বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ জুলাই। আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই দিন ঠিক করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার কিছু পরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শফিউল আজম এই দিন ঠিক করেন। এর আগে আসামিপক্ষ থেকে আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানির সময় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় পাঁচ আসামিকে। এ মামলার আসামিরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘ই-মেকার্স’ এর কর্মকর্তা নাঈম আশরাফ, রেগনাম গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ এবং সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী।
একই আদালত এর আগে গত ১৯ জুন আলোচিত এ মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছিল। আজ আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা আব্দুর রহমান হাওলাদার, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মোহাম্মদ নজিবুল্লা হিরু, মাহবুব আহমেদ ও খায়রুল ইসলাম লিটন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ আদালতের বিশেষ কৌঁসুলি আলী আকবর।
শুনানিতে আসামি নাঈম আশরাফের পক্ষে তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন এবং অন্য আসামিদের আইনজীবীরা তাতে সমর্থন দেন। আরেক আসামি সাদমান সাকিফ ১৬৪ ধারার হাকিম আদালতে তার দেওয়া জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। সাদমানের দাবি, নির্যাতনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে ওই জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। তার বক্তব্য শুনে বিচারক বিষয়টি নথিভুক্ত রাখেন। সময়ের আবেদনের শুনানিতে বিচারক বার বার বলেন, তিনি দেরি করতে চান না। অভিযোগ গঠন হয়ে গেলে আসামিপক্ষই সুবিধা পাবে, কেননা তাতে বিচার ত্বরান্বিত হবে। তাছাড়া এ মামলার বিচারে কী হল- তা দেশের মানুষ জানতে চায়। তবে আসামিপক্ষের পিড়াপিড়িতে শেষ পর্যন্ত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর গত ৬ মে তারা বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন ও বডিগার্ড রহমত আলী ওরফে আজাদকে আসামি করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
গত ৮ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ পাঁচ আমামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম দেলওয়ার হোসেন পুলিশের এ চার্জশিট গ্রহণ করেন।
Source:M Zamin
0 comments:
Post a Comment