Daily bangla news by JasHim News 24 all bd news live 24 hours in this field thanks for watching.

Wednesday, July 19, 2017

বিড়ি ২ শতাংশ সিগারেট ৯৮ শতাংশ By JasHim Bangla News

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশের সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুুল মুহিত বলেছেন, ‘বিড়ির ভয়াবহতা সিগারেটের চেয়েও বেশি। এটি (বিড়ি)... স্বাস্থ্যে জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং ধূমপানজনিত চিকিৎসা ব্যয় বিবেচনায় এ খাত (বিড়ি) টিকিয়ে রাখার যৌক্তিক কারণ নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী তিন অর্থবছরের মধ্যে দেশে বিড়ি উৎপাদন বন্ধ করে দেবো।’ বিড়ির স্বাস্থ্যঝুঁকি সিগারেটের চেয়ে বেশি, এ কথা অর্থমন্ত্রী কয়েক দিন ধরেই বলেছিলেন। অথচ তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানী নন। 
চিকিৎসা বিজ্ঞান জানাচ্ছে, নিকোটিন নামক পদার্থের কারণে তামাকদ্রব্য গ্রহণকারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। সব তামাকজাতীয় দ্রব্য যথা- বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা ও সাদা পাতায় নিকোটিনের উপস্থিতি রয়েছে। তামাকজাতীয় দ্রব্যাদির মধ্যে শুধু বিড়িকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির জন্য দায়ী করে তিন বছরের মধ্যে বন্ধ করার সংকল্প যুক্তিতে মেলে না। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, দেশে ধূমপানের মধ্যে বিড়ির অংশীদারিত্ব মাত্র দুই শতাংশ, বাকি ৯৮ শতাংশ সিগারেটসেবী। তাই অর্থমন্ত্রীর সংকল্প অনুযায়ী যদি বিড়ি উৎপাদন এ দেশে বন্ধ করে দেয়া হয়, তবুও জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং ধূমপানজনিত চিকিৎসা ব্যয় থেকে মুক্তি মিলবে না।
কেন না, তখনো সিগারেট থাকবে। ফলে সিগারেটের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও ধূমপানজনিত চিকিৎসা ব্যয় অব্যাহত থাকবে। 
অর্থমন্ত্রী বিড়ির প্রতি খগড়হস্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই। শুল্ক নীতির কূটকৌশল প্রয়োগ করে বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানিকে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বিড়ির বাজার দখল করার। এই বাজার দখল করেই বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানি সন্তুষ্ট হতে পারেনি, এখন তারা চায় সম্পূর্ণ বাজার দখল করে একচেটিয়া ব্যবসায় করতে। আর তাই সিগারেটের বাজার একচ্ছত্র করার উদ্দেশ্যে অর্থমন্ত্রীর ওপর প্রভাব বিস্তারের অপপ্রয়াস।
স্বদেশী আন্দোলনের জোয়ারে বিদেশী সিগারেট বর্জনের মাধ্যমে দেশীয় কুটিরশিল্প হিসেবে বিড়ির আবির্ভাব। বিড়ি শিল্প সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯ জুন ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদে বলেছেন, ‘বিড়ি আমাদের, সাধারণত আমাদের গরিব মানুষ ব্যবহার করে। এই বিড়ি বানানোতে আমাদের গরিব মানুষ মহিলা শ্রমিক ও সাধারণ শ্রমিক একটা শ্রমের সুযোগ পায়, তারা কাজ পায়।’ বিড়ি নদীভাঙন, পশ্চাৎপদ এলাকার হতদরিদ্র বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের রোজগারের একমাত্র অবলম্বন অনেক ক্ষেত্রে। এই বাস্তবতা গভীরভাবে বিবেচনা করা উচিত।
লেখক : শিক্ষক (খণ্ডকালীন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Source: Daily Nayadiganta
Share:

0 comments:

Post a Comment

Facebook

Search This Blog

News Archive

Blog Archive