জেলা প্রশাসকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খাদ্যশষ্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম। তিনি জানিয়েছেন, সরকার বন্যা কবলিত ১৭ জেলার প্রতি ইউনিয়নে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে। প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।
আজ রবিবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ ঘোষণা দেন। বৈঠকে উপস্থিত স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া জনগনকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বন্যা দূর্গতদের পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়, সরকার বন্যাপ্লাবিত জেলাসমূহের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ১০০ মেট্রিক টন চাল, এক কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট অঞ্চলের জেলাসমূহে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল টিম বন্যা কবলিত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও বৈঠকে জানানো হয়।
সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডেপুটি স্পিকার গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল, জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম হিরুসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Source:kalerkantho
0 comments:
Post a Comment