শাকিব খানকে বহিষ্কার করার ঘোষণা শুনে হতবাক হয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও চিত্রনায়িকা অপু। তিনি বলেন, ‘শাকিব ১৮ বছর ধরে এই শিল্পের জন্য কাজ করছেন। বহু হিট-সুপারহিট সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন। তাঁকে এভাবে বহিষ্কারের ঘোষণায় আমি হতবাক হয়েছি।’
গতকাল শনিবার প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে কথাগুলো বলেন অপু।
শাকিবের কথা উল্লেখ করে অপু বলেন, ‘চলচ্চিত্রের স্বার্থের কথা ভেবে সে নিজের সুখ-শান্তি, সাধ-আহ্লাদ সব বিসর্জন দিয়ে দিন নেই, রাত নেই শুধু শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে। টানা ১৮-২০ ঘণ্টাও কাজ করতে হয়েছে তাকে। সিনেমার শুটিংয়ের কারণে দিনের পর দিন মা-বাবা, ভাইবোন, স্ত্রী-সন্তানদের কাছ থেকেও তাকে দূরে থাকতে হয়েছে। এমনকি অনেক ঈদের দিনও শাকিবকে শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখেছি।’
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে চলচ্চিত্রের ১৬ সংগঠন নিয়ে গঠিত নতুন সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে শাকিব খানকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়। শাকিব খান সম্পর্কে এমন সিদ্ধান্তের কথাটি নাকি শুরুতে বিশ্বাস করেননি অপু। পরে সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও দেখার পর বিশ্বাস করতে বাধ্য হন তিনি।
অপু বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষই ভুল করে। কেউই কিন্তু ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। চলচ্চিত্র পরিবার নামের নতুন সংগঠনটির পক্ষ হয়ে যাঁরা শাকিব খানকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ আমার সিনিয়র, কেউ সহশিল্পী, কেউ বা সমবয়সী, আবার অনেকে জুনিয়র। তাঁদের সবার উদ্দেশে আমি বলতে চাই, কারও সম্পর্কে এতটা কনফিডেন্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেই মানুষটাকে অন্তত একটিবার হলেও রিমাইন্ডার দেওয়া দরকার। তা ছাড়া শাকিবকে নিয়ে যখন এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছিল, তখন কিন্তু সে দেশেও নেই। সামনে ঈদ। এত বড় একটা উৎসবের বা আনন্দের দিনের আগে এমন একটি সিদ্ধান্তে আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি।’
অপু আরও বলেন, ‘কেউ তাঁকে ছোট, কেউবা বড় ভাই আবার কেউ দীর্ঘদিনের সহকর্মী ভেবে যদি একবার তাঁর সম্মানের দিকে তাকাতেন, তাহলে ভালো হতো। আর সিনিয়র হিসেবে যাঁরাই ছিলেন, তাঁরা আরও বেশি গর্বের থাকতেন। আমি মনে করি, মানুষের জীবনে রাগ হচ্ছে প্রধান শত্রু। এখানে রাগের বশে নানা ধরনের কথাবার্তা চালাচালি হচ্ছে। চলচ্চিত্রের প্রতিটি মানুষ কিন্তু একটা পরিবার। তাই আমি বলব, সবাইকে রাগ-ক্ষোভ ভুলে নিজেদের মধ্যে কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে।’
Source: Prothom Alo
0 comments:
Post a Comment