বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাণের মহান কারিগর হুমায়ূন আহমেদের ১৯ জুলাই প্রয়াণ দিবসে তার প্রেমের গল্প অবলম্বনে বিশেষ টেলিফিল্ম রূপার জন্য ভালোবাসা প্রচার হবে চ্যানেল আইতে। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে তা প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে।
টেলিফিল্মটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন রাজু আলীম। চিত্রগ্রহণে রয়েছেন জোবায়েদ হোসেন তুফান। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- চঞ্চল চৌধুরী, চ্যানেল আই লাক্স সুন্দরী ঈশানা খান ও মুমতাহিনা টয়া, শহিদুল আলম সাচ্চু, কাজী উজ্জ্বল, ইকবাল বাবু, রিয়াজ হোসেন, মাহবুব আলম, মুনা চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
রূপা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করে। রূপার রূপে মুগ্ধ হয়ে তার প্রেমে পড়ে এক যুবক। রূপার জন্য সে তার পিছন পিছন ঘুরে বেড়ায়; কিন্তু তার ভালোবাসার কথা মুখ ফুটে প্রকাশ করতে পারে না। সে কৌশলে রূপার গাড়ি চালকের কাছ থেকে তার বাসার ঠিকানা সংগ্রহ করে। প্রেমে উন্মাদ হয়ে সে রূপার বাড়িতে গিয়ে আমরণ অনশনে বসে পড়ে। রূপার বাড়ির লোকজন বিব্রত হয়। রূপার বাবা তাকে হুমকি দেয় পুলিশে দেয়ার; কিন্তু সে তার হুমকিকে পরোয়া করে না। সে ঠায় বসে থাকে বাসার সামনে। রূপার মা তাদের আত্মীয়দের খবর দিতে বলে। বাসায় সবাই এসে হাজির হয়। চলতে থাকে নানান জল্পনা-কল্পনা। সবার ধারণা রূপার সাথে নিশ্চয় ছেলেটির সম্পর্ক আছে। রূপা সবাইকে বুঝানোর চেষ্টা করে যে সে ছেলেটিকে চেনে না; কিন্তু তার কথা কেউ বিশ্বাস করে না। বাড়ির দারোয়ান থেকে শুরু করে রূপার বাবা পর্যন্ত ছেলেটিকে বুঝায়; কিন্তু সে নাছরবান্দা। সে রূপার ভালোবাসার স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত এই বাড়ি থেকে এক পা নড়বে না। শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে সে। রূপার খুব মায়া হয় ছেলেটির জন্য। সব শেষে রূপা নিজেই এসে দেখা করে তার সাথে। ছেলেটি দেখে সে যে মেয়েকে ভালোবাসে এই রূপা সেই রূপা না। এবার সে নিজেই বিব্রত হয়। শেষে মেয়েটির কাছে ক্ষমা চায় এবং ফিরে যেতে চায়; কিন্তু রূপা তাকে বলে এখন যদি সে তাকে বিয়ে না করে তাহলে সে আত্মহত্যা করবে। ছেলেটি কোনো কথা বলে না। চিত্রনাট্য এগিয়ে যায় তার নিজস্ব গতিতে।
Source: Daily Nayadiganta
0 comments:
Post a Comment