অভিযোগ উঠেছে, সদর হাসপাতালের আবসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু হাসান মোঃ ওয়াহেদ রানা ওই কিশোরকে তার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালান। পরে তাকে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে হাসপাতালের লাশ ঘরে ফেলে রাখা হয়। বেঁধে রাখা এ ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ ব্যাপারে ডা. ওয়াহেদ রানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মোবাইল চুরির অপরাধে শুভকে রোগীর লোকজন মারধর করে। পরে তাকে তার অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়ার জন্য টানা ৮ ঘণ্টা হাসপাতালের বারান্দায় রেখে দেয়া হয়। শুভ মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে জানায়, লোকজন তাকে বেদম মারপিট করেছে। একপর্যায়ে হাঁতুড়ি ও লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে অন্ধকার লাশ ঘরে ফেলে রাখে। হাসপাতালের মধ্যে এ ঘটনাকে ন্যক্কারজনক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন চিকিৎসক নেতারা। দোষী যেই হোক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন চুয়াডাঙ্গা বিএমএ এর সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী। তবে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান না করায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে শুভ আদালতের নির্দেশে সংশোধনাগারে রয়েছে।
Source:Alokito Bangladesh
0 comments:
Post a Comment