Daily bangla news by JasHim News 24 all bd news live 24 hours in this field thanks for watching.

Wednesday, July 26, 2017

টানা বর্ষণে রাজধানীবাসী চরম দুর্ভোগে

কয়েকদিনের টানা ও ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীবাসীসহ সারাদেশের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি আবার কখনো টানা বৃষ্টি পড়ছে। বৃষ্টির কারণে অফিসগামী লোকজন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে। 
 
সারাদিনের বৃষ্টিতে অনেকে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। রাস্ত-ঘাট তলিয়ে গেছে পানিতে। শহরের অলি-গলিতে কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে কোমর পানি। এ অবস্থায় যান-বাহনও চলার অবস্থায় নেই সিটি করপোরেশনের রাস্তাগুলোতে। আর কোনো যাত্রী যদি কোনো রিকশাও পাচ্ছেন সেখানে ভাড়া দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ। 
 
বৃষ্টির কারণে যানজট লেগে আছে সারাদিন ধরে। বৃষ্টির সঙ্গে যানজট জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কমে যেতে পারে। আজ বুধবার সকাল থেকে সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
Share:

প্রমিজ করছি, সামনে বছর আর জলাবদ্ধতা দেখবেন না: এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হো‌সেন বলেন, ‘আমি প্রমিজ করছি, সামনের বছর থেকে আর এসব (জলাবদ্ধতা) দেখবেন না। কিছুদিনের মধ্যই নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।’
 
বুধবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, ‘এই পরিস্থিতিটা আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি, কোন জায়গাতে আটকা পড়ছি। সে জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
Share:

Sunday, July 23, 2017

চীনকে চাপে রাখতে নতুন পরিকল্পনায় ট্রাম্প প্রশাসন by JasHim bangla news 24

চীনকে চাপে রাখতে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস। আর তাঁর পরিকল্পনাকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ‘আধিপত্য’ রুখতে আরও স্বাধীনতা দেওয়া হল মার্কিন নৌবাহিনীকে।

জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, সারা বছর দক্ষিণ চীন সাগরে টহল দিবে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। ওই এলাকায় গতিবিধির অনুসরণের জন্য অনেক বেশি স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে নৌবাহিনীকে। ফলে বারাক ওবামার শাসনামলে এই বিষয়ে প্রতিটি সিদ্ধান্তে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। এবার আর  তা  দরকার পড়বে না।

অন্যদিকে নতুন এই পরিকল্পনাতে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে ভারতের। কারণ সামরিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নতুন মার্কিন পরিকল্পনা কার্যকর হলে দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবল চাপে পড়বে চীন। তার ফলে ভারত বা জাপানের উপরে চাপ বাড়ানো বেইজিংয়ের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে। আর তাই এখন মার্কিন এই সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশ।

দক্ষিণ চীন সাগরে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে চীন। একের পর এক বিতর্কিত দ্বীপে মিসাইল লঞ্চার থেকে যুদ্ধবিমানের রানওয়ে, রেডার মোতায়েন করে চলেছে দেশটি। এই সমস্ত এলাকাতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছে বেইজিং। আর তা রুখে দিতেই মার্কিন নৌবাহিনীর পালটা এই সিদ্ধান্ত। আর সেই সিদ্ধান্তকে সবুজ সঙ্কেত দিল ট্রাম্প-প্রশাসন।

Source: bd-pratidin
Share:

ইউএনওকে নাজেহালের ঘটনায় ৬ পুলিশ প্রত্যাহার By Bangla News 24

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমনকে নাজেহালের ঘটনায় বরিশাল আদালতের ৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরা হলেন- এসআই নিরিপেন দাশ, এটিএসআই শচীন ও মাহবুব এবং কনস্টেবল জাহাঙ্গীর, হানিফ ও সুখেন।

এই পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার নাসিরুদ্দিন।

পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্র ছাপানোয় বরিশালের আগৈলঝাড়ার সাবেক ইউএনও গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। বঙ্গবন্ধুর ‘বিকৃত’ ছবি আমন্ত্রণপত্রে ব্যবহারের অভিযোগের ওই মামলায় গত বুধবার বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আবেদন নাকচ করে তাকে হাজতে পাঠানো হয়। দুই ঘণ্টা পর আবার জামিন দেন একই বিচারক।

আদালত প্রাঙ্গনে বর্তমানে বরগুনা সদরের ইউএনও তারিককে পুলিশ ধরে নেওয়ার ছবি প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে বিবৃতি দেয় সরকারি কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

এ ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে মামলার বাদী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আর এ ঘটনার পরিপেক্ষিতে প্রত্যাহার করা হয় সেদিন বরিশাল আদালতে দায়িত্ব পালন করা ৬ পুলিশ সদস্যকে।

Source: bd-pratidin
Share:

যেসব সমস্যা থাকলে এড়িয়ে চলবেন আদা By Bangla News 24

আদা খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। চিকিৎসকরা সব সময়ই বলেন আদা খাওয়ার জন্য। কিন্তু সেই সঙ্গে তারা এটাও বলেন যে, সব অবস্থায় আদা খাওয়া মোটেই উচিত নয়। তাই জেনে নিন, কখন কখন এড়িয়ে চলবেন আদা !

১। আদার মধ্যে এমন অনেক পদার্থ থাকে যা পেশীর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ও হজমে সাহায্য করে। প্রেগন্যান্সিতে বেশি আদা খেলে তা পেশীর সংকোচন ঘটিয়ে প্রিটার্ম লেবরের সম্ভাবনা থাকে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আদা খান।

২। আদা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ওবেসিটি বা ডায়াবেটিসের সমস্যায় তাই আদা খুবই উপকারি। আবার হিমোফিলিয়ার সমস্যা থাকলে আদার এই গুণ নেগেটিভ প্রভাব ফেলতে পারে। হিমোফিলিয়া বংশগত ডিজঅর্ডার। হিমোফিলিয়ার ওষুধের সঙ্গে আদা খেলে তা ওষুধের প্রভাবে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

৩। হাইপারটেনসন বা ডায়াবেটিসের ওষুধ খেলে আদা খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল। আদা রক্তকে পাতলা করে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। তাই সাধারণ ভাবে আদা খাওয়া উপকারি হলেও ইনসুলিনের মতো ওষুধের প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে আদা।

৪। যদি আপনি ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকেন তা হলে আদাযুক্ত খাবার বা আদা চা খাওয়া এড়িয়ে চলুন। আদার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। যা পাকস্থলীর পিএইচ মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে পৌষ্টিকতন্ত্রকে উত্তেজিত করে তোলে।

Source: bd-pratidin
Share:

৫০ হাজার চিকিৎসক এবং ৪০ হাজার কর্মচারী নিয়োগের আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর By JasHim News

চিকিৎসা খাতে সারাদেশে ৫০ হাজার চিকিৎসক এবং ৪০ হাজার কর্মচারী নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম এমপি। রবিবার বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ শয্যার ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) উদ্বোধন কালে তিনি এ কথা বলেন।

উদ্বোধনের পর মন্ত্রী আইসিইউ ইউনিট ঘুরে দেখেন। আইসিইউ’র বিভাগের সার্বিক চিত্রে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এমপি, সদর আসনের এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ এবং বরিশাল-৩ আসনের এমপি শেখ টিপু সুলতান এমপি সহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।  

আইসিইউ ইউনিট থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের বর্ধিত ভবনের অসমাপ্ত কাজ যত দ্রুত সম্ভব শুরু এবং শেষ করার জন্য তিনি সংশ্লিস্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। আড়াই শ’ শয্যা বিশিস্ট বর্ধিত ভবনটির নির্মান কাজ শেষ হলে হাসপাতালের রোগী সংকুলানে স্থান সংকটের সমাধান হবে।  

শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে কর্মচারী সংকট প্রকটের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, শুধু বরিশাল নয়, আইনগত জটিতলার কারনে সারা দেশে কর্মচারী সংকট রয়েছে। জটিলতা কাটিয়ে ৪০ হাজার কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। কর্মচারী নিয়োগ হয়ে গেলে শুধু বরিশালেই নয়, সারা দেশে কর্মচারী সংকটের সমাধন হবে বলে তিনি আশাবাদী।  

পরে মন্ত্রী মেডিকেল কলেজের সভাকক্ষে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন কমিটি এবং চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করেন। সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা ও সংকটের কথা তুলে ধরেন পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম।  

জবাবে মন্ত্রী আগামী ৬ মাসের মধ্যে বর্ধিত ভবনের কাজ সম্পন্ন করে চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া সারা দেশে ৫০ হাজার চিকিৎসক এবং ৪০ হাজার কর্মচারী নিয়োগ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেন। এসময় দেশে কোন নার্স সংকট নেই বলেও সভায় জানান মন্ত্রী।  

এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রী মেডিকেল কলেজের অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে বরিশাল বিভাগীয় চিকিৎসক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।  

প্রসঙ্গত ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ৫শ’ শয্যার শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে গড়ে রোগী ভর্তি থাকে দেড় হাজারেরও বেশী। সমস্যা সমাধানে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে হাসপাতালের মূল ভবনের পাশেই আড়াই শ’ শয্যা বিশিস্ট একটি ৫তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু গত ৭ বছর ধরে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় রোগীর স্থান সংকুলান দিন দিন আরো প্রকট হচ্ছে।

Source: bd-pratidin
Share:

পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা, জিপিএ-৫'এ ছেলেরা By JasHim News 24

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় ছেলেদের তুলনায় পাস হারে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। তবে জিপিএ-৫'র ক্ষেত্রে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা এগিয়ে রয়েছে। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে এবার পাশের হার ৬৫ দশমিক ৪৪।

শিক্ষাবোর্ডের প্রাপ্ত ফলাফলে ১ লাখ ৫ হাজার ৪০০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে ৬৮ হাজার ৯৭২ জন পরীক্ষার্থী পাস করে।

বিজ্ঞান বিভাগে ১৫ হাজার ৯০৩ জন ছাত্রের মধ্যে ১১ হাজার ৮৭৭ জন ও ১০ হাজার ৬১৪ জন ছাত্রীর মধ্যে ৮ হাজার ৬৫৯ জন ছাত্রী পাস করেছে। বিজ্ঞান বিভাগে মোট পাস করেছে ২০ হাজার ৫৩৬ জন। ছেলেদের পাসের হার ৭৪.৬৮ ও মেয়েদের পাসের হার ৮১.৫৮ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে গড় পাসের হার ৭৭.৪৪ শতাংশ।

মানবিক বিভাগে ২৯ হাজার ৬৩ জন ছাত্রের মধ্যে ১৬ হাজার ৩১৫ জন ও ৩৪ হাজার ৫৪ জন ছাত্রীর মধ্যে ২১ হাজার ৭০০ জন ছাত্রী পাস করেছে। মানবিক বিভাগে মোট পাস করেছে ৩৮ হাজার ১৫ জন। ছেলেদের পাসের হার ৫৬.১৪ ও মেয়েদের পাসের হার ৬৩.৭২ শতাংশ। মানবিক বিভাগে গড় পাসের হার ৬০.২৩ শতাংশ।

বাণিজ্য বিভাগে ১০ হাজার ৭৬১ জন ছাত্রের মধ্যে ৬ হাজার ৮১০ জন ছাত্র ও ৫ হাজার ৫ জন ছাত্রীর মধ্যে ৩ হাজার ৬১১ জন ছাত্রী পাস করেছে। বাণিজ্য বিভাগে মোট পাস করেছে ১০ হাজার ৪২১ জন। ছেলেদের পাসের হার ৬৩.২৮ ও মেয়েদের পাসের হার ৭২.১৫ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে গড় পাসের হার ৬৬.১০ শতাংশ।

তবে জিপিএ-৫ এ ছাত্রীর তুলনায় ছাত্ররা ভালো করেছে। জিপিএ-৫ পাওয়া মোট ২ হাজার ৯৮৭ জনের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১ হাজার ৭৯১ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১ হাজার ১৯৬ জন।  

ছাত্রীদের ভালো ফলাফল করার ব্যাপারে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান জানান, পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছাত্রীরা মনোযোগী হওয়ার কারণে এই ফলাফল হয়েছে।

Source: bd-pratidin
Share:

বরিশালে এইচএসসি’তে পাশের হার ৭০.২৮ ভাগ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮১৫ জন By JasHim Bangla news 24

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি’তে (উচ্চ মাধ্যমিক) পাশের হার ৭০.২৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮১৫জন শিক্ষার্থী।  

রবিবার দুপুর দেড়টায় বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেন। এবার বরিশাল বোর্ডের আওতাধীন ১১৬টি কেন্দ্রে ৩২৯টি কলেজের ৬০ হাজার ৪শ’৮৬জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে পাশ করেছে ৪২ হাজার ৫০৭জন পরীক্ষার্থী। এবার বরিশাল বোর্ডে ৬টি কলেজের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। অপরদিকে বোর্ডের আওতাধীন পিরোজপুরের ২টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য (ফেল) করেছে।  

এদের মধ্যে ভান্ডরিয়ার বিহারী পাইলট হায়ার সেকেন্ডারী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৩ জন এবং নেছারাবাদের সেহাঙ্গল হাইস্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম।  

এদিকে বোর্ডে পরিসংখ্যান ভিত্তিক ফল ঘোষণার পর পরই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল ঘোষণা করা হয়। ফল পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। প্রত্যাশিত ফলের কৃতিত্ব শিক্ষক এবং অভিভাবকদের দিয়েছেন কৃতি শিক্ষার্থীরা।  

গত বছর (২০১৬) বরিশাল বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলো ৬১ হাজার ৫৩৮জন। পাশের হার ছিলো ৭০.১৩ভাগ। এদের মধ্যে পাশ করেছিলো ৪৩ হাজার ১৫৭জন। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৭৮৭জন।

Source: bd-pratidin
Share:

Thursday, July 20, 2017

অনলাইন প্রশিক্ষণ সেবা চালু করল ক্রিয়েটিভ ই-স্কুল By Daily Bangla News


আন্তর্জাতিক অনলাইন ট্রেনিং প্লাটফর্মের সহযোগিতায় ক্রিয়েটিভ ই-স্কুল নামে অনলাইন প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শুরু করল ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট। ১৯ জুলাই রাজধানীর একটি হোটেলে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শম্পা পারভীন, ডিরেক্টর অপারেশন্স জেমস পল সরকারসহ আরও অনেকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোঃ মনির হোসেন বলেন, ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট ১০ বছর ধরে আইটি প্রফেশনাল গড়ে তুলতে এখন পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি প্রশিক্ষণার্থীর ক্যারিয়ারে সাফল্য এনে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার বাইরে ও প্রবাসীদের থেকে অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালুর অনুরোধ পাচ্ছিলাম। তারই প্রেক্ষাপটে ক্রিয়েটিভ ই-স্কুলের অনলাইন কার্যক্রম শুরু করছি। এখন থেকে গৃহিণী, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী, ঢাকার বাইরের বা প্রবাসের যে কেউ সহজেই এ অনলাইন স্কুলে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। অপারেশন্স ডিরেক্টর জেমস পল বলেন, এখন দূরত্ব কোনো বিষয় নয়। বাংলাদেশে অনলাইনে ভালো মানের প্রশিক্ষণ সেবা দিতে ক্রিয়েটিভ ই-স্কুল বড় মাধ্যম হয়ে উঠবে। এমন একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ অনলাইন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যেখানে খুব সামান্য ব্যান্ডউইথের মাধ্যমেও কোনো বাফারিং ছাড়া ভিডিও দেখা ও ক্লাস করা যাবে। এজন্য সাধারণ পিসি হলেও চলবে, দরকার হবে শুধু একটি ওয়েবক্যাম ও হেডফোনের। প্রশিক্ষণের তালিকায় রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ক্রিয়েটিভ ই-স্কুলের অনলাইন প্রশিক্ষণে ১০০ শিক্ষার্থীকে সম্পূর্ণ ফ্রি স্কলারশিপ দেবে ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট। অনলাইন প্রশিক্ষণে আগ্রহীদের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। 
আবেদন করতে পারবেন goo.gl/2dneZj এ ঠিকানায়। সেখান থেকে বাছাই করে ১০০ জনকে বিনামূল্যে ক্রিয়েটিভ ই-স্কুলে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়া হবে। যারা প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন, তারা পরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করার ক্ষেত্রেও যাবতীয় সহযোগিতা পাবেন।

Source:Alokito Bangladesh
Share:

ঘর ভাঙল তাহসান-মিথিলার By Daily Bangla News

কয়েকদিন ধরে শোনা গুঞ্জন এবার সত্যি হলো— সম্পর্কের ইতি টানছেন দেশীয় শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি তাহসান খান ও মিথিলা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আনুষ্ঠানিকভাবে যৌথ জীবন ভাঙার যৌথ ঘোষণা দিলেন এ তারকা জুটি; দুজনই স্বীকার করে নিলেন বিচ্ছেদের কথা।

তাহসানের ফেসবুক পেজে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে লেখা হয়— ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে জানাচ্ছি যে, আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে। কয়েকমাস ধরে আমাদের সমস্যাগুলো মেটানোর চেষ্টা করার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সামাজিক চাপে সম্পর্কে না থেকে বরং আমরা আলাদা হয়ে যাব। আমরা বুঝতে পারছি এতে অনেকেই হতাশ হবেন এবং আমরা মন থেকে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।  আমরা সবসময় আমাদের সম্পর্ককে মর্যাদা দিয়ে এসেছি এবং আমরা আশা করছি বিচ্ছেদ হওয়ার পরও তা অব্যাহত থাকবে। আমরা আশা করছি জীবনের এই কঠিন মুহূর্তে আপনারা আমাদের সহমর্মিতা দেখাবেন। তাহসান ও মিথিলা।'

২০০৬ সালের ৩ আগস্ট মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলাকে বিয়ে করেন তাহসান রহমান খান। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল এ দম্পতির কোল জুড়ে আসে একটি কন্যাসন্তান। তারা মেয়ের নাম রাখেন আইরা তাহরিম খান। দর্শকের কাছে জুটি হিসেবে তারা বেশ পছন্দের ছিলেন।

Source:Alokito Bangladesh

Share:

ইউটিউবের সিলভার প্লে বাটন পেল ধ্রুব মিউজিক By Daily Bangla News

যাত্রটা খুব বেশি দিন আগে নয়। এরই মধ্যে শ্রোতা মহলে বেশ সাড়া ফেলেছে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিক স্টেশন। তারই স্বীকৃতি হিসেবে এবার পেলেন ইউটিউবের সিলভার প্লে বাটন। গত ১৮ জুলাই (মঙ্গলবার) এ পুরস্কার হাতে পান জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ও ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্নধার ধ্রুব গুহ।

প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে এক লাখ সাবস্ক্রাইব অতিক্রম করায় ধ্রুব মিউজিক স্টেশনকে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ সিলভার প্লে বাটন সম্মাননা প্রদান করেছে। উল্লেখ্য প্রতিষ্ঠিানটির ইউটিউবের বর্তমান সাবস্ক্রাইবার দুই লাখের উপরে।

ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের কর্নধার কন্ঠশিল্পী ধ্রুব গুহ-শিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালকসহ ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের সব ভিডিওর সঙ্গে সম্পৃক্ত কলাকুশলীর পাশাপাশি দর্শক-শ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, এই সম্মাননা কেবল ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের নয়, পুরো বাংলাদেশের, সকল বাংলা সঙ্গীত প্রেমীদের। সেইসঙ্গে এও জানান, ধ্রুব মিউজিক স্টেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলা সংগীতকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেয়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতেও ধ্রুব মিউজিক স্টেশন তাদের এই ধারা অব্যাহত রাখবে।

Source:Alokito Bangladesh
Share:

নিজের পছন্দের ব্যাট ছাড়তে হবে ধোনিকে By Daily Bangla News

ব্যাটের আকৃতি নিয়ে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) নতুন নিয়ম করায় নিজের পছন্দের ব্যাট ছাড়তে হবে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। ব্যাটের আকৃতি সম্পর্কিত নতুন নিয়মটি আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হচ্ছে। তাই পহেলা অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন ব্যাটের আকৃতিতে খেলতে হবে ধোনিকে।
ব্যাটে-বলে ভারসাম্য আনতেই নতুন নিয়ম করেছে এমসিসি। এতোদিন নিয়মের বাইরে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যাট নিয়ে মাঠে নামতেন ব্যাটসম্যানরা। পুরু-ভারী ব্যাটের দিকেই বেশি নজর ছিলো ধোনির মত বিগ হিটারদের। কারন ব্যাট যত বেশি পুরু-ভারী হবে তত বেশি বাউন্ডারি হবে।
আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে ব্যাটের মাপ হবে ৬৭ মিলিমিটার মোটা, ১০৮ মিলিমিটার চওড়া ও ৪০ মিলিমিটার এজ।
কিন্তু বর্তমানে ধোনির ব্যাটের এজ ৪৫ মিলিমিটার। পাশাপাশি ব্যাটের পুরুত্বও কমাতে হবে তাকে। তবে অক্টোবর থেকে নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজে নিজের পছন্দের ব্যাট দিয়েই মাঠে নামতে পারবেন ধোনি।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের পছন্দের ব্যাট দিয়ে শুধুমাত্র ধোনিই খেলেন না। এই তালিকায় আরও রয়েছেন- অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও কাইরন পোলার্ড। ব্যাটের সুবিধা নিয়ে সকলেই এখন বিধবংসী ব্যাটসম্যান। তাই নতুন নিয়ম হলে, পরবর্তীতে ব্যাট নিয়ে ব্যাটিং-এর সময় কিছুটা সমস্যাতেই পড়বেন ধোনি-গেইল-ওয়ার্নাররা।
ধোনি-গেইল-ওয়ার্নারদের ব্যাটের আকৃতি পরিবর্তন হলেও, ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি-দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স-অস্ট্রেলিয়ার দলপতি স্টিভ স্মিথ ও ইংল্যান্ডের দলনেতা জো রুটের নতুন নিয়মে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ এদের সকলেই বেশ আগ থেকেই ক্রিকেট আইন মেনেই ব্যাট ব্যবহার করছেন। সবাই এখন ৪০ মিমির চেয়েও কম পুরুত্বের ব্যাট ব্যবহার করেন।

Source:Alokito Bangladesh
Share:

কিশোরকে নির্যাতনের পর বেঁধে রাখা হয় লাশ ঘরে By Daily Bangla News

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর মোবাইল চুরির অপরাধে শুভ (১৪) নামে এক কিশোরের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে রোগীর লোকজন। বুধবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত হাসপাতালের ভেতর তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। পরে পুলিশ এসে সদর হাসপাতালের লাশ ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা হেফাজতে নেয়। শুভর বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কালুহাটি গ্রামে।
অভিযোগ উঠেছে, সদর হাসপাতালের আবসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু হাসান মোঃ ওয়াহেদ রানা ওই কিশোরকে তার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালান। পরে তাকে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে হাসপাতালের লাশ ঘরে ফেলে রাখা হয়। বেঁধে রাখা এ ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ ব্যাপারে ডা. ওয়াহেদ রানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মোবাইল চুরির অপরাধে শুভকে রোগীর লোকজন মারধর করে। পরে তাকে তার অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়ার জন্য টানা ৮ ঘণ্টা হাসপাতালের বারান্দায় রেখে দেয়া হয়। শুভ মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে জানায়, লোকজন তাকে বেদম মারপিট করেছে। একপর্যায়ে হাঁতুড়ি ও লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে অন্ধকার লাশ ঘরে ফেলে রাখে। হাসপাতালের মধ্যে এ ঘটনাকে ন্যক্কারজনক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন চিকিৎসক নেতারা। দোষী যেই হোক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন চুয়াডাঙ্গা বিএমএ এর সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী। তবে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান না করায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে শুভ আদালতের নির্দেশে সংশোধনাগারে রয়েছে।

Source:Alokito Bangladesh

Share:

ওষুধের দোকানে মিলবে গাঁজা! By JasHim Bangla News

চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার একটি ঘর থেকে দুই মাস বয়সী শিশু চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডে ইউসুফ কলোনির ভাড়াটিয়া ফজলুর রহমানের ঘর থেকে শিশুটি চুরি হয়। এ সময় মা আমেনা বেগম ঘুমিয়ে ছিলেন। তার পাশেই ঘুমিয়ে ছিল শরীফ নামের শিশুটি।

শিশু চুরির অভিযোগ পাওয়ার পর বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসিন জানান, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ তল্লাশি করে শিশু চুরির সত্যতার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। ফুটেজে এক নারী শিশু শরীফকে কোলে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করছে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

শিশুর বাবা ফজলুর রহমান হিউম্যানহলারের চালক ও মা আমেনা বেগম গৃহিণী। তাদের বাড়ি নোয়াখালী জেলায় বলে জানান ওসি।

Source:Alokito Bangladesh

Share:

মা ঘুমিয়ে, শিশুকে নিয়ে চম্পট দিল চোর! By JasHim Bangla News 24

চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার একটি ঘর থেকে দুই মাস বয়সী শিশু চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডে ইউসুফ কলোনির ভাড়াটিয়া ফজলুর রহমানের ঘর থেকে শিশুটি চুরি হয়। এ সময় মা আমেনা বেগম ঘুমিয়ে ছিলেন। তার পাশেই ঘুমিয়ে ছিল শরীফ নামের শিশুটি।

শিশু চুরির অভিযোগ পাওয়ার পর বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসিন জানান, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ তল্লাশি করে শিশু চুরির সত্যতার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। ফুটেজে এক নারী শিশু শরীফকে কোলে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করছে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

শিশুর বাবা ফজলুর রহমান হিউম্যানহলারের চালক ও মা আমেনা বেগম গৃহিণী। তাদের বাড়ি নোয়াখালী জেলায় বলে জানান ওসি।

Source:Alokito Bangladesh

Share:

অ্যানিটাইম’ নামে নিজস্ব অ্যাপ বানাচ্ছে অ্যামাজন By JasHim Bangla News

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মার্কিন ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন ‘অ্যানিটাইম’ নামে নিজস্ব মেসেজিং অ্যাপ উন্মোচনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্ভাব্য ফিচারগুলোর জন্য এরই মধ্যে গ্রাহক জরিপ শুরু করছে অ্যামাজন। জরিপ করা হলেও আসলে পণ্যটি কী হতে যাচ্ছে, এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
এর আগে এফটিভি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অ্যানিটাইম হতে পারে অল-ইন-ওয়ান ফিচারযুক্ত সেবা, যা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে।’ এতে মেসেজিং, ভয়েস ও ভিডিও কল এবং ছবি শেয়ারিংয়ের ওপর বেশি নজর দেয়া হবে।
অ্যাপটিতে ব্যবহারকারী ছবি এবং ভিডিওতে ফিল্টার যোগ করতে পারবেন এবং অন্য ব্যবহারকারীকে এতে উল্লেখ করতে পারবেন। এর পাশাপাশি স্টিকার ও জিফ ব্যবহার করতে এবং গেম খেলতে পারবেন গ্রাহকরা।
অ্যামাজনের চালানো জরিপের ছবি থেকে দেখা গেছে, সেবাটি সুরক্ষিত ও সংকেতায়িত হবে। আর অনেকগুলো ডেস্কটপ ও মোবাইল ডিভাইসে এটি চালানো যাবে।
সাম্প্রতিক সময়ে মেসেজিং ও যোগাযোগ মাধ্যমের বাজারে এরই মধ্যে প্রবেশ করেছে অ্যামাজন। ব্যবসায়িক গ্রাহকদের জন্য ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ ‘চাইম’ উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র : প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট বিজনেস ইনসাইডার
Source:Alokito Bangladesh
Share:

Wednesday, July 19, 2017

বিড়ি ২ শতাংশ সিগারেট ৯৮ শতাংশ By JasHim Bangla News

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশের সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুুল মুহিত বলেছেন, ‘বিড়ির ভয়াবহতা সিগারেটের চেয়েও বেশি। এটি (বিড়ি)... স্বাস্থ্যে জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং ধূমপানজনিত চিকিৎসা ব্যয় বিবেচনায় এ খাত (বিড়ি) টিকিয়ে রাখার যৌক্তিক কারণ নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী তিন অর্থবছরের মধ্যে দেশে বিড়ি উৎপাদন বন্ধ করে দেবো।’ বিড়ির স্বাস্থ্যঝুঁকি সিগারেটের চেয়ে বেশি, এ কথা অর্থমন্ত্রী কয়েক দিন ধরেই বলেছিলেন। অথচ তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানী নন। 
চিকিৎসা বিজ্ঞান জানাচ্ছে, নিকোটিন নামক পদার্থের কারণে তামাকদ্রব্য গ্রহণকারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। সব তামাকজাতীয় দ্রব্য যথা- বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা ও সাদা পাতায় নিকোটিনের উপস্থিতি রয়েছে। তামাকজাতীয় দ্রব্যাদির মধ্যে শুধু বিড়িকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির জন্য দায়ী করে তিন বছরের মধ্যে বন্ধ করার সংকল্প যুক্তিতে মেলে না। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, দেশে ধূমপানের মধ্যে বিড়ির অংশীদারিত্ব মাত্র দুই শতাংশ, বাকি ৯৮ শতাংশ সিগারেটসেবী। তাই অর্থমন্ত্রীর সংকল্প অনুযায়ী যদি বিড়ি উৎপাদন এ দেশে বন্ধ করে দেয়া হয়, তবুও জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং ধূমপানজনিত চিকিৎসা ব্যয় থেকে মুক্তি মিলবে না।
কেন না, তখনো সিগারেট থাকবে। ফলে সিগারেটের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও ধূমপানজনিত চিকিৎসা ব্যয় অব্যাহত থাকবে। 
অর্থমন্ত্রী বিড়ির প্রতি খগড়হস্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই। শুল্ক নীতির কূটকৌশল প্রয়োগ করে বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানিকে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বিড়ির বাজার দখল করার। এই বাজার দখল করেই বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানি সন্তুষ্ট হতে পারেনি, এখন তারা চায় সম্পূর্ণ বাজার দখল করে একচেটিয়া ব্যবসায় করতে। আর তাই সিগারেটের বাজার একচ্ছত্র করার উদ্দেশ্যে অর্থমন্ত্রীর ওপর প্রভাব বিস্তারের অপপ্রয়াস।
স্বদেশী আন্দোলনের জোয়ারে বিদেশী সিগারেট বর্জনের মাধ্যমে দেশীয় কুটিরশিল্প হিসেবে বিড়ির আবির্ভাব। বিড়ি শিল্প সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯ জুন ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদে বলেছেন, ‘বিড়ি আমাদের, সাধারণত আমাদের গরিব মানুষ ব্যবহার করে। এই বিড়ি বানানোতে আমাদের গরিব মানুষ মহিলা শ্রমিক ও সাধারণ শ্রমিক একটা শ্রমের সুযোগ পায়, তারা কাজ পায়।’ বিড়ি নদীভাঙন, পশ্চাৎপদ এলাকার হতদরিদ্র বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের রোজগারের একমাত্র অবলম্বন অনেক ক্ষেত্রে। এই বাস্তবতা গভীরভাবে বিবেচনা করা উচিত।
লেখক : শিক্ষক (খণ্ডকালীন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Source: Daily Nayadiganta
Share:

ঐশী তৈরির হোতাদের কী হবে By Bangla JasHim News 24

ঐশীর শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে। সেখানকার নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন তার ভালো লাগেনি। সে ছিল বাবা-মায়ের আদরের মেয়ে। তাই তার সব আবদার পূরণের চেষ্টা করতেন তারা। নৈতিকতা শিক্ষার কোনো চিন্তা না করে ঐশীকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করে দেন বাবা-মা। ভর্তি হয়েই পাল্টে যায় কিশোরী ঐশী। বেপরোয়া জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত প্রেম এবং ইয়াবার মতো জঘন্য মাদক সেবনে ডুবে যায় সে। এতে বাধা দেন বাবা-মা। মাসে দেড় লাখ টাকার বেশি ছিল কিশোরী ঐশীর হাত খরচ। তাহলে পরিবারটি চলত মাসিক কত খরচে? বিলাসবহুল ফ্লাটের বিপুল ভাড়া জুটল কিভাবে? সরকারি চাকরি করে এত বিলাসিতা কিভাবে সম্ভব? 
একজন এসআইর যদি এত বিশাল পরিমাণ মাসিক অবৈধ অর্থের পার্মানেন্ট সোর্স থাকে, তাহলে তার ওপরে যারা কর্তা আছেন, তাদেরকেও তো নিশ্চয় ভাগ দিয়েই চলতে হয়। অবশ্য সবাই দুর্নীতিবাজ নন। ঐশীর মতো পরিবার এখনো থাকতে পারে। 
অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন এবং বেহিসেবী জীবনযাপন কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না। ঐশী এবং জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাতদের পরিবার তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। বড় দেরি করে ফেলেছিলেন ঐশীর বাবা-মা। আর তাতেই ক্ষেপে যায় ঐশী। ভাবতে শুরু করে নিজের পিতা-মাতাকে হত্যার কথা। নেশার জগতে ঐশী এমনি এমনিতেই জড়ায়নি, এর পেছনে কাজ করেছে অভিভাবকের কাছ থেকে অতিপ্রাপ্তি, তারপরই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় অতিনিয়ন্ত্রণ। শুধু দণ্ড দিয়ে এ বিষয়গুলোর সুরাহা সম্ভব নয় বরং অনেক নিষ্ঠুর সত্যকেই ধামাচাপা দেয়া হবে। উল্লেখ্য, স্ত্রীসহ পুলিশের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান হত্যা মামলায় ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
কিন্তু এই হত্যার দায় কী ঐশীর একার? তার পরিবার এবং এই সমাজব্যবস্থার কি কোনো দায় নেই? ঐশীদের যারা তৈরি করেছে তাদেরও কি এমন সাজা হবে? স্কুল ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেয় ছেলে বন্ধুদের সাথে। যোগ দেয় ইয়াবা ও গাঁজার আসরে। এসব আড্ডার আসরেই পরিচয় হয় তো কোনো ডিজের সাথে। তার সাথে কিছুদিন মেলামেশার পর তারই বন্ধুর সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। এদের মাধ্যমেই মূলত নেশার জগতে প্রবেশ করে। এভাবে মাদকে জড়িয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করত ঐশী। গভীর রাতের বেলায় ছেলে বন্ধুকে নিয়ে বাসায় আসত। এসব উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা যখন মা-বাবার নজরে আসে, তখন তারা বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ততদিনে যা হওয়ার হয়ে গেছে।
আধুনিকতার নামে অধিক স্বাধীনতা সন্তানের জন্য চরম সর্বনাশ ডেকে আনে। এ থেকে আমাদের মা-বাবারও কি কোনো শিক্ষা নেই? এরকম আরো হাজারো অবাধ্য-বিপথগামী সন্তান এখনো আমাদের সমাজে আছে। একটা টিনএজ ছেলেমেয়ে যদি ছোটবেলাতেই বুঝে যায়, তার বাপের অবৈধ টাকা আছে, তখন তার পক্ষে খারাপ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। এই বাবা-মা কিসের জোরে সন্তানদের শাসন করবেন? একটা ছেলে বা মেয়ে যদি বুঝে যায়, তার বাবা সন্ত্রাসী বা দুর্নীতিবাজ, তাহলে নিশ্চয় সে ভবিষ্যতে ভালো কিছু হওয়ার বা করার স্বপ্ন দেখবে না। সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের শিক্ষার অভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি আজ। পুলিশকর্তা সমাজের অপরাধ ঠেকানোর চেষ্টা করবে, তাকেই বলি হতে হলো অপরাধের। তা-ও নিজের মেয়ের হাতে।

Source: Daily Nayadiganta
Share:

সব ভাস্কর্যই ‘মূর্তি’, কিন্তু দেব-দেবীরটি ‘প্রতিমা’ By JasHim Bangla News 24

সৌদি আরবসহ প্রায় দেশেই ভাস্কর্য থাকার উদাহরণ দিয়ে অনেকেই টকশো এবং লেখনীতে গ্রিক দেবী থেমিসের প্রতিমাকে ভাস্কর্য বলে এটা স্থাপন করাকে যুক্তিযুক্ত বলতে চাচ্ছেন। অথচ ওইসব দেশের ভাস্কর্য কোনো দেব-দেবীর বা তাদের আদৌ কোনো পূজনীয় প্রতীক নয়- শুধুই সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শন। ভাস্কর্য, মূর্তি ও প্রতিমা ও শব্দগুলোর এই ব্যবহারিক পার্থক্য রয়েছে। ভাস্কর কর্তৃক নির্মিত মূর্তিকে ইংরেজিতে Sculpture বলা হয়, তার খোদাই করা প্রতিমূর্তি বা শিলারূপ হলো Statue; অঙ্কিত বা খোদাই করা বা অন্যভাবে নির্মিত প্রতিমূর্তিকে Icon এবং তার নির্মিত প্রতিমা, উপাস্য দেব-দেবী বা ব্যক্তি বা বস্তুকে Idol বলা হয়। বাংলায় ভাস্কর্য অর্থ ধাতু, পাথর প্রভৃতিকে মাধ্যম করে মূর্তি নির্মাণশিল্প। মূর্তি অর্থ আকার, অঙ্গ, প্রতিমা, স্বরূপ। প্রতিমা অর্থ দেবতার প্রতিমূর্তি, বিগ্রহ, ছবি, প্রতিচ্ছায়া।
তাই ভাস্করের নির্মিত সবই মূর্তি হলেও দেব-দেবীর ভাস্কর্যকে পূজারীরা প্রতিমা বলে থাকেন। পক্ষান্তরে, সেগুলোকেও আমরা সাধারণত মূর্তি বলি। ভারতে এই প্রতিমা বা প্রতিচ্ছবি প্রবর্তনের মূল উৎসগত এক ঐতিহাসিক তথ্য রয়েছে আল-বেরুনীর ‘কিতাবুলহিন্দ’ নামক বইয়ে। আমাদের দেশে যেসব ভাস্কর্য বা মূর্তি আছে, তাকে কেউ পূজা করেন না। যেহেতু এসবই ইতিহাসসম্পৃক্ত, সেহেতু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকাই শ্রেয়।
দেব-দেবীরা পৌরাণিক যুগের। কালের বিবর্তনে তারা অনেকে বিলুপ্ত হয়েছে, কারো বা দৈব শক্তিরও বিবর্তন ঘটেছে। প্রতিমারও আবার বিলুপ্তি এবং কিছু পরিবর্তনের প্রমাণ রয়েছে ভারতের ক্ষেত্রে। উল্লেখ্য, লন্ডনের আলবার্ট মিউজিয়ামে রাখা দেবী কালীর প্রাচীন প্রতিমার সাথে বর্তমানের মিল নেই। তদ্রুপ অমিল সূর্য দেবীর, যদিও বর্তমানে এটা প্রায় বিলুপ্ত।
‘বেশ কিছু ঐশ্বরিক শক্তি’ধারী, থেমিস ন্যায়বিচারের দেবী এবং প্রধান দেবমন্দিরে রীতিনীতি রক্ষাসহ ধর্মীয় পর্বাদির তত্ত্বাবধায়ক বলে গ্রিকদের ছিল ধর্মীয় বিশ্বাস। তাই, তার ভাস্কর্য বা মূর্তি প্রকৃত অর্থে প্রতিমা। ভিন্নরূপে বা পরিচ্ছদে তাকে প্রদর্শন করা বিবেচ্য বিষয় নয়। বিষয়টি স্রেফ তার ঐশী শক্তির পৌরাণিক বিশ্বাস সম্পর্কিত। আধুনিক যুগের প্রধান বিচারালয়ের অঙ্গনে তার প্রতিমা স্থাপনের ফলে কি তার ঐশী শক্তির স্বীকৃতিস্বরূপ সে বিচারালয়ের প্রতীক বলে কি প্রতীয়মান হয় না?
সংখ্যালঘুদের কোথাও কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কেউ লক্ষ্মী দেবীর প্রতিমা স্থাপন করেননি। অন্য ধর্মীয়দের অনুরূপ প্রতিষ্ঠানে ব্যবসারক্ষক বলে বিশ্বাস্য, গ্রিক দেবতা হের্মিসর বা তিন ভাগ্য দেবীর (The Fate) প্রতিমা ভবিষ্যতে যদি কেউ স্থাপন করতে চান, তবে তার সেই ইচ্ছার উৎস তখন কী বলে বিবেচ্য হবে?
জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা আর প্রগতিশীলতার দোহাই দেয়া এই প্রতিমা সমর্থনের কৌশলী ভিত্তি যদি হয় রাজনৈতিক কোনো লক্ষ্য হাসিলের, তবে তা হবে ইতিহাসের সাথে বিবাদের শামিল। আমাদের ১৬ কোটি মানুষের আধুনিক দেশ মতাদর্শজনিত দলাদলির যেন এক অফুরন্ত ভাণ্ডার, যা অন্য কোথাও ১৬০ কোটি মানুষের মধ্যেও বিরল। এহেন বাস্তবতায় অনেকে এমন সব কথা বলেন, যা এই মাটি ও মানুষের ইতিহাসের সাথে সাংঘর্ষিক। তারা হয়তো জানেন না, ১৮৭৫ সালে বোম্বেতে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী আর্য সমাজ, শুদ্ধি ও সংগঠন কেন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে স্বামী শ্রদ্ধানন্দ মহারাজের খুনের কারণ, ১৯৪৭ সালে রাজস্থানে হাজার হাজার মেও সম্প্রদায়ভুক্তকে হত্যা, পুনঃহিন্দু ধর্মে শুদ্ধির মাধ্যমে গ্রহণের ইতিহাস। তারা হয়তো জানেন না যে, বর্তমানে ভারতে গরু নিয়ে যে রাজনীতি চলছে, তা ১৮৮২ সালে এই দয়ানন্দ সরস্বতীরই প্রতিষ্ঠিত গো-রক্ষা আন্দোলনের ফসল। হয়তো বা না জেনেই মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং মূলত বৌদ্ধদের রথযাত্রাকে বাঙালি সংস্কৃতি বলেছেন অনেকে। এখন তারা গ্রিক দেবীকে করতে চান আমাদের দেশে ন্যায়বিচারের প্রতীক। এ সবই যেন আমাদের ‘মেও’ সম্প্রদায়ের মতো বানানোর কৌশলী প্রচেষ্টা। দুর্মতি যেন না হয় আমাদের কারো জাতীয় দুর্গতির কারণ। 
Source: Daily Nayadiganta
Share:

মালয়েশিয়ায় ১২ শ’ বাংলাদেশী আটক By JasHim Bangla News 24

মালয়েশিয়ায় ধরপাকড় অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রায় এক হাজার ২০০ বাংলাদেশী আটক হয়েছেন। সরকার তাদের ব্যাপারে ভাবছে। পর্যায়ক্রমে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এ ছাড়া মালিকেরা চাইলে অবৈধদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনঃনিয়োগ করতে পারবেন। এতে তারা ফের কাজের সুযোগ পাবেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানান। 
এ দিকে মালয়েশিয়া থেকে গতকাল একাধিক বাংলাদেশী টেলিফোনে নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় ক্র্যাকডাউন অভিযান সোমবারও হয়েছে। কুয়ালালামপুরসহ দেশটির পাঁচটি স্থানে অভিযানে কিছু অবৈধ বিদেশী অভিবাসী ধরা পড়েছেন। তবে এ তালিকায় কোনো বাংলাদেশী আছেন কি না তা ইমিগ্রেশনের পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়নি। 
মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল উল্লেখ করা হয়, সোমবার দেশটির ইমিগ্রেশন অধিদফতরের মহাপরিচালক দাতু শ্রী মোস্তফা বিন আলীর নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মুহা: শহীদুল ইসলামসহ দুই সদস্যের প্রতিনিধির রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে ভারত ও নেপালের প্রতিনিধিদলও উপস্থিত ছিল। 
সভায় মহাপরিচালক মোস্তফা বিন আলী নিশ্চিত করেছেন, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সব অবৈধ বাংলাদেশী রি-হায়ারিং প্রক্রিয়ার আওতায় বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। তিনি এ সুযোগ গ্রহণে সবার প্রতি আহ্বান জানান। অবৈধ ব্যক্তিদের ধরপাকড় যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার একটি স্বাভাবিক ও চলমান প্রক্রিয়া। তবে গ্রেফতারের ভয় এড়িয়ে রি-হায়ারিং প্রক্রিয়ায় যাতে সব বাংলাদেশী অংশগ্রহণ করতে পারেন, সেজন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ মালিকপক্ষের চিঠির ভিত্তিতে তাদের নিরাপদে ইমিগ্রেশন অফিসে যাতায়াতের সুযোগ করে দেবেন। এ ছাড়াও তারা অন্যান্য কার্যকর পন্থা নিরসনের প্রচেষ্টা করছেন। এটি বাংলাদেশের পক্ষে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। 
হাইকমিশনের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত এক লাখ বাংলাদেশী ই-কার্ডের এবং দুই লাখ ৯৩ হাজার রি-হায়ারিং প্রক্রিয়ার অধীনে এসেছেন, যা সর্বমোট আবদেনের যথাক্রমে ৫৭ ও ৮৯ শতাংশ। মহাপরিচালক বাংলাদেশীদের এ অভূতপূর্ব সাড়ার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, উভয় পক্ষের মধ্যে সহযোগিতার এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট, প্রফেশনাল বা ব্যবসায়িক ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় কাজ করার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে মহাপরিচালক অনুরোধ করেন, যাতে সঠিক শ্রেণীর ভিসা নিয়ে বাংলাদেশীরা মালয়েশিয়ায় আসেন, যা এয়ারপোর্টে হয়রানির আশঙ্কা হ্রাস করবে। 
মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে সাম্প্রতিককালের হিসাব অনুযায়ী, বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে তিন-ছয় মাস মেয়াদি ১৫ জন, ৬-১২ মাস মেয়াদি চারজন এবং এক বছর মেয়াদি সাতজন সম্ভাব্য বাংলাদেশী আটক আছেন। এ সংখ্যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক কম, যা মহাপরিচালকের ভাষ্য অনুযায়ী বিস্ময়কর ও প্রশংসার দাবিদার। আটক হওয়াদের দ্রুত দেশে পাঠানোর সহযোগিতায় হাইকমিশনকে তিনি ধন্যবাদ জানান বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে। 
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বিপুল বাংলাদেশীকে সেবা প্রদানে গত সপ্তাহে হাইকমিশন ৩১ হাজার ৯৮৪ জনকে কনসুলার সেবা প্রদান করেছে। এ ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কনসুলার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এসব ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহা: শহীদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য নিতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

Source: Daily Nayadiganta
Share:

হোয়্যাটসঅ্যাপ ইউজারদের জন্য হুঁশিয়ারি By JasHim Bangla News

এখন বিশ্বে ম্যাসেজিংয়ের জনপ্রিয় অ্যাপ ‘হোয়্যাটসঅ্যাপ’। প্রতি মুহূর্তে এর অবদানের অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু আপনি কি জানেন এখন এই হোয়াটসঅ্যাপেই পাতা আছে ফাঁদ?
সাবধান না হলে হ্যাক হতে পারে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে আপনার যাবতীয় গোপন তথ্য। এমনকি চুরি যেতে পারে আপনার গচ্ছিত সঞ্চয়। এতদিন পর্যন্ত সবার জানার ছিল এই ধরণের ঘটনা বেশি ঘটে ফেসবুকে। এবার ফেসবুকের পাশাপাশি সাইবার অপরাধীরা এখানেও হানা দিয়েছে। ইংল্যান্ডে সম্প্রতি এই জনপ্রিয় সোশ্যাল অ্যাপকে ব্যবহার করে ব্যাংক ডিটেলস হ্যাক করার ঘটনা ঘটেছে।
আমরা অনেক সময় আমাদের চটজলদি কাজের জন্যে হোয়াটসঅ্যাপে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য ম্যাসেজের মাধ্যেমে অপরজনকে জানায়। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। বিভিন্ন দেশের হোয়াটঅ্যাপ ইউজাররা কেউই এখনো সাইবার হ্যাকারদের এই অপরাধের শিকার না হলেও টেকনোলজি এক্সপার্ট অনুমান করছে খুব তাড়াতাড়ি যেকোনো সময় হামলা চলতে পারে। তাই আগাম সতর্ক থাকা উচিত। সতর্ক বার্তা জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের শীর্ষ কর্তারাও। এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের ১০০ কোটির ওপর হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার রয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপের শীর্ষ কর্তারা জানিয়েছেন, ‘আমাদের নথি অনুযায়ী আপনার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের এক বছরের ট্রায়াল পিরিয়ডের মেয়াদ শেষ। আর এর কারণে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে আর কোনো ম্যাসেজের আদান-প্রদানও হবে না। কোনো রকম প্রতিবন্ধতা ছাড়া, বিরামহীনভাবে পরিসেবা চালিয়ে যেতে হোয়াটসঅ্যাপ সাবস্ক্রাইব করুন…’, এই ম্যাসেজের মাধ্যমেই ফাঁদ পেতেছে হ্যাকাররা। এরকম কোনো ম্যাসেজ পেলে তা এড়িয়ে চলুন। যে বা যারা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে এই সাইবার অপরাধ সংগঠিত করছে তাদের খুঁজে বার করা এবং যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে তারা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।

Source: Daily Nayadiganta
Share:

হুমায়ূন আহমেদের রূপার জন্য ভালোবাসা By JasHim Bangla News

বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাণের মহান কারিগর হুমায়ূন আহমেদের ১৯ জুলাই প্রয়াণ দিবসে তার প্রেমের গল্প অবলম্বনে বিশেষ টেলিফিল্ম রূপার জন্য ভালোবাসা প্রচার হবে চ্যানেল আইতে। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে তা প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে।
টেলিফিল্মটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন রাজু আলীম। চিত্রগ্রহণে রয়েছেন জোবায়েদ হোসেন তুফান। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- চঞ্চল চৌধুরী, চ্যানেল আই লাক্স সুন্দরী ঈশানা খান ও মুমতাহিনা টয়া, শহিদুল আলম সাচ্চু, কাজী উজ্জ্বল, ইকবাল বাবু, রিয়াজ হোসেন, মাহবুব আলম, মুনা চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
রূপা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করে। রূপার রূপে মুগ্ধ হয়ে তার প্রেমে পড়ে এক যুবক। রূপার জন্য সে তার পিছন পিছন ঘুরে বেড়ায়; কিন্তু তার ভালোবাসার কথা মুখ ফুটে প্রকাশ করতে পারে না। সে কৌশলে রূপার গাড়ি চালকের কাছ থেকে তার বাসার ঠিকানা সংগ্রহ করে। প্রেমে উন্মাদ হয়ে সে রূপার বাড়িতে গিয়ে আমরণ অনশনে বসে পড়ে। রূপার বাড়ির লোকজন বিব্রত হয়। রূপার বাবা তাকে হুমকি দেয় পুলিশে দেয়ার; কিন্তু সে তার হুমকিকে পরোয়া করে না। সে ঠায় বসে থাকে বাসার সামনে। রূপার মা তাদের আত্মীয়দের খবর দিতে বলে। বাসায় সবাই এসে হাজির হয়। চলতে থাকে নানান জল্পনা-কল্পনা। সবার ধারণা রূপার সাথে নিশ্চয় ছেলেটির সম্পর্ক আছে। রূপা সবাইকে বুঝানোর চেষ্টা করে যে সে ছেলেটিকে চেনে না; কিন্তু তার কথা কেউ বিশ্বাস করে না। বাড়ির দারোয়ান থেকে শুরু করে রূপার বাবা পর্যন্ত ছেলেটিকে বুঝায়; কিন্তু সে নাছরবান্দা। সে রূপার ভালোবাসার স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত এই বাড়ি থেকে এক পা নড়বে না। শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে সে। রূপার খুব মায়া হয় ছেলেটির জন্য। সব শেষে রূপা নিজেই এসে দেখা করে তার সাথে। ছেলেটি দেখে সে যে মেয়েকে ভালোবাসে এই রূপা সেই রূপা না। এবার সে নিজেই বিব্রত হয়। শেষে মেয়েটির কাছে ক্ষমা চায় এবং ফিরে যেতে চায়; কিন্তু রূপা তাকে বলে এখন যদি সে তাকে বিয়ে না করে তাহলে সে আত্মহত্যা করবে। ছেলেটি কোনো কথা বলে না। চিত্রনাট্য এগিয়ে যায় তার নিজস্ব গতিতে।

Source: Daily Nayadiganta
Share:

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ By Bangla Daily News

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ শুরু হতে এখনো অনেক দেরি। ইতোমধ্যে টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে ফিটনেস ক্যাম্প শুরু করেছে প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটাররা। তবে নিজ দায়িত্বে ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করেছেন মুশফিকুর রহিম, পাশাপাশি বোলিংয়েও ঘাম ঝরিয়েছেন মাশরাফি মর্তুজা। দলের প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে আসার পরেই মূল অনুশীলন শুরু করবে ক্রিকেটাররা।
এদিকে মঙ্গলবার ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিটনেস ক্যাম্প শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। অস্ট্রেলিয়া সিরিজকে ঘিরে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। নিজেদের মাটিতে সিরিজটি হলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং দেখছেন মুমিনুল।
বলেন, 'যেকোনো কন্ডিশনেই ওরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়া স্পিন হোক কিংবা পেস, দুটাই ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারে। ওদের দলে বেশ কয়েকজন ভালো পেসার রয়েছে যারা জোরে বল করতে সক্ষম। আমার কাছে মনে হচ্ছে উইকেট স্পিন হোক বা পেস, সিরিজটি চ্যালেঞ্জিং হবে।'
অস্ট্রেলিয়া সিরিজকে ঘিরে প্রস্তুতি শুরু করলেও নিজেদের বোর্ডের সাথে ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্বের কারণে বাংলাদেশে আসবে কিনা সেটা নিয়ে রয়েছে সংশয়। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের চেয়ে অস্ট্রেলিয়া অনেক এগিয়ে থাকলেও মুশফিক বাহিনীদের সাম্প্রতিক টেস্ট ফর্ম ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতবে বলে আত্মবিশ্বাসী মুমিনুল, তবে সিরিজ সমতা হলেও কোনো সমস্যা দেখছেন না তিনি।
'আগের চেয়ে আমরা অনেক ভালো টেস্ট খেলছি। শেষ কয়েকটি সিরিজেও সেটির প্রমাণ রয়েছে। আমার বিশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমরা ২-০ তে জিতবো। সিরিজ ‘ড্র’ হলেও কোনো সমস্যা নেই। তবে আমি চাওয়া, যেন সিরিজের দুটি ম্যাচই জিততে পারি।'

Source: Daily Nayadiganta
Share:

হাতিরঝিলের পানিতে দূষণ By JasHim News

পচন ধরেছে রাজধানীর সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও পরিবেশবন্ধব এলাকা হিসেবে পরিচিত হাতিরঝিলের পানিতে। মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। দুর্গন্ধের কারণে কমে গেছে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সংখ্যা। টেকা দায় হয়েছে আশপাশ এলাকার বাসিন্দাদের। কাওরানবাজার, বাংলামোটর, পান্থপথ, কাঁঠাল বাগানসহ আশপাশ এলাকার ড্রেনের পানির পাশাপাশি স্যুয়ারেজের পানি হাতিরঝিলের মধ্যে চলে আসায় পানিতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। 
সরেজমিন দেখা যায়, হাতিরঝিলের সোনারগাঁও হোটেল প্রান্ত দিয়ে বাইরের পানি হাতিঝিলের ভেতরে ঢুকছে। ময়লা আবর্জনাসহকারে আসা এ পানি হাতিরঝিলে প্রবেশমুখে স্থাপিত বিশেষ পরিষ্কারকারী যন্ত্র এসএসডিএসের মধ্য দিয়ে আসছে। তবে সেখানে একটি স্থানে তিনটি যন্ত্র থাকলেও গতকাল বিকেলে একটি চালু থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া পাশে আরো দু’টি যন্ত্র থাকলেও তা বন্ধ ছিল। এ দুটি দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ রয়েছে বলে জানা যায়। পুরো হাতিরঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সোনারগাঁও হোটেল প্রান্তের পানি অত্যধিক কালো রঙ ধারণ করেছে এবং এ অংশের পানিতে দুর্গন্ধও বেশি। বিজিএমই ভবন পার হয়ে সাতরাস্তা-মগবাজার সড়ক অতিক্রমের পর পানির কালো রঙ কিছুটা কমলেও স্বচ্ছ নয়। এ অংশে পানি সবুজ রঙ ধারণ করেছে। এ ছাড়া পুরো হাতিরঝিলের পানিতে কুচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। 
জানা যায়, প্রতি বছর বর্ষা মওসুম এলেই হাতিরঝিলের পানিতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশ এলাকার ময়লা-আবর্জনাযুক্ত স্যুয়ারেজের পানি হাতিরঝিলে চলে আসায় দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। 
হাতিরঝিলসংলগ্ন দিলুরোডের বাসিন্দা তোতা মিয়া নয়া দিগন্তকে বলেন, প্রতি বছর বর্ষাকাল এলেই হাতিরঝিলের পানি খারাপ হতে শুরু করে। অন্য সময় পানি পরিষ্কার রাখতে ওষুধ ছিটাতে দেখা গেলেও এ সময় তা দেখা যায় না। 
মধ্য বেগুনবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন নয়া দিগন্তকে বলেন, পুরো হাতিরঝিলজুড়েই ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে রয়েছে। বিকেলে এখানে একটু ঠাণ্ডা বাতাস খেতে আসি। কিন্তু তার উপায় নেই। হাতিরঝিলের পাশে বসা যায় না। এমনকি দুর্গন্ধে বাসায়ও থাকতেও কষ্ট হয়। এ জন্য হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা লোকজন কিছুক্ষণ থেকেই দ্রুত চলে যায়। 
হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা তরুণ সোহম খান বলেন, একটু ফ্রেশ হওয়ার জন্য এখানে প্রায়ই আসি। কিন্তু প্রতি বছর বর্ষা এলেই পানিতে দুর্গন্ধ হয়ে যায়। তখন এখানে বেশিক্ষণ থাকা যায় না। 
সীমা দাস নামে এক গৃহবধূ বলেন, সময় পেলেই বাচ্চাদের নিয়ে এখানে আসি। কিন্তু দুর্গন্ধের কারণে বাচ্চাদের অসুবিধা হয়। তারা থাকতে চায় না। এখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য টানাটানি করে। 
হাতিরঝিলের প্রকল্প পরিচালক (রাজউক) জামাল আক্তার ভূঁইয়া নয়া দিগন্তকে বলেন, আশপাশের ময়লা পানি চলে আসার কারণে বর্ষাকালে দুর্গন্ধ হচ্ছে। এ জন্য হাতিরঝিলের পানি পরিষ্কার রাখতে সম্প্রতি ‘সেপারেশন অব স্যুয়ার লাইন ফ্রম স্টর্ম ওয়াটার লাইন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ প্রকল্প অনুসারে হাতিরঝিলের বাইরে থেকে আসা পানির জন্য পৃথক লাইন করার কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্প অনুসারে ড্রেনের পানি ও স্যুয়ারেজের পানি আলাদা করা হবে। শুধুমাত্র ড্রেনের পানি হাতিরঝিলে ঢোকার সুযোগ দেয়া হবে। আর স্যুয়ারেজের ময়লা পানি পৃথক লাইন দিয়ে হাতিরঝিলের বাইরে দিয়ে যাবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তখন আর দুর্গন্ধের সমস্যা থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Source: Daily Nayadiganta
Share:

চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত : অভিনেতা আবদুর রাতিনের ইন্তেকাল By Bangla news Daily

বিশিষ্ট চলচ্চিত্র, বেতার, মঞ্চ ও নাট্যাভিনেতা আবদুর রাতিন আর নেই। রাজধানীর পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রাত ২টা ৩০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহে রাজেউন)। আজ বাদ যোহর নারিন্দার বিনোদ বিবি মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে স্বামীবাগে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
কিছুদিন আগে চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর পুরনো ঢাকার ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল শক্তিমান এ অভিনেতাকে। কিন্তু চিকনগুনিয়া থেকেই তার কিডনী ও লিভারে সমস্যা দেখা দেয়। শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। এর মধ্যে গত ৬ জুলাই ব্রেইনস্ট্রোক হয় তার। এরপর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকলে তাকে পিজি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অভিনেতা রাতিন অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৭০ সালে মোস্তফা মেহমুদ পরিচালিত নতুন প্রভাত ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন তিনি। তারপর অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেন। এছাড়া তার অভিনীত মঞ্চ নাটকের সংখ্যা প্রায় শতাধিক।

Source: Daily Nayadiganta
Share:

যানজটে ঢাকায় দিনে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট : বিশ্বব্যাংক By Bangla News Daily

বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের উচ্চ-মধ্যম আয়ের লক্ষ্য অর্জনে ঢাকার আধুনিকায়ন প্রয়োজন। যানজটের কারনে ঢাকায় দিনে ৩২ লাখ কর্ম ঘন্টা নষ্ট হয়। বিগত ১০ বছরে যান চলাচলের গড় প্রতি ঘন্টায় ২১ কিলোমিটার থেকে কমে ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত নেমে এসেছে। যা পায়ে হেটে চলার গড় গতি হচ্ছে ৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। আর ঢাকার দুমেয়র বলেছেন, ঢাকাকে অাধুনিকায়ন করতে হলে সবগুলো সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনকে সিটি গভমেন্টে পরিনত করতে হবে।
আজ রাজধানীর এক হোটেলে আগামী ২০৩৫ সালে ঢাকার উন্নয়ন শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিন এশীয় প্রধার অর্থনীতিবিদ মার্টিন রামা, ইউই লী। ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকার দুমেয়র আনিসুল হক ও মো. সাঈদ খোকন, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
বিশ্ব ব্যাংকক বলছে, ঢাকা মহানগরীর দ্রুত সম্প্রসারণের সাথে ঢাকার নগর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সামঞ্জস্য রাখা হয়নি। ফলে একটি বিশৃঙ্খল ও অসমনগরায়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রায় ৩৫ লাখ বস্তিবাসীসহ অনেক অধিবাসী প্রায়ই মৌলিক সেবা, অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
মেয়র আনিসুল হক বলেন, বিশ্বব্যাংক ভাল পার্টনার, কিন্তু লেইট ডিসিশন মেইকার। এখানে সমস্যা হলো জনসংখ্যা ও ট্রাফিক। আমাদের অনেক প্রস্তুতি দরকার। পযোজন সরকারের অংশগ্রহন।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এখানে এখোনো পরিকল্পিত ড্রেনেজ, সুয়ারেজ, অবকাঠামো নেই। দরকার সেবা খাতের মধ্যে সমন্বয় সাধন। ৫৬সেবা খাত ঢাকায় কাজ করছে। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনকে সিটি গভর্মেন্টে পরিনত করতে হবে। কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩৫ সালে ঢাকার জনসংখ্যা হবে সাড়ে ৩ কোটি।

Source: Daily Nayadiganta
Share:

Tuesday, July 18, 2017

অন্ধকারে স্মার্টফোন ব্যবহার ডেকে আনতে পারে ভয়ানক বিপদ | Bangla News Daily

ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে উঠে হাত চলে যায় ফোনের দিকে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফোনের দিকে তাকিয়ে কাজ করতে করতে চোখ লেগে আসার শুনে মনে হবে, এ তো রোজকার বিষয়। কিন্তু এরকম রোজ চলতে থাকলে তার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ে চোখের উপরে।

‘গ্রিন ট্রি মেডিক’-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার সময়ে, ফোন থেকে বেরিয়ে আসা সবুজ আলো চোখের পক্ষে ব্যাপক ক্ষতিকর। এমনকী, চোখের রেটিনা পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। একই রকম ঘটনা ঘটেছিল নিউ ইয়র্কের এক ব্যক্তির জীবনে।

তিনি প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে, টানা আধ ঘণ্টা অন্ধকার ঘরে ফোন ঘাঁটাঘাটি করতেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরে চিকিৎসকরা দেখতে পান, ওই ব্যক্তি আই-ক্যানসারের শিকার। এই ব্যক্তির চোখের ক্যানসার এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, চিকিৎসকরা আর বাঁচাতে পারেননি তাকে।

ফিংগার নামে একজন চোখ বিশেষজ্ঞের মতে, স্মার্টফোনের থেকে যে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটে তার ফলেই অন্ধত্ব বা আই ক্যানসার হতে পারে।

Source:bd-pratidin
Share:

হজ ফ্লাইট ২৪ জুলাই থেকে ২৬ আগস্ট : মেনন | Bangla JasHim news 24

হজ ফ্লাইট ২৪ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে বলে নিশ্চিত করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।  

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে হজসংক্রান্ত এক সভায় এসব তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ যাত্রী বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যাচ্ছে বলে জানা গেছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চূড়ান্তভাবে নিবন্ধিত সব হজযাত্রীকেই স্বাস্থ্য সনদ ও টিকা নিতে হবে। স্বাস্থ্য সনদটি বিমানবন্দরে প্রদর্শনের জন্য যাত্রীদের সংরক্ষণ করতে হবে।

যাত্রী পরিবহন করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স। ওই দুই এয়ারলাইন্স সমান অনুপাতে যাত্রী পরিবহন করবে।

আর এবার ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু ৬ সেপ্টেম্বর এবং শেষ হবে ৫ অক্টোবর। এ ছাড়া মদিনা থেকে ৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।  


Source:bd-pratidin
Share:

৪২ মিনিট পর জীবিত হয়ে উঠলেন যে 'মৃত' যুবক!|Bangla news Daily

জন ওগবার্ন, যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা। বয়স মাত্র ৩৬, হঠাৎ করে ওই যুবকের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। টানা ৪২ মিনিট বন্ধ থাকে তার শ্বাস-প্রশ্বাস। উপস্থিত সবাই ধরেই নিয়েছিলেন ওগবার্ন আর জীবিত নেই। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি এখনও দিব্যি বেঁচে আছেন।

সম্প্রতি ল্যাপটপে কাজ করার সময় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের (হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ) কবলে পড়েন জন ওগবার্ন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশও তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছে তাকে সিপিআর দেয়া শুরু করে। ৪২ মিনিট পর ওগবার্নের পালস ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত তারা চেষ্টা চালিয়ে যান।  

তবে এখন সুস্থই আছেন ওগবার্ন। চিকিৎসকরা তাকে ছয় মাস গাড়ি না চালাতে বলেছেন। সুস্থ হওয়াটাকে নিজের দ্বিতীয় জীবন বলে মনে করছেন ওগবার্ন।

মাইকেল কুর্জ নামে এক চিকিৎসক বলছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া প্রতি মিনিট বন্ধ থাকা অবস্থায় যদি সিপিআর না দেয়া হয়, এর জন্য বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ১০ শতাংশ করে কমে যায়।
Source:bd-pratidin
Share:

বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান কোহলি : আমির |JasHim bangla news

বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান নির্বাচন করাটা ক্রিকেট বিশ্বের জন্য কঠিন হলেও পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির স্পষ্ট করে বলেছেন, আর কেউ নন বর্তমান বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

সম্প্রতি নিজের টুইটারে আয়োজিত এক চ্যাট অধিবেশনের আয়োজন করেন আমির। এ সময় বর্তমান সময়ে তার প্রিয় সেরা ব্যাটসম্যানের নাম জানতে চাইলে বাঁ-হাতি এ পেসার লিখেছেন ‘বিরাট কোহলি’।

জো রুট, স্টিভ স্মিথ, কেন উইলয়ামসন এবং কোহলির মধ্যে বর্তমানে সেরা ব্যাটসম্যান কে? এমন প্রশ্নের জবাবে ২৫ বছর বয়সী এ পেসার পুনরায় বলেন, ‘তারা সকলেই ভাল তবে নির্দিষ্ট করে বিরাট কোহলি। ’

গত মাসে ইংল্যান্ডে শেষ হওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইনআপ হিসেবে পরিচিত ভারতীয় দলকে নিজের ওপেনিং স্পেলেই ধ্বসিয়ে দেন আমির। ভারতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান কোহলি, শিখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মার তিন উইকেটই দখল করেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কারণে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ থাকা আমির। ফাইনালে কোহলির ভারতকে ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাতে পাকিস্তানের পক্ষে মূল ভূমিকাও রেখেছেন তিনি।  

চ্যাট অধিবেশনে পাকিস্তানি এ পেসার নিজের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকারের উইকেট শিকারের আনন্দের কথাও উল্লেখ করেন।

চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ২০০৯ আসরে লীগ পর্বে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৮ রান করা টেন্ডুলকারের উইকেট শিকার করেছিলেন আমির।

Source:bd-pratidin
Share:

বন্যার্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে সরকার : মায়া | Bangla news 24

আগামী এক থেকে দেড় মাস বন্যার্ত মানুষের পাশে থেকে সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয মাঠে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেছেন, বন্যার্ত এসব মানুষের জন্য রিলিফের পাশাপাশি তাদের স্থায়ী সমাধানের ব্যাবস্থা করা হবে। যেসব এলাকায় বাঁধের কারণে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়েন, সেসব এলাকায় বাঁধগুলো সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে নীলফামারী-০১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালযের সচিব শাহ কামাল, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খানসহ আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী এদিন ডিমলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৭ শত ২৫টি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল ও নগদ টাকা বিতরণ করেন।

Source:bd-pratidin
Share:

শাবানার টাকায় নির্মিত হলো মসজিদ ও কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র | Bangla News

বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা এখন যশোর। আজ মঙ্গলবার শাবানা তার শ্বশুরবাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলায় গিয়ে একটি মসজিদ উদ্বোধন ও কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময় শাবানার সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী ওয়াহিদ সাদিক ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর।

শাবানা অভিনয় ছেড়েছেন ১৯৯৭ সালে। এরপর থেকে তাকে আর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। শুধু চলচ্চিত্রই নয়, কিছুদিন পর দেশও ছাড়েন এই অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ২০০০ সালে।   সর্বশেষ শাবানা যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছেন গত মে মাসে।

যশোরের কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামে মঙ্গলবার সকালে চিত্রনায়িকা শাবানা ও তার স্বামী ওয়াহিদ সাদিকের অর্থায়নে নির্মিত মসজিদ ও কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। এসময় স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন শাবানা ও তার স্বামী।

মসজিদ ও কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র উদ্বোধনের পর শাবানা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং সকলের কাছে দোয়া চান। তখন আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ  খান পাঠান ও  কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ও মন্ত্রীর এপিএস শফিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি আব্দুল হালিম প্রমুখ।

এদিকে, শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদিক আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি যশোর-৬ আসন থেকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য প্রাথমিক ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন। স্বামী সাদিকের জন্য সকলের সমর্থন চাচ্ছেন শাবানা।  

Source:kalerkantho
Share:

যে অভিজ্ঞতা নিয়ে গ্রামে ফিরতে হয়েছিল আদুরীকে? |jashim Bangla News 24

বাংলাদেশে প্রায় চার বছর আগে নির্যাতনের পর মৃত ভেবে গৃহকর্মীকে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল। আজ সে মামলার রায়ে গৃহকর্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। পটুয়াখালী সদর উপজেলার কৌরাখালি গ্রামের মেয়ে আদুরী তার বাবা-মায়ের সপ্তম সন্তান। অভাব আর অনটনের সংসার, তাই শৈশবেই তাকে শুরু করতে হয় অন্যের বাড়িতে কাজ করা। পাঠানো হয় ঢাকায় কিন্তু সেখানেই মাত্র ১১ বছর বয়সে ভয়াবহ নির্যাতনের অভিজ্ঞতা আর চিহ্ন নিয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে ফিরে যেতে হয় কৌরাখালি গ্রামে।

২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে যখন তাকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ, তখন শিশু আদুরী প্রায় মৃত। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে আদুরীর ওপর গৃহকর্ত্রীর চরম নির্যাতনের বিবরণ। মামলা হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। আজ সে মামলার রায়ে গৃহকর্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। পুলিশের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের যে বাসায় কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল সে বাসার গৃহকর্ত্রী ধারালো চাকু দিয়ে কেটে আর গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে আদুরীর শরীর।

পরে মারাত্মক জখম অবস্থায় মরে গেছে মনে করে তাকে ফেলে দেওয়া হয় ডাস্টবিনে, আর সেখান থেকেই মৃতপ্রায় আদুরীকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এর পর আদুরীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর গঠন করা হয় উচ্চ পর্যায়ের মেডিক্যাল বোর্ড। তখন চিকিৎসকরা জানান, আগুনের কারণে চামড়া কুঁচকে যাওয়া এবং থেঁতলে যাওয়া মাংস সহ আদুরীর মাথা থেকে পা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিকিৎসা করা হচ্ছে। পাশে বসে থাকা আদুরীর মা সাফিয়া বেগম বলেছিলেন যে তার মেয়ে তাকে বলেছে তার শরীরে ব্লেড দিয়ে পোঁচ দেওয়া হয়। এমনকি গরম ইস্ত্রি দিয়ে তার শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে।

পরে আদালতে গিয়েও গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের বর্ণনা দেয় আদুরী। আদুরী জানায় সারা দিন কাজ করিয়ে শুধু মুড়ি কিংবা কখনো কখনো শুধু ভাত আর লবণ মরিচ দেওয়া হতো খাওয়ার জন্য আর তার থাকার জায়গা মিলত ব্যালকনিতে। সেই গৃহকর্ত্রী অবশ্য নিজেও আদালতে আদুরীকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন। আজ সেই মামলার রায়ে আদালত গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহান নদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আর এক লাখ টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি আলী আসগর স্বপন। রায় ঘোষণার পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আদুরীর মা। 

Source:kalerkantho
Share:

'চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তি পাবে নগরবাসী' By Bangla news Daily

সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে অল্প কিছু দিনের মধ্যে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বাসিন্দারা মুক্তি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র সাঈদ খোকন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুরান ঢাকার মহিলা কলেজের সামনে চিকুনগুনিয়া-রোধে সচেতনতামূলক র‌্যালি শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

সাঈদ খোকন বলেন, সব পেশাজীবী, স্বেচ্ছাসেবক, রাজনৈতিক সংগঠন যে যার অবস্থান থেকে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতামূলক র‌্যালি সমাবেশ করুন। এদিকে, ৫৭টি ওয়ার্ডে একযোগে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নিধনে সচেতনতামূলক র‌্যালি, লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সমাবেশের পূর্বে মেয়রের নেতৃত্বে পুরো ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকা ঘুরে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি'র প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. শেখ সালাউদ্দিন প্রমুখ।

Source:kalerkantho
Share:

রেকর্ড রান তাড়া করে জিম্বাবুয়েকে ৪ উইকেটে হারালো শ্রীলংকা By JasHim Bangla news

নিরোশান ডিকবেলা ও আসেলা গুনারত্নের লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরিতে রেকর্ড ৩৮৮ রান তাড়া করে জিম্বাবুয়েকে সিরিজের একমাত্র টেস্টে ৪ উইকেটে পরাজিত করেছে স্বাগতিক শ্রীলংকা।  

ষষ্ঠ উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ ১২১ রানের পার্টনারশীপেই লংকানদের জয় নিশ্চিত হয়। একইসাথে কলম্বোতে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের অসাধারণ এক রেকর্ডও গড়ে শ্রীলংকা। এই পার্টনারশীপে ডিকবেলা ৮১ রানে উইলিয়ামসের শিকার হলেও অপর প্রান্তে গুনারতেœ ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন।  

এর আগে ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৫২ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল শ্রীলংকা যা এ পর্যন্ত টেস্টে তাদের সেরা অর্জন ছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসের এই রান এশিয়ায় কোন দলের সর্বোচ্চ ও টেস্টে পঞ্চম সর্বোচ্চ রান।  

গল টেস্ট জিততে পঞ্চম ও শেষ দিনে স্বাগতিক শ্রীলংকার প্রয়োজন ছিল ২১৮ রান এবং সফরকারী জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল প্রতিপক্ষের ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭৭ রানে অলআউট হয়ে শ্রীলংকার সামনে জয়ের জন্য ৩৮৮ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছিল লংকানরা। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ৩৫৬ ও শ্রীলংকা ৩৪৬ রান করেছিলো।  

মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজার অপরাজিত ৯৭ ও ম্যালকম ওয়ালারের অপরাজিত ৫৭ রানের কল্যাণে ৬ উইকেটে ২৫২ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিলো জিম্বাবুয়ে। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা রাজার মনের স্বাদ পূর্ণ হয়। ২০১৩ সালে টেস্ট অভিষেকের পর সপ্তম ম্যাচে এসে সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন রাজা।

প্রথম ইনিংসে ক্রেইগ আরভিনের ১৬০ রানের পর একই টেস্টে দুই জিম্বাবুয়ে খেলোয়াড়ের সেঞ্চুরি ঘটলো ১৭ বছর পর। সর্বশেষ ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে একই টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন গ্র্যান্ড ফ্লাওয়ার, এন্ডি ফ্লাওয়ার ও অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল।  

এই জয় শ্রীলংকার নতুন টেস্ট দিনেশ চান্ডিমালের জন্যও অনন্য এক অর্জন। বিশেষ করে জিম্বাবুয়ের মত র‌্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে থাকা দলের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে পরাজিত হবার পরে টেস্টে এই জয়টা জরুরী ছিল।  

কলম্বোর আর.প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার তার লেগ স্পিন দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন চার উইকেট। সব মিলিয়ে ২৭৫ রানের বিনিময়ে তার সংগ্রহ ৯ উইকেট।

ডিকবেলার বিদায়ের পরে ম্যাচ সেরা গুনারত্নে সপ্তম উইকেটে দিলরুয়ান পেরেরাকে (২৯*) নিয়ে ৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। প্রথম ইনিংসে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়া গুনারতেœ ১৫১ বলের ইনিংসে জিম্বাবুয়ের স্পিনারদের বেশ ভালভাবেই সামাল দিয়েছেন।  

বাঁ-হাতি স্পিনার সিন উইলিয়ামসের বলে কট বিহাইন্ড হবার আগে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ডিকবেলা ১১৮ বলে ৬টি বাউন্ডারির সহায়তায় ৮১ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস উপহার দিয়ে গেছেন। রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে তিনি উইকেটের পিছনে রেজিস চাকাভার হাতে ধরা পড়েন। এর আগে ৩৭ রানে অফ-স্পিনার সিকান্দার রাজার বলে স্টাম্পিংয়ের সুযোগ থেকে বেঁচে যান ডিকবেলা। এরপর ৬৩ রানে আবারো রাজার বলে চাকাভার হাতে জীবন ফিরে পান। ঐ সময়ই মূলত স্বাগতিকদের জয়ের ভিত রচিত হয়।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর 
জিম্বাবুয়ে : ৩৫৬ ও ৩৭৭, ১০৭.১ ওভার (রাজা ১২৭, ওয়ালার ৬৮, হেরাথ ৬/১৩৩)।  
শ্রীলংকা : ৩৪৬ ও ৩৯১/৬, ১১৪.৫ ওভার (ডিকবেলা ৮১, গুনারুতেœ ৮০*, মেন্ডিস ৬৬, করুনারতেœ ৪৯, ক্রেমার ৪/১৫১)।  
ফল : শ্রীলংকা ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আসেলা গুনারত্নে (শ্রীলংকা)
ম্যান অব দ্য সিরিজ : রঙ্গনা হেরাথ (শ্রীলংকা)

Source:kalerkantho
Share:

Sunday, July 16, 2017

বন্যা মোকাবেলায় চাহিদা মতো খাদ্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা by JasHim News 24

জেলা প্রশাসকদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খাদ্যশষ্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম। তিনি জানিয়েছেন, সরকার বন্যা কবলিত ১৭ জেলার প্রতি ইউনিয়নে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে। প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু হবে।  

আজ রবিবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ ঘোষণা দেন। বৈঠকে উপস্থিত স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া জনগনকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বন্যা দূর্গতদের পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বৈঠকে জানানো হয়, সরকার বন্যাপ্লাবিত জেলাসমূহের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ১০০ মেট্রিক টন চাল, এক কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট অঞ্চলের জেলাসমূহে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল টিম বন্যা কবলিত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও বৈঠকে জানানো হয়।

সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডেপুটি স্পিকার গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল, জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম হিরুসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Source:kalerkantho
Share:

মৌসুমি ১০ রোগে অস্থির দেশ by JasHim News 24

মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে এবার বর্ষা মৌসুমে দেশে একযোগে ১০টি রোগ জেঁকে বসেছে। ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ভয় সর্বব্যাপী। সেই সঙ্গে আছে ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ফাইলেরিয়া এমনকি জাপানিজ এনসেফালাইটিস আতঙ্ক। সঙ্গে আছে জিকা প্রবেশের ভয়। দেশে কম-বেশি প্রকোপ আছে কলেরা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টেরও। এসব রোগে কম-বেশি মৃত্যুর নজির আছে বিশ্বের কোথাও না কোথাও। মশাবাহিত রোগের জন্য বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, সেই সঙ্গে সরকারেরই স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের আগাম প্রস্তুতিতে গাফিলতিকে দায়ী করছেন। চিকুনগুনিয়ার বিস্তারে কীটনাশকের মান অকার্যকর হয়ে পড়েছে কি না কিংবা মশা কীটনাশক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে কি না তা-ও সঠিকভাবে গবেষণার তাগিদ দিচ্ছেন কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ। পানিবাহিত রোগ হিসেবে ডায়রিয়া প্রতিরোধে ওয়াসার দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছে খোদ ঊর্ধ্বতন মহল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম কালের কণ্ঠকে বলেন, চিকুনগুনিয়ার বিস্তার হয়েছিল জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের কারণে। আমরা তা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। যদিও চিকুনগুনিয়া বা ডেঙ্গুর বাহক হিসেবে যে এডিশ মশা দায়ী, সেই মশা নিধনের দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়। এটার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। সিটি করপোরেশন যদি ওই দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে থাকে তবে স্বাস্থ্য বিভাগের ওপর মশাবাহিত রোগের চাপ কমে যাবে। একইভাবে ডায়রিয়া যেহেতু পানিবাহিত জীবাণু থেকে হয়ে থাকে, তাই নিরাপদ পানির সংস্থান যদি ওয়াসা ঠিকমতো করে তবে ডায়রিয়ার নিয়ন্ত্রণও সহজ হয়ে যাবে স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বরবারই বর্ষার সময় দেশে নানা রোগ-ব্যাধি দেখা দেয়। এবার বর্ষা আগাম হওয়ায় চিকুনগুনিয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে এটি এখন নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে। চিকিত্সাও চলছে ভালোভাবেই। এর মধ্যেই সব সরকারি হাসপাতালে চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি মোকাবেলায় হেল্পডেস্ক খোলা হয়েছে। পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগীদের শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধির ব্যথা প্রশমনে প্রতিটি হাসপাতালে প্রয়োজনে জয়েন্ট পেইন ক্লিনিক বা আর্থালজিয়া ক্লিনিক খোলারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখান থেকে রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি বা ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হবে। দেশের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ জেলা ও উপজেলা হাসপাতালেও এই সেবা দেওয়া হবে। জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, এবার একই সঙ্গে দেশে অন্যান্য রোগও দেখা দিয়েছে। ফলে সমস্যা বেশি মনে হচ্ছে। যা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। এর নেপথ্যে জলবায়ু পরিবর্তন অনেকাংশেই দায়ী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, বর্ষায় যেসব রোগ দেখা যায় আমরা তার সব নিয়েই কাজ করছি। মাঠ পর্যায়েও আমাদের কর্মীরা সজাগ রয়েছে। ফলে ভালোভাবেই আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারব।

একই অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহম্মেদ বলেন, প্রধানত এডিস এজিপ্টি, কিউলেক্স ও অ্যানাফেলিস মশার মাধ্যমেই ছড়ায় এসব রোগ। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ ছয়টি রোগের ঝুঁকি থাকলেও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সূত্র অনুসারে, ওই তিন জাতের মশা অন্তত ৯টি রোগের মারাত্মক বাহক ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। যদিও বাংলাদেশে এই রোগের সব কটি নেই। তবে এই মশার উপদ্রব বৃদ্ধির পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও বড় ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে এবার দেশে চিকুনগুনিয়া বিস্তারে আগাম বর্ষা অনেকটাই দায়ী। এক কথায় এবার দেশে মশা প্রজননবান্ধব পরিবেশ-আবহাওয়া পেয়েছে দীর্ঘ মেয়াদে। যার মধ্যে এডিস মশার প্রজনন বেপরোয়া হয়ে ওঠায় চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস সর্বত্র ছড়াতে সহায়ক হয়েছে।

এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য, বিশ্বে বছরে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে  ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটছে। ডেঙ্গুর ঝুঁকিতেই আছে ১০০টি দেশের প্রায় আড়াই বিলিয়ন মানুষ। বাংলাদেশও অন্যতম একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত।  

বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই মৌসুমে শুধু মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া বা ডেঙ্গুই নয়, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড থেকেও জ্বর হতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য কিছু ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণও আছে আমাদের দেশে।

চিকুনগুনিয়া : দেশে গত মে মাসের শুরু থেকেই দেখা দিয়েছে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তখন বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব না দিলেও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে শুরু করে। এর মধ্যে ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে চিকুনগুনিয়া। ঢাকায় একরকম ঘরে ঘরে আক্রান্ত হয় মানুষ। ছুটতে শুরু করে হাসপাতাল ও ডাক্তারের কাছে। তোলপাড় লেগে যায় সবদিকে। উচ্চ আদালতে গড়ায় এ রোগের প্রকোপের ঘটনা। জাতীয় সংসদে পর্যন্ত আলোচিত হয়ে ওঠে চিকুনগুনিয়া। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হয় বারবার। সরকারের তরফ থেকে চালানো শুরু করা হয় জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন তত্পরতা।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা বলেন, চিকুনগুনিয়া পুরনো রোগ, আমাদের দেশে আগেও ছিল। এবার বিস্তৃতি বেশি হয়ে পড়ে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও এর আগে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, ‘মিডিয়ায় প্রচারের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই রোগ নিয়ে এক ধরনের প্যানিক তৈরি হয়েছে। জ্বর-শরীর ব্যথা হলেই এখন মানুষ সন্দেহ করছে চিকুনগুনিয়া!’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনের তথ্যে জানানো হয়েছে, গত ১২ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত আইইডিসিআরের ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া চিকুনগুনিয়া রোগীর সংখ্যা ৬৪৯ জন। এর বাইরের আক্রান্তদের তথ্য নেই আইইডিসিআরের কন্ট্রোলরুমে। তবে ১৩ জুলাই ঢাকাসহ চাঁদপুর, ভোলা, ঝিনাইদহ, যশোর, কুমিল্লা, মুন্সীগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে মোট ১১৮ জন হটলাইনে ও ৫১ জন সরাসরি কন্ট্রোলরুমে এসে চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চায় এবং পরামর্শ নেয় বলেও আইইডিসিআর সূত্র জানিয়েছে।

আইইডিসিআরের গবেষকরা জানান, ২০০৫ সালে ভারতে একদফা চিকুনগুনিয়ার ব্যাপক প্রকোপ দেখা দিলে তখনো একবার বাংলাদেশে এ সমীক্ষা চালিয়ে কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। দেশে চিকুনগুনিয়ার প্রথম রোগী ধরা পড়ে ২০০৮ সালে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে। ২০১১ সালে আবারও এর প্রকোপ দেখা দেয়। দোহারে ২৪৫ জনের রক্ত সংগ্রহ করে ৫২ জনের রক্ত পরীক্ষা করে ৩১ জনের দেহে চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস পাওয়া যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ১২ জনের দেহে চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ওই সময় তিনজন রোগীর দেহে চিকুনগুনিয়া শনাক্ত করা হয়।


ডেঙ্গু : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, চলতি ডেঙ্গু মৌসুমে ১২ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫৬৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সা নিয়েছে। যে হাসপাতালগুলো থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমে তথ্য জানানো হয়েছে শুধু সেই তথ্যই কন্ট্রোলরুমে সংরক্ষণ করা হয়। এর বাইরের কোনো খবর তাঁদের কাছে নেই বলে জানান ওই কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, যদি চিকুনগুনিয়ার সঙ্গে ডেঙ্গু আগের বছরগুলোর মতোই একই ধারায় দেখা যায় তবে এটা বিপজ্জনক হবে।

আইইডিসিআরের তথ্য অনুসারে, গত বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল দুই হাজার ৭৫৭ জন। মারা গেছে ছয়জন। সাধারণত জুন-জুলাই থেকে শুরু করে অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তার থাকে। তাই এবারও চিকুনগুনিয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগের কমতি নেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কমে গেলেও আক্রান্ত হওয়ার প্রকোপ কমছে না। ডেঙ্গুর উত্স বন্ধ হচ্ছে না বলেই এমনটা হচ্ছে।

ম্যালেরিয়া : মশাবাহিত আরেক ঘাতকব্যাধি ম্যালেরিয়া সারা বছর থাকলেও বর্ষা মৌসুমে প্রকোপ বেড়ে যায়। সরকারি তথ্যমতে, ২০১৬ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৭৩৭ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং মারা যায় ১৭ জন। আর এখন দেশে ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় দেড় কোটি মানুষ। ১৩ জেলায় এ রোগের বিস্তৃতি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শেরপুর ও কুড়িগ্রাম। তবে আক্রান্তদের প্রায় ৯৫ শতাংশই রয়েছে পার্বত্য চারটি জেলা ঘিরে। সে এলাকায় পর্যটক বা কর্মসূত্রে যাওয়া অন্যরাও এর ভয়ানক পরিণতির শিকার হয়।

ফাইলেরিয়ার ঝুঁকি : প্রায় সারা দেশেই ফাইলেরিয়ায় আক্রান্ত রোগী আছে। ফাইলেরিয়া বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন কালের কণ্ঠকে এমন তথ্য জানিয়ে বলেন, সাভার ফাইলেরিয়া হাসপাতালে প্রায় ৫৪ জেলা থেকে এই মৌসুমে ফাইলেরিয়ার ক্লিনিক্যাল রোগী আসছে। ওই বিশেষজ্ঞ তথ্য দিয়ে জানান, দেশে এখনো প্রায় ২০ লাখ মানুষ ফাইলেরিয়ায় আক্রান্ত। সরকার কয়েক বছর আগে এক জরিপের মাধ্যমে ১৯ জেলাকে ফাইলেরিয়ার মুক্ত বলে ঘোষণা দিলেও বাকি জেলাগুলোতে কোনো জরিপ হয়নি। ফলে ওই জেলাগুলো অরক্ষিত রয়ে গেছে। আবার ফাইলেরিয়ার চিকিত্সার সুযোগও এ দেশে খুবই সীমিত। ফলে আক্রান্ত রোগীরা বিকলাঙ্গ হওয়ার পথে। দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এ রোগের প্রকোপ বেশি থাকলেও রাজধানী ঢাকায়ও এ রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। ওই বিশেষজ্ঞ জানান, চারটি জাতের স্ত্রী মশা ফাইলেরিয়ার পরজীবী জীবাণু বহন করে থাকে। তবে বাংলাদেশে বেশি মাত্রায় এই পরজীবী (উচেরেরিয়া ব্যানক্রোফটি) বহন করে থাকে কিউলেক্স প্রজাতির স্ত্রী মশা। মানুষের ঘর-বসতির মধ্যেই এ ধরনের মশার বেশি বাস। তবে ঘরের আশপাশে নোংরা জলাশয়-নালা নর্দমায় এই মশা ডিম পাড়ে ও প্রজনন ঘটায়।

ডায়রিয়া : শীত, বর্ষা ও গরমে পালা করে দেশে প্রকোপ দেখা দেয় ডায়রিয়ার। এবার বর্ষা আগেভাগে চলে আসায় ডায়রিয়াও বিস্তার লাভ করেছে আগেভাগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ১১ জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার ২৮৬ জন আর মারা গেছে ছয়জন। আর গত এক মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ১২ জন। এর মধ্যে বন্যাকবলিত এলাকায় গত ১০ দিনেই  ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাত হাজার মানুষ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা.সানিয়া তহমিনা বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে আগামী তিন-চার মাস পর্যন্ত চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর সঙ্গে ডায়রিয়া বিস্তারের ঝুঁকিও আছে। তাই আমরা এ ব্যাপারে সর্তকতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছি।

সোয়াইন ফ্লু : দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা ‘এইচ১এন১’ বা ‘সোয়াইন ফ্লু’র মতো ভাইরাসের আক্রমণও আছে। সরকারের হিসাবমতে, শুধু মে মাসেই দেশের ১২টি হাসপাতালে ভর্তি ছিল ১১৭ জন সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত রোগী। চট্টগ্রাম ও কিশোরগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আগে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯ জন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত কারো মৃত্যু ঘটেছে কি না জানা না গেলেও এর আগে ২০০৯ সালের জুন থেকে গত বছর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই সোয়াইন ফ্লুতে কয়েকজনের মৃত্যু ঘটেছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি।

আইইডিসিআরের হসপিটাল বেইজ হিউম্যান ইনফ্লুয়েঞ্জা সার্ভিল্যান্স প্রতিবেদন খুঁজে দেখা যায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, কুমিল্লা, খুলনা, যশোর, সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলে মে মাসে বিভিন্ন সংখ্যায় মোট ১১৭ জন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিল। এর বাইরে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ঢাকা, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ ও নরসিংদীতে মোট ৯ জন ও এপ্রিল মাসে ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল ও দিনাজপুরে আরো ১০ জন সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত রোগী চিকিত্সা নিয়েছে। জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা শনাক্ত করতে গিয়ে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সেসব রোগী বিশেষ টিমের পর্যবেক্ষণে থাকলেও তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি নীতিগত কারণে। যদিও গত জুন মাসে আরো কোনো সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে কিনা তা জানা যায়নি। এ ছাড়া আইইডিসিআরের রিপোর্টও সম্পন্ন হয়নি।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা জানান, রুটিন হসপিটাল সার্ভিল্যান্সের আওতায় কয়েকটি জায়গায় সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্তসহ আরো কয়েকটি ইনফ্লুয়েঞ্জার নমুনা মিলেছে। এ বিষয়ে সব হাসপাতালে সর্তকতামূলক চিকিত্সা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা আছে। এইচ১এন১ পিডিএম০০৯কে (সোয়াইন ফ্লু) এখন একটি মৌসুমি ভাইরাস বলে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশে এটি এপ্রিল থেকে সেপ্টম্বর পর্যন্ত প্রকোপ থাকলেও জুন-জুলাই মাসে সর্বাধিক প্রাদুর্ভাব ঘটে।

কালাজ্বর : চলতি বছরের মধ্যে দেশ থেকে কালাজ্বর নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও দেশের ২৬ জেলায় এখনো চলছে কালাজ্বর প্রকোপ। এর বাইরেও বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে কালাজ্বরের ঝুঁকি। এবার বষা ামৌসুমে কালাজ্বরপ্রবণ এলাকায় স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে কালজ্বরের প্রকোপ আবার বেড়ে গেছে। বর্ষা মৌসুম যত দীর্ঘ হবে ততই এ বিপদ বাড়বে বলে জানিয়েছেন কীটতত্ত্ববিদরা। তাঁদের মতে, মশার মতোই এক ধরনের বেলেমাছির মাধ্যমে কালাজ্বর ছড়ায়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগে ৪২টিরও বেশি জেলায় কালাজ্বরের প্রকোপ ছিল। ২০০০ সাল থেকে দেশে কালাজ্বর নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। ফলে এর সংখ্যাগত প্রকোপ দিনে দিনে কমতে শুরু করে। বিশেষ করে ২০০০ সালে আক্রান্ত হয়েছিল সাত হাজার ৬৪০ জন এবং মারা যায় ২৪ জন। ২০০৬ সালে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ৯ হাজার ৩৭৯ জন মানুষ কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল; এর মধ্যে মারা যায় ২৩ জন। দেশে এক বছরে কালাজ্বরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ২০০২ সালে; মারা যায় ৩৬ জন। আর ২০০৯ সালের পর থেকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে।  

নিউমোনিয়া : শীতকাল শুধু নয়, বর্ষা মৌসুমেও এ দেশে নিউমোনিয়া লেগে থাকে। বিশেষ করে শিশুরা এর ঝূঁকিতে থাকে বেশি। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটছে না বরং এবার বর্ষা দীর্ঘায়িত হওয়ায় নিউমোনিয়ার প্রকোপও বেড়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. একে আজাদ চৌধুরী বলেন, এবারও এমন রোগী পাওয়া যাচ্ছে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, বিশ্বের মধ্যে নিউমোনিয়ার ঝুঁকিতে থাকা দেশের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। এখানে গড়ে বছরে প্রায় ৬০ লাখ লোক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়; এর মধ্যে ৫০ হাজারের মতো শিশুর মৃত্যু ঘটে, যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। প্রতিবছর বিশ্বে ২০ লাখ শিশুর মৃত হয় নিউমোনিয়ার কারণে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই সংখ্যা চার লাখের বেশি।

শ্বাসকষ্ট : দেশে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত। শীতের পাশাপাশি বর্ষাকালেও এ দেশে শ্বাসকষ্টের রোগীদের সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে হাঁপানি বা অ্যাজমা।   জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাজী সাইফউদ্দীন বেননুর বলেন, এবার বর্ষায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা খুব প্রকট হয়ে উঠেছে। হাসপাতালে-চেম্বারে রোগীদের ভিড় বেশি দেখা যায়। এর কারণ মনে হচ্ছে এবার আবহাওয়াটা খুব বেশি স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ তৈরি করছে। আর দীর্ঘমেয়াদি এমন পরিবেশ থাকায় নানা ধরনের জীবাণুর বিচরণ বেড়েছে। যা শ্বাসতন্ত্রে গিয়ে বাসা বাঁধছে।

চর্মরোগ : বর্ষা মৌসুমে দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলেই মানুষের মধ্যে দেখা দেয় নানা ধরনের চর্মরোগ। গ্রাম ও শহরের বস্তি এলাকায় এর প্রকোপ ভয়াবহ হয়।   বন্যাপ্রবণ এলাকাতে ডায়রিয়ার পরই অবস্থান থাকে চর্মরোগের। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে একদিকে আর্দ্রতার কারণে শরীর শুকাতে সময় নেয়, আবার নানাভাবে জলাবদ্ধতাও থাকে। সব মিলিয়ে বেশ কয়েক ধরনের চর্মরোগ বর্ষায় খুবই বেড়ে যায়।

Source:kalerkantho
Share:

Facebook

Search This Blog

News Archive

Blog Archive