠস্বর, আত্মকথা ১৯৭১ একটা সময়ের প্রতিনিধিত্ব করে। রক্ত আর ফুলগুলি নামে একটি অনুবাদ গ্রন্থও রয়েছে তার। সাম্প্রতিক সময়ে ছবি আঁকায়ও তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় নব্বইয়ের কোঠায়। কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ কবি লাভ করেছেন অনেক সম্মাননা ও পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, একুশে পদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, কবি আহসান হাবীব সাহিত্য পুরস্কার প্রভৃতি।
১৯৪৫ সালের ২১ জুন, (৭ আষাঢ়, ১৩৫২) নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার কাশবন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। গতকাল ছিল তার ৭১তম জন্মদিন। জন্মের এই বিষয়টাকেই তিনি চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তার ‘স্ববিরোধী’ কবিতা।
“জন্মের সময় আমি খুব কেঁদেছিলাম,
এখন আমার সবকিছুতেই হাসি পায়।
আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম,
এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি।”
Source:bdnews24
0 comments:
Post a Comment