Daily bangla news by JasHim News 24 all bd news live 24 hours in this field thanks for watching.

Sunday, June 11, 2017

বিশ্বকাপের চেয়ে এগিয়ে যে সাফল্য

“বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল নাকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনাল, কোনটি এগিয়ে?” তুলনার প্রশ্নে বরাবরই আগ্রহ থাকে না মাশরাফি বিন মুর্তজার। এই প্রশ্নেও যথারীতি নিজস্ব ঢংয়েই উত্তর দিলেন, “দুই টুর্নামেন্টের মাহাত্ম তো দুই রকম, দুটির সাফল্যও আলাদা রকম।”
কার্ডিফ সিটি সেন্টারে হাঁটতে হাঁটতে দুই টুর্নামেন্টের বিশেষত্বও নিজের মতো করে বোঝালেন মাশরাফি, “এই টুর্নামেন্টে সেরা ৮ দল খেলছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক। মানও ভালো। তবে বিশ্বকাপ তো বিশ্বকাপ। সেটির নামের ভারই অনেক বেশি। দুটির একটিকে বেছে নেওয়া কঠিন।”

তবু একটিকে বেছে নিতে বললে? অধিনায়ক তবু ভাঙেন না, “যে যার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে পারে। যার যার নিজের মতের ব্যাপার।”

মাশরাফির নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি কি? কোনটা এগিয়ে? এবার বিপদে পড়ে গেলেন অধিনায়ক। হাসলেন, ভাবলেন একটু। জানিয়েই দিলেন নিজের মত, “আমার কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালই এগিয়ে…।”

নিজের মতের পক্ষের যুক্তিটাও তুলে ধরলেন অধিনায়ক।

“আমি এটিকে এগিয়ে রাখছি এই গ্রুপের কারণে। অন্য গ্রুপটায় থাকলে হয়ত এগিয়ে রাখতাম না। উপমহদেশের দলগুলির সঙ্গ গ্রুপে থাকলে আমরা জিততেই পারতাম। এই গ্রুপে একটি ম্যাচ জেতাও খুব কঠিন ছিল। সেই গ্রুপ থেকে সেমিতে উঠতে পারা অসাধারণ অর্জন।”

“সত্যি বলতে, আসার আগে আমি ভাবছিলাম, যদি কিছু করা যায় তা হয়তো ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সম্ভব। ওদের বোলিংটা অন্য দুই দলের তুলনায় একটু দুর্বল মনে হয়েছিল। এখন যদিও দারুণ করছে। তবে আমি বলছি আগের কথা। তখন ভাবিনি নিউ জিল্যান্ডকে হারাতে পারব। কিন্তু আমরা হারিয়েছি, সেটাও আবার জিততেই হবে, এমন চাপ মাথায় নিয়ে।”

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় পাওয়া একটি পয়েন্টকে গুরুত্বপুর্ণ মানছেন মাশরাফি। তবে শেষের সমীকরণে নিজেদের কৃতিত্বই বেশি দেখছেন।

“আগেও বলেছিলাম, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১ পয়েন্ট পাওয়া আমাদের জন্য অনেক লাকি হতে পারে। ২০১৫ বিশ্বকাপেও যেটা হয়েছিল। তবে এটা্ও ঠিক, অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্যটা তার পরও নিজেদের হাতেই ছিল। শেষ ম্যাচে আমরা নিজেদের কাজটা করেছি। ওরা পারেনি বলেই বাইরে যাচ্ছে।”

২০১৪ সালের শেষ দিকে মাশরাফি নেতৃত্ব পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য যাত্রার শুরু। তবে বিশ্ব আসরের সাফল্য তার পরও একটু আলাদা। দুটি আইসিসি টুর্নামেন্টে স্মরণীয় সাফল্যে নেতৃত্ব দিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মানছেন মাশরাফি।

“অধিনায়ক হিসেবে এটা বড় অর্জন বলতে পারি। গোটা দলের অর্জন। সবার প্রচেষ্টা্তেই এই সাফল্য। আমার অধিনায়কত্বে এমন দুটি আসরে কোয়ার্টারে, সেমিতে খেলছি আমরা, এটা অবশ্যই বড় পাওয়া।”

বড় পাওয়া বাংলাদেশে ক্রিকেটেরও। বড় পাওয়া এই দেশের। গত আড়াই বছরে বারবার হাসির উপলক্ষ্য এনে দেওয়া দলটি দেশকে আনন্দে ভাসালো আরও একবার।
Source: Bdnews24
Share:

0 comments:

Post a Comment

Facebook

Search This Blog

News Archive

Blog Archive