Muhammad Yunus |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে লেখা এক চিঠিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক সংক্রান্ত তদন্ত থামাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলেকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা চাপ দিয়েছিলেন কি না তা জানতে চেয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান চাক গ্রাসলি।
যুক্তরাষ্ট্রের তত্কালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এ বিষয়ে সরকারিভাবে তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন কি না বা কোনো প্রকার দূতিয়ালি করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখছেন সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর চাক গ্রাসলি।
গ্রাসলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে লিখেছেন, আবারও সেক্রেটারি ক্লিনটনের কর্মকাণ্ড যৌক্তিক সন্দেহ জাগ্রত করেছে যে তিনি নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের ন্যায়পরায়ণতার ব্যাপারে মানুষের আস্থা খর্ব করেছেন।
গ্রাসলি লিখেছেন, বিভিন্ন ই-মেইলে দেখা গেছে, হিলারি ক্লিনটন ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা এবং ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের কর্মীরা ড. ইউনূসকে তাঁর ব্যাংক থেকে অপসারণ করার ওপর কড়া নজর রেখেছিলেন। এমনকি বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ‘ইউনূসকে নিয়ে সরকারি তদন্ত অবসানের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে’ প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন।
ড. ইউনূসকে ‘ব্যবসায়ী’ আখ্যায়িত করে সিনেটর গ্রাসলি বলেন, তিনি হিলারির পারিবারিক দাতব্য সংস্থা ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের দাতা ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে এই বলে হুমকি দেওয়া হয় যে, যদি তিনি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের তদন্ত থামাতে সহায়তা না করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আর্থিক তদন্ত (আইআরএস অডিট) করা হবে।
গ্রাসলি বলেন, ‘বিচার দপ্তরের কাছে ২০১৬ সালের আগস্টে লেখা চিঠিতে আমি বলেছি, কেন্দ্রীয় আইন মোতাবেক নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তারা সেসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না যা তার নিজের আর্থিক স্বার্থ বা তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন বা ব্যক্তির আর্থিক স্বার্থের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নয়। ’
সিনেটরের ভাষ্য, ‘যদি হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ পররাষ্ট্র সম্পর্ক স্বার্থ ছাড়া স্রেফ ক্লিনটন ফাউন্ডেশন-উৎসরিত ব্যক্তিগত ও আর্থিক সম্পর্কের কারণে নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীন তদন্তে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করে থাকেন, তবে তা হবে অগ্রহণযোগ্য। ’
গ্রাসলি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর সরকারি পদের সঙ্গে পারিবারিক ফাউন্ডেশনকে মিলিয়ে ফেলা যথাযথ নয়। (বাংলাদেশের) প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে আইআরএস অডিটের হুমকি দেওয়ার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো ভূমিকা রয়েছে কি না তা নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ। ’
টিলারসনকে লেখা চিঠিতে সিনেটর গ্রাসলি জানতে চেয়েছেন, পুরো বিষয়টি পররাষ্ট্র দপ্তরের মহাপরিদর্শক বা বিচার বিভাগের কাছে পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল কি না। পররাষ্ট্র দপ্তরের অভিযুক্ত এক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশে মার্কিন মিশনের তত্কালীন ডেপুটি চিফ জন ডানিলোয়িেসর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দিতেও বলেছেন সিনেটর।
Source:kalerkantho
0 comments:
Post a Comment