Daily bangla news by JasHim News 24 all bd news live 24 hours in this field thanks for watching.

Tuesday, June 6, 2017

‘সৌভাগ্য’টাই কাজে লাগাতে চান সাকিব

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৮২ রান করে বাংলাদেশ জিতবে—‘অতি আশাবাদী’ মানুষ ছাড়া এমন ভাবনা কারোরই ছিল না। তবে বৃষ্টির কারণে মাঝপথে খেলাটা পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ার একটা প্রার্থনা ছিল অনেকেরই। যাতে অন্তত একটা পয়েন্ট বাংলাদেশ ঘরে নিতে পারে। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের সেই প্রার্থনাটাই শেষ পর্যন্ত ফলে গেল—জেতা ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হলো অস্ট্রেলিয়াকে। এটা বাংলাদেশের সৌভাগ্য কি না, সে আলোচনাটা তো আছেই। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় আলোচনা হচ্ছে হঠাৎ কুড়িয়ে পাওয়া সেই ‘সৌভাগ্য’ যেন বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারে। সাকিব আল হাসানের কণ্ঠেও থাকল সে আশাবাদই, ‘এখন আমাদের কাজ হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচটা জেতা। একটু ভাগ্য তো আছেই আমাদের সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়ার দুর্ভাগ্য। আমাদের সৌভাগ্য যে, এমন ম্যাচের পরেও আমাদের সুযোগ থেকে গেল। এটাতে আসলে কারও হাত নেই। আশা করি এই সৌভাগ্য আমরা কাজে লাগাতে পারব।’
নিজের আউটটি নিয়ে একধরনের অসন্তোষ আছে সাকিবের মধ্যে। ট্রাভিস হেডের বলে তাঁর বিপক্ষে দেওয়া এলবিডব্লুটা একটু অদ্ভুতই লেগেছে তাঁর কাছে। এগিয়ে আসার পর কোনো ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে এমন এলবিডব্লু  দিতেও নাকি তিনি আগে কখনো দেখেননি, ‘সাধারণত আম্পায়াররা এমন আউট দেয় না। এখন আম্পায়ার যদি আমারটা আউট মনে করে, তাহলে কিছু বলার নেই। আমি আগে এমন আউট দিতে দেখিনি। ব্যাটসম্যান এগিয়ে এসেছে, আম্পায়ার এলবিডব্লু  দিয়েছে, আমি তো অন্তত দেখিনি। যা হোক, আম্পায়ার যখন দেওয়া শুরু করেছেন, এটার যেন ধারাবাহিকতা থাকে।’
তামিমের সঙ্গে নিজের ৬৯ রানের জুটিটা আরও বড় হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য সাকিবের। সেটা হলে ম্যাচের চেহারাই পাল্টে যেত বলে অভিমত তাঁর, ‘তামিমের সঙ্গে আমার জুটিটা যদি বড় হতো, আমি যদি আরও কিছুক্ষণ থাকতে পারতাম, তাহলে আমাদের স্কোর ২৬০ হতে পারত। আজকের উইকেটটা অন্য রকম ছিল। বল ওঠানামা করছিল। অন্য ম্যাচগুলোর মতো এটা ৩২০-৩৩০ রান হওয়ার উইকেট না। মেঘলা আবহাওয়ার কারণে বলে মুভমেন্টও ছিল। আমি তামিমের সঙ্গে থাকলে খেলাটা অন্য রকম হতে পারত। তামিম আরও চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারত।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার অনভ্যাস একটা সমস্যা তৈরি করেছে বলে মনে করেন সাকিব, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছয় বছর পর খেললাম। দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই ওদের সঙ্গে খেলেনি। আমরা কয়েকজনই খেলেছি। আমি নিজের কথা বলতে পারি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম খেলার সময় আমার যে অনুভূতি ছিল, সেটাই আজ (গতকাল) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমাদের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের হয়েছে। সে তুলনায় নিউজিল্যান্ড আমাদের অনেক পরিচিত প্রতিপক্ষ।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা সাকিব জিততে চান মনেপ্রাণেই। তবে এ জন্য দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়কে অবদান রাখতে হবে, ‘আমরা কখনোই এমন দল ছিলাম না যে দু-একজন খেলোয়াড়ের ওপর ভর করে আমরা ম্যাচ জিতব। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জিততে হলে ৪–৫ জনকে অবদান রাখতে হবে। আমাদের চেষ্টা থাকবে ভালো করার।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের টিম কম্বিনেশনটা সাকিবের দৃষ্টিতে তুলনামূলক ভালো ছিল। এমন কম্বিনেশনই ম্যাচ জয়ের জন্য আদর্শ বলে মত তাঁর, ‘ওয়ানডেতে সাধারণত ৭ জন ব্যাটসম্যান ও ৪ জন বোলার খেলানো হয়। এর মধ্যে একজন থাকে অলরাউন্ডার। আমার মনে হয় ম্যাচ জেতার কথা মাথায় রাখলে আজকের কম্বিনেশনটা অনেক ভালো ছিল। তবে এটা ঠিক যে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে হবে। প্রতিদিন হয়তো সবার ব্যাটিং ভালো হবে না। কিন্তু যাদের ভালো করার কথা তাদের অবশ্যই ভালো করতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ কি সবচেয়ে সেরা? সাকিবের কাছে তেমন কিছু মনে হয়নি, ‘ওদের বোলিং আক্রমণ সেরা—এটা বলা বোধ হয় ঠিক নয়। আমি আর তামিম যদি জুটিটা বড় করতে পারতাম, তাহলে আর অস্ট্রেলিয়ার বোলিংটা এমন মনে হতো না। এটা ঠিক যে ওদের বোলিং ভালো, দুর্দান্ত পেস আক্রমণ তাদের। তবে ওদের বোলিংয়ে দুর্বলতাও আছে।’
তামিমকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত সাকিব। এমন দুর্দান্ত ফর্ম তামিম নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ধরে রাখবে বলে আশা তাঁর, ‘তামিম অসাধারণ ব্যাটিং করছে। বেশ কিছু দিন ধরেই সে আমাদের দলের ধারাবাহিক পারফরমার। আশা করি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচেও সে ভালো করবে। তামিমের খুব ভালো সময় যাচ্ছে, সে যেন এই সময়টা যতটা সম্ভব লম্বা করতে পারে। সেই সঙ্গে আমরা বাকিরা যারা আছি, তারাও যেন দলে ভালোমতো অবদান রাখতে পারি। আমার আশা এটিই।’
Source: Prothom alo
Share:

0 comments:

Post a Comment

Facebook

Search This Blog

News Archive

Blog Archive