Daily bangla news by JasHim News 24 all bd news live 24 hours in this field thanks for watching.

Thursday, July 13, 2017

সেই দুই কিশোরীর দায়িত্ব নিল সরকার By jasHim bangla News


অভাবের তাড়নায় ভারতের মধ্যপ্রদেশে সম্প্রতি দুই কিশোরী মেয়ের কাঁধে জোয়াল তুলে দিয়ে বাবার জমি হালচাষ করার ঘটনার খবর সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন ও বিজেপি নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদি সরকার।

 প্রথমে বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত সেই দুই কিশোরীর দায়িত্ব নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য প্রশাসন। সেই সঙ্গে কৃষক বাবা সরদার বারেলাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।

সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, চাষি সরদার বারেলার দুই মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। এছাড়া কৃষক বারেলাকে চাষের সামগ্রী কিনে দেওয়া হবে।

কৃষক সরদার বারেলা ও দুই কন্যার খবর জানতে পেরে কর্নাটকের কৃষিমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার, তাদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায়তার কথা জানান।

মধ্যপ্রদেশের সেহর জেলার ২০ শতাংশ বাসিন্দা দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন। আদিবাসী প্রভাবিত এই এলাকার প্রধান পেশা কৃষিকাজ। গত এক মাসে আর্থিক অনটনের কারণে মধ্যপ্রদেশে ৫১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেন। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ছিল সেহর জেলায়।

এর আগে সরদার বারেলা জানিয়েছিলেন, লাঙল চালাতে বলদ কেনার মতো টাকা নেই তার। তাই মেয়েদের দিয়ে লাঙল চালিয়ে হালচাষ করছেন তিনি। তার দুই কন্যা। ১৪ বছরের রাধিকা আর ১১ বছরের কুন্তীকে টাকার অভাবে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন তারা বাবার হালচাষে নিয়মিত সহযোগিতা করে।

গত মাসেই মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে বিক্ষোভ করতে গিয়ে ছয় চাষির মৃত্যুর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকদের আন্দোলন শুরু হয়। এরপর মধ্যপ্রদেশের সেহর জেলার বসন্তপুর পাঙ্গড়ি এলাকায় নিজের মেয়েদের দিয়ে হালচাষ করানোর ঘটনা কৃষকদের চরম আর্থিক সংকটের চিত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লজ্জায় ফেলে দেয়।
Souce:Samakal
Share:

কার দোষে চিকুনগুনিয়া By JasHim bangla News 24


 ২০১৬-১৭ অর্থবছরে (জুলাই ২০১৬ থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত) মশক নিধন বাবদ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ব্যয় করেছে ৩৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। গত পাঁচ বছরে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন ব্যয় করেছে ১১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটেও নতুন করে আরও কিছু ওষুধ কেনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। তার পরও রাজধানীতে মশার উপদ্রব কমেনি। মশক নিধন কার্যক্রমও মানুষের চোখে পড়ে না। মশার ওষুধ কেনা ও এর সঠিক ব্যবহার নিয়ে কয়েক দশক ধরে চলছে শুভঙ্করের ফাঁকি। অনেকেরই প্রশ্ন, মশক নিধনের টাকা যায় কোথায়। সম্প্রতি এডিস মশার কামড়ে নগরবাসী ভয়াবহ চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হতে থাকলে এ বিপর্যয়ের চালচিত্র আবারও সবার সামনে উঠে আসে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে মশক নিধনে সম্পৃক্ত ফগারম্যানদের দেখাই মেলে না। প্রতিদিন ওষুধ স্প্রে করার প্রয়োজন থাকলেও ১০-১৫ দিন পর পর ওষুধ স্প্রে করেন তারা। ফলে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না নগরবাসী।


তবে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, 'চিকুনগুনিয়ার খবর পাওয়ার পরই প্রতিটি ওয়ার্ডে জনবল আরও বাড়ানো হয়েছে। দুইজন করে অতিরিক্ত লোক দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদগুলোতে।'


ওষুধে যখন ভেজাল :অভিযোগ রয়েছে, মশার ওষুধ কেনায় সম্পৃক্ত সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে মানহীন ওষুধ নিয়ে থাকেন। তবে ২০১১ সালের ২০ আগস্ট বিষয়টি হাতেনাতে ধরা পড়ে। ঠিকাদার মিজানুর রহমান খান ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকায় ৫০০ ড্রাম এডাল্টিসাইড ওষুধ সরবরাহ করেন। এক পর্যায়ে এ ওষুধ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা যায়, ড্রামগুলোতে কোনো ওষুধই নেই।


বর্তমান দুই সিটি করপোরেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) দরপত্রের মাধ্যমে ওষুধ সংগ্রহ করে। এ ওষুধ খামারবাড়ির প্লান্টেশন উইং, গাজীপুরের এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও মহাখালীর আইইডিসিআর থেকে পরীক্ষা করা হয়। তিনটি পরীক্ষা রিপোর্টে ওষুধের মান ঠিক থাকলে ডিএনসিসি ওষুধ নেয়। ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল ইসলাম বলেন, 'এত পরীক্ষা পর আর কোনো ভেজাল থাকার কথা না।'


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আগে দরপত্রের মাধ্যমে ওষুধ কিনলেও গত কয়েক বছর ধরে বাজারমূল্যের চেয়ে তুলনামূলক বেশি দামে নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডের কাছ থেকে ওষুধ সংগ্রহ করছে। এসব ওষুধও তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। তবে এই পরীক্ষা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ পরীক্ষার সময় সিটি করপোরেশনের কোনো প্রতিনিধি থাকেন না। এমনকি মাঠপর্যায়ে ব্যবহারের সময় কখনও কখনও নমুনা সংগ্রহ করেও মান যাচাই করা হয় না।


এ প্রসঙ্গে দুই সিটি করপোরেশনেরই দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, 'এডাল্টিসাইড ওষুধে পানি মেশানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ এতে ধোঁয়া হয় না। একজন ফগারম্যানকে প্রতিদিন ৩০ মিলিলিটার লার্ভিসাইড ওষুধ দেওয়া হয়, যার দাম ৪৫ টাকা। প্রতি ৬ মিলিলিটার ওষুধে ১০ লিটার পানি মিশিয়ে সেটা ব্যবহার করতে হয়। এই ওষুধ বাইরে বিক্রি করতে গেলে কেউ কেনে না। ৩০ টাকার ওষুধ বড়জোর ১০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। ১০ টাকার জন্য কোনো ফগারম্যান হয়তো এমন করবেন না।'


প্রয়োজন প্রতিদিন, ছিটানো হয় মাসে দু'দিন: নগরবাসীর অভিযোগ, সপ্তাহে দু'দিন মশার ওষুধ স্প্রে করার কথা। অথচ কখনও কখনও এক মাসেও ফগারম্যানদের দেখা পাওয়া যায় না। সম্প্রতি এ নিয়ে ডিএনসিসির কাউন্সিলররা মেয়রের কাছে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে মেয়র ফগারম্যানদের পরিচালনা ও মশার ওষুধ স্প্রে করার দায়িত্ব কাউন্সিলরদের হাতে ছেড়ে দেন। নগরবাসীর আরও অভিযোগ, স্প্রে করা ওষুধ থেকে কেবলই কেরোসিনের গন্ধ আসে। এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. শেখ সালাহউদ্দিন ও ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল ইসলাম বলেন, 'এডাল্টিসাইড ওষুধে ৯৯ দশমিক ৪ শতাংশই থাকে কেরোসিন। আর দশমিক ৬ শতাংশ থাকে ওষুধ। তাই কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া অমূলক নয়।'


কাজে ফাঁকি দেয় ফগারম্যানরা: ওষুধ ছিটানোর দায়িত্ব পালনকারী একজন ফগারম্যান প্রতিদিন মাত্র ৮০ টাকা মজুরি পান। মশা নিয়ন্ত্রণ রাখতে মজুরি বাড়ানো ছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০ থেকে ৫০টি ফগার মেশিন ও ২৫ থেকে ৬০ জন ফগারম্যান থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে প্রতিটি ওয়ার্ডে ফগারম্যান রয়েছে পাঁচজন করে। তারা ১০ দিনে দু'বার স্প্রে করতে পারে। এ প্রসঙ্গে ডিএনসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা জানান, তার ওয়ার্ডে পাঁচটি মেশিন ও সাতজন লোক আছে। অথচ প্রয়োজন অন্তত ১৫টি মেশিন ও ২০ জন লোক। যেসব ওয়ার্ডের আয়তন দ্বিগুণ, সেগুলোতে দ্বিগুণ মেশিন ও জনবল প্রয়োজন।


Souce:Samakal
Share:

বনানীতে ধর্ষণ: সাফাতসহ পাঁচজনের বিচার শুরু By JasHim Bangla News

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার দুই বন্ধুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর বিচার শুরু হলো।

 ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সফিউল আজম বৃহস্পতিবার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

আগামী ২৪ জুলাই এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করা হলো তারা হলেন, আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ,তার বন্ধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘ই-মেকার্স’ এর কর্মকর্তা নাঈম আশরাফ,ঢাকার পিকাসো রেস্তারাঁর অন্যতম মালিক রেগনাম গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ এবং সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী।

অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য তাদের সবাইকে এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

তাদের পক্ষে শুনানি করেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা আব্দুর রহমান হাওলাদার, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মোহাম্মদ নজিবুল্লা হিরু, মাহবুব আহমেদ ও খায়রুল ইসলাম লিটন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ আদালতের বিশেষ কৌঁসুলি আলী আকবর।

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে বনানী থানায় মামলাটি করেন এক ছাত্রী। এরপর সাফাত ও তার বন্ধু সাদমানকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাঈম আশরাফকে মুন্সিগঞ্জ থেকে এবং রহমত আলী ও বিল্লাল হোসেন ঢাকায় গ্রেফতার হন।



ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত না পাওয়ার কথা জানালেও গাড়িচালক বিল্লাল ছাড়া বাকি চার আসামিই নিজেদের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

Source:Samakal
Share:

কোহলির এ কেমন 'হাস্যকর' ভুল! By JasHim news 24

ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি দেশটির নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিতালি রাজকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে হাস্যকর ভুল করে বসেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে অনুসারীদের হাসাহাসির কারণে সেই পোস্ট দ্রুতই মুছে ফেলেন ভারতীয় ক্রিকেটের সেনসেশনাল বয়।

বুধবার নারী বিশ্বকাপের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি বিশ্বরেকর্ড গড়েন মিতালি। প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ হাজার রান করার পাশাপাশি মেয়েদের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের মালিকও বনে তিনি। দারুণ কীর্তির জন্য মিতালিকে অভিনন্দন জানাতে দেরি করেননি কোহলি। তবে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ফেসবুকে অভিনন্দন বার্তায় মিতালির জায়গায় ভারতের নারী দলের ব্যাটসম্যান পুনম পাউটের ছবি ব্যবহার করেন। বিষয়টি হাস্যরসের সৃষ্টি করলে দ্রুতই তা 'রিমোভ' করে দেন কোহলি।

ইংল্যান্ড নারী দলের সাবেক ক্রিকেটার শার্লট এডওয়ার্ডস ৫৯৯২ রান নিয়ে এতদিন শীর্ষে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১১৪ বলে ৬৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলার পথে তাকে ছাড়িয়ে যান মিতালি রাজ।

মিতালির কীর্তির দিনে ব্যাট হাতে ঝলক দেখান পুনম; ভুলে যার ছবি ব্যবহার করেছিলেন কোহলি। এলিস প্যারিস বলে ডিপ বেকওয়ার্ড স্কয়ারে নিকোলে বোল্টনকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ১৩৬ বলে ১০৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন পুনম।

Souce:Samakal
Share:

Tuesday, July 11, 2017

হরমোনের রোগবালাই, সচেতনতা চাই By Daily Bangla news

দেহের কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্য অনেক গ্রন্থি বা গ্গ্ন্যান্ড কাজ করে। এগুলো হরমোন নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে। এদের মধ্যে জীবন রক্ষাকারী গ্রন্থি নামে পরিচিত অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি। কারণ শারীরিক অথবা মানসিকভাবে গুরুতর অসুস্থ হলে এই গ্রন্থিনিঃসৃত হরমোনই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. এমএ জলিল আনসারী।

 অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি

অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি এত জটিল কাজ করলেও আকারে কিন্তু বেশ ছোট। কিডনির ওপরে এরা টুপির মতো অবস্থান করে। ছোট হলে কী হবে এ গ্রন্থির বাইরের অংশ তিন শতাধিক হরমোন নিঃসরণ করে। এদের একত্রে স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন বলা হয়।

স্টেরয়েড

স্টেরয়েডের কথা মোটামুটি সবারই জানা। মাঝে মাঝে ক্রীড়াবিদদের ড্রাগ টেস্ট করা হয়। অনেক ক্রীড়াবিদ তাদের নৈপুণ্য বাড়াতে ওষুধ ব্যবহার করেন। এটাও কিন্তু স্টেরয়েড। এডরেনাল গ্রন্থির ভেতরের অংশ থেকে নিঃসৃত আরেক রকমের হরমোনকে ক্যাটকোলামাইন জাতীয় হরমোন বলা হয়। স্টেরয়েড ও ক্যাটকোলামাইন দুটোই শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। কোনোটির অভাব হলে শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে।

এডিসনস

এডরেনাল গ্গ্ন্যান্ডের কার্যকারিতা কমে গেলে অথবা নষ্ট হয়ে গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কমে যায়। ফলে সামান্য আঘাতে অথবা সাধারণ রোগেই রোগী মৃত্যুবরণ করতে পারে। আবার এ হরমোন বেশি হলেও শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। কিন্তু এ রোগগুলো নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিন্দুমাত্র সচেতনতা দেখা যায় না। এডরেনাল গ্গ্ন্যান্ডের হরমোন কমে গেলে যে রোগ হয় তাকে এডিসনস ডিজিস বলা হয়।

উপসর্গ

এ রোগে আক্রান্ত রোগীর শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে, রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়, শরীরের ওজন কমে যায়, রক্তচাপ কমে যায়, ত্বকে কালো অথবা সাদা দাগ বা ছাপ দেখা যায় এবং শরীরের নানা স্থানে ঘন ঘন ইনফেকশন বা সংক্রমণ হতে পারে। এ রোগের উপসর্গ ততটা সুনির্দিষ্ট নয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগের লক্ষণগুলো অনেকটা ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। এ রোগ সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে না।

তা ছাড়া প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগ নির্ণয় করতে হলে যে পরীক্ষা করা প্রয়োজন তাও আমাদের দেশের সর্বত্র প্রচলিত নেই। তবে বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে এ রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব। রোগ নির্ণয় সঠিক হলে এ রোগ পুরোপুরি সারিয়ে তোলা সম্ভব।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে শরীরে এডরেনাল গ্গ্ন্যান্ডের হরমোনের আধিক্য দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীর ওজন বেড়ে যায়, মুখাবয়ব গোলাকার হয়ে ক্ষেত্রবিশেষে পূর্ণচন্দ্রাকৃতির মতো হতে পারে, ত্বক ফেটে গিয়ে লালচে দাগ হয়ে যায়, মোটা হওয়া সত্ত্বেও শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

নারীদের এ রোগ হলে তাদের মুখে গোঁফ-দাড়ি বা অতিরিক্ত চুল গজাতে পারে, মাসিক অনিয়মিত হয় এবং নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। একে বলে কুশিং সিন্ড্রোম।

এডরেনাল গ্রন্থির ভেতরের যে অংশ হতে ক্যাটকোলামাইন নামক হরমোন নির্গত হয় সে অংশে টিউমার হলে উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে। হাইপারটেনশন যদি এমন হয়, সহজে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না, বারবার কমবেশি হচ্ছে, মাঝে মাঝে শরীর বেশি ঘামছে, অতিরিক্ত বুক ধড়ফড় করছে, তা হলে এডরেনাল গ্রন্থির এ অংশে টিউমার হয়েছে মনে করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে। তবে এ রোগের কারণে খুব কম লোকেরই উচ্চ রক্তচাপ হয়।

অনেক সময় অল্প বয়সে অর্থাৎ শিশুকালেই কারও যৌবন প্রাপ্তির ন্যায় শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায়। এটা মোটেই স্বাভাবিক নয়। আবার মেয়েদের ক্ষেত্রে শারীরিক পরিবর্তন ছেলেদের মতো হয়। এমনকি মেয়েশিশু ছেলেশিশুতে রূপান্তরিত হয়ে যাওয়ার ঘটনাও কখনও শোনা যায়। এগুলো কিন্তু এডরেনাল গ্গ্ন্যান্ডের হরমোনের অস্বাভাবিক নিঃসরণের জন্যই হয়ে থাকে।

Share:

গোলমরিচের যত গুণ! By jasHim Bangla News 24

গোলমরিচ মসলা ও ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি যোগ করতে পারেন। গোলমরিচ শরীর ফিট রাখতে কার্যকর।
আসুন জেনে নিই গোলমরিচের আরও কিছু গুণাগুণ:

ব্যাথানাশক
গোলমরিচকে ব্যাথানাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

সর্দি-কাশির উপকার
আবহাওয়া বদলের সময় ও ঠান্ডায় সর্দি-কাশির সমস্যা খুবই সাধারণ। শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে গোলমরিচ।

হজমসহায়ক
অন্ত্রে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের নি:সরন বাড়ায় গোলমরিচ, তাই এটি হজমে সাহায্য করে। ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা দূর করতে ভালো হজম হওয়া জরুরি। পেটের গ্যাস হওয়া ঠেকাতে পারে গোলমরিচ।

প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম
পিপারিন নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে গোলমরিচে তাই এটি ঝাল হয়। গোলমরিচে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাংগানিজ, জিংক, ক্রোমিয়াম, ভিটামিন এ ও সি এবং অন্যান্য উপাদান।

ওজন কমায়
গোলমরিচ ক্ষুধামান্দ্য ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে এবং এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

মেদ ঝরাতে সাহায্য করে
শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি পুড়িয়ে শরীরে শক্তি জোগায় গোলমরিচ। তাছাড়া শরীরে চর্বি দূর করে গোলমরিচ।

রোগ প্রতিরোধক
গোলমরিচে থাকে ডায়রিয়া, কলেরা ও আরথ্রাইটিস প্রতিরোধের ক্ষমতা। এটি তাই রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে পারে।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
গোলমরিচে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এ মসলা।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে গোলমরিচ,  তাই ক্যান্সার প্রতিরোধ করে গোলমরিচ।

ব্রণ দূর
গোলমরিচ ব্রণ দূর  করতে সাহায্য করে।

১০০ গ্রাম গোলমরিচে আছে:
১০০ গ্রাম গোলমরিচে রয়েছে ভিটামিন এ ও ক্যালসিয়াম, প্রোটিন  ১১.৫ গ্রাম, ফ্যাট ৬.৮ গ্রাম, শর্করা  ৮৯.২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৬০ মি.গ্রাম, ফসফরাস ১৯৮ মি. গ্রাম, আয়রন  ১৬.৮ মি.গ্রা, ভিটামিন বি ১     ০.০৯ মি.গ্রাম, ভিটামিন বি২ ০১.৪মি.গ্রাম।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Source- Samakal
Share:

বৃষ্টি থাকতে পারে আরও তিন দিন By JasHim Bangla News 24

মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় প্রায় সারাদেশে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারি বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

 মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানান, ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

সিনপটিক অবস্থা, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে সকাল সাড়ে ১১ থেকে রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এই বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে রাজধানীবাসী বিপাকে পড়েছে। এ প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত ( বেলা ১২টা) বৃষ্টি অব্যাহত ছিল।
Source- Samakal
Share:

Facebook

Search This Blog

News Archive

Blog Archive