Daily bangla news by JasHim News 24 all bd news live 24 hours in this field thanks for watching.

Thursday, May 18, 2017

চেক প্রতারণা: এমপি হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১৩ জুলাই

বৃহস্পতিবার শুনানির নির্ধারিত দিনে তার পক্ষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জালাল আহমেদ ১৩ জুলাই দিন ঠিক করেন।

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী শওকত হোসেন মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলাটিতে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিবাদী সময়ের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, জাতীয় পার্টির (জেপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান খলিল এককোটি টাকার চেক নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত বছরের ২২ অগাস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন।

আরজি থেকে জানা যায়, খলিলের কাছ থেকে হারুন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ধার হিসাবে বিভিন্ন সময়ে পাঁচ কোটি টাকা নেন। হারুন সেই টাকা পরিশোধের অংশ হিসেবে খলিলকে ন্যাশনাল ব্যাংকের ১ কোটি টাকার চেক দেন। ওই চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকে জমা দিলে হিসাবে ‘পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় ফেরত’ (ডিজঅনার) দেওয়া হয়।

পরে বাদী আইনজীবীর মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের জন্য বিবাদীকে লিগ্যাল নোটিস দেয়। তারপরও টাকা পরিশোধ না করায় আদালতে মামলা করেন।

সম্প্রতি বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণের মামলার ঘটনায় ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের এই সংসদ সদস্যের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান রেইনট্রি হোটেল বহুল আলোচিত।

বনানীতে আবাসিক এলাকায় কে ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর বাড়িতে চার তারকা ওই হোটেলটির মালিকানায় রয়েছে আল-হুমায়রা গ্রুপ, যার চেয়ারম্যান সাংসদ বজলুল হক হারুন।

হারুনের ছেলে এইচ এম আদনান হারুন হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেও তার আরেক ছেলে মাহির হারুন হোটেল দেখাশোনা করেন। হারুনের মেয়ে হুমায়রাও রেইনট্রির একজন পরিচালক।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবালের ভগ্নিপতি হারুন ব্যাংকটিতে পরিচালক হিসেবেও আছেন।

অভিযোগ রয়েছে, সাংসদ হারুনের ছেলে মাহিরের বন্ধু পরিচয়েই গত ২৮ মার্চ ওই হোটেলে উঠেছিলেন ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ। তার জন্মদিনের কথা বলেই দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই তরুণীকে।

ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীর একজনও ওই রাতে মাহির নামে একজনের দেখা পাওয়ার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন।

ধর্ষণের আলোচিত ঘটনার পর রেইনট্রি হোটেলে শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে অবৈধ মদ উদ্ধারসহ নানা অনিয়ম পাওয়ার কথা জানায়। ভ্যাট ফাঁকি, শুল্ক ফাঁকি ও মুদ্রা পাচার- এই তিন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতিও চলছে।

রেইনট্রির মালিকদের তলবও করা হয়েছে।
Source: Prothom Alo
Share:

0 comments:

Post a Comment

Facebook

Search This Blog

News Archive

Blog Archive