গোলমরিচ মসলা ও ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি যোগ করতে পারেন। গোলমরিচ শরীর ফিট রাখতে কার্যকর।
আসুন জেনে নিই গোলমরিচের আরও কিছু গুণাগুণ:
ব্যাথানাশক
গোলমরিচকে ব্যাথানাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সর্দি-কাশির উপকার
আবহাওয়া বদলের সময় ও ঠান্ডায় সর্দি-কাশির সমস্যা খুবই সাধারণ। শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে গোলমরিচ।
হজমসহায়ক
অন্ত্রে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের নি:সরন বাড়ায় গোলমরিচ, তাই এটি হজমে সাহায্য করে। ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা দূর করতে ভালো হজম হওয়া জরুরি। পেটের গ্যাস হওয়া ঠেকাতে পারে গোলমরিচ।
প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম
পিপারিন নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে গোলমরিচে তাই এটি ঝাল হয়। গোলমরিচে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাংগানিজ, জিংক, ক্রোমিয়াম, ভিটামিন এ ও সি এবং অন্যান্য উপাদান।
ওজন কমায়
গোলমরিচ ক্ষুধামান্দ্য ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে এবং এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মেদ ঝরাতে সাহায্য করে
শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি পুড়িয়ে শরীরে শক্তি জোগায় গোলমরিচ। তাছাড়া শরীরে চর্বি দূর করে গোলমরিচ।
রোগ প্রতিরোধক
গোলমরিচে থাকে ডায়রিয়া, কলেরা ও আরথ্রাইটিস প্রতিরোধের ক্ষমতা। এটি তাই রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে পারে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
গোলমরিচে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এ মসলা।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে গোলমরিচ, তাই ক্যান্সার প্রতিরোধ করে গোলমরিচ।
ব্রণ দূর
গোলমরিচ ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
১০০ গ্রাম গোলমরিচে আছে:
১০০ গ্রাম গোলমরিচে রয়েছে ভিটামিন এ ও ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ১১.৫ গ্রাম, ফ্যাট ৬.৮ গ্রাম, শর্করা ৮৯.২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৬০ মি.গ্রাম, ফসফরাস ১৯৮ মি. গ্রাম, আয়রন ১৬.৮ মি.গ্রা, ভিটামিন বি ১ ০.০৯ মি.গ্রাম, ভিটামিন বি২ ০১.৪মি.গ্রাম।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Source- Samakal
0 comments:
Post a Comment