আজ ২৯ এপ্রিল। আজকের এই তারিখে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি বৃষ রাশির জাতক বা জাতিকা। আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা ২ ও ৬। গুরুত্বপূর্ণ দিন শুক্র ও সোমবার। শুভ রং—সবুজ, ক্রিম, মেরুন। শুভ রত্ন—পান্না, মুক্তো। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব—সম্রাট হিরোহিতো, টেনিস তারকা আন্দ্রে আগাসি, অভিনেতা ড্যানিয়েল ডে লুইস। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস:
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)
ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। যেকোনো চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। আপনার প্রেমিক মন আজ তার ঠিকানা খুঁজে পাবে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পেতে পারেন।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)
বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সাফল্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। আপনার প্রেমিক মন আজ তার ঠিকানা খুঁজে পাবে। বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া সুযোগ ফিরে আসতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ শুভ।
মিথুন (২২ মে-২১ জুন)
শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। প্রেমের ব্যাপারে কেউ আপনার মনের দরজায় আজ কড়া নাড়তে পারে। কোনো অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা পেতে পারেন। দূরের যাত্রা শুভ।
কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)
বেকারদের কারও কারও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আছে। জনসংযোগ ও প্রচারের কাজে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। ব্যর্থ প্রেমের সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ। স্বাস্থ্য ভালো যাবে।
সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)
ব্যবসায়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। বেকারদের কারও কারও বিদেশযাত্রার প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। সৃজনশীল কাজের জন্য সম্মাননা পেতে পারেন।
কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)
বেকারদের কারও কারও জন্য দিনটি সাফল্যের বার্তা বয়ে আনতে পারে। পাওনা আদায়ে কুশলী হোন। ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।
তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)
ব্যবসায়ে ঝুঁকি গ্রহণ করে লাভবান হতে পারেন। কোনো আইনি সমস্যার সমাধান হতে পারে। উচিত হচ্ছে না জেনেও কেউ কেউ পরীক্ষায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। শিক্ষার্থীদের কারও কারও বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)
চাকরিতে কারও কারও আটকে থাকা পদোন্নতির বিষয়ে নিষ্পত্তি হতে পারে। মামলা-মোকদ্দমার রায় আপনার পক্ষে যেতে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি শুভ। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকুন।
ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)
দিনটি শুরু হতে পারে প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া সুখবর দিয়ে। ব্যবসায়ে নতুন বিনিয়োগ আশার সঞ্চার করবে। পেশাজীবীদের কারও কারও পসার বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে।
মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)
ব্যবসায়িক লেনদেন শুভ। আজ আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে দূরে থাকুন। পাওনা আদায়ে অন্যের সহযোগিতা পেতে পারেন। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি বিশেষ শুভ।
কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)
দিনের শুরুতেই আর্থিক বিষয়ে কোনো সুখবর পেতে পারেন। যাবতীয় কেনাকাটায় লাভবান হতে পারেন। পাওনা আদায় হবে। প্রেমের ব্যাপারে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ শুভ।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)
শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য সম্মাননা পেতে পারেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হতে পারে। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি বিশেষ শুভ। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকুন।
Friday, April 28, 2017
আলো ছড়ানো নাবিলা By Jashim News
আয়নাবাজির জন্য সেই অর্থে আমরা নায়িকা খুঁজেছিলাম বলে ঠিক মনে পড়ে না। হৃদির মধ্যে একধরনের শান্ত উপস্থিতি আমাদের চাওয়া-পাওয়া ছিল। আর চরিত্রের মধ্যে একটা শিক্ষিত শহুরেপনার অবয়ব থাকতে হবে, সেই ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত ছিলাম। আমাদের এই দুই চাওয়া-পাওয়া যদি মেলান, তাহলে মাসুমা রাহমান নাবিলাকে দেখতে পাবেন। নাবিলার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে যে ও জানে ও কী জানে না। সে তার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সৎ, পরিশ্রমী ও কমিটেড। উপস্থাপক হিসেবে মঞ্চে উজ্জ্বল নাবিলা খুব ভালো জানত অভিনয় তার পরিচিত জায়গা নয়, তাই অমিতাভের (পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী) ওপর শতভাগ নির্ভরতা ছিল তার। অমিতাভকে গুরু মেনে যে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছে নাবিলা, তারই স্বীকৃতি এবারের মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে নাবিলার সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতা। ছোটবেলায় বেশ কয়েক বছর দেশের বাইরে কাটানোর কারণে এই শহরের অনেক অলিগলিই নাবিলার অচেনা। তাই আয়নাবাজিতে পুরান ঢাকায় তার পদচারণা কিংবা বুড়িগঙ্গার দিকে তাকিয়ে তার বিস্মিত হওয়া আসলে মেকি নয়। সব মিলিয়ে হৃদি চরিত্রের জন্য নাবিলার চেয়ে ভালো কেউ হতে পারত বলে আমার এখন আর মনে হয় না। নাবিলার যে ব্যাপারটা আমার প্রথমত নজর কেড়েছে, সেটা হচ্ছে, ওর মধ্যে কোনো বিষয়েই অতি উৎসাহ নেই। এটা আজকের এই মার্কেটিং আর ব্র্যান্ডিংয়ের যুগে খুব দুর্লভ। সবাই কোনো না কোনোভাবে অল্পবিস্তর সব বিষয়েই অতি উৎসাহ দেখানোর চেষ্টা করে এবং সেটা অধিকাংশ সময়েই ভীষণ বিরক্তিকর। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, ওর শেখার আগ্রহ অনেক। ও ধৈর্য ধরে শিখতে চায়, ভালো কাজের জন্যও সময় দিতে রাজি আছে, কোনো তাড়াহুড়ো নেই। আয়নাবাজির এত বড় সাফল্যের পরও নাবিলা কিন্তু ‘খুব ব্যস্ত নায়িকা’ হয়ে পড়েনি। আমার ধারণা, ও এখন সময় নিয়ে চারদিকটা বুঝতে চায়, পরবর্তী যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে। মোটামুটি কোনো কিছুর চেয়ে সবচেয়ে ভালোটার ব্যাপারে ওর আগ্রহ অনেক বেশি, তাই ওর গড্ডলিকায় গা ভাসিয়ে দেওয়ার আশঙ্কাও কম। নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝে এবং মেনে নিয়ে নাবিলা যদি এই সরল পথে চলতে পারে, তাহলে এই ইন্ডাস্ট্রিতে ও লম্বা ইনিংস খেলবে বলেই আমার মনে হয়। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় নাবিলা, একটু ছোট বয়সেই বাবাকে হারিয়েছে। এ কারণেই বোধ হয় ও বয়সের তুলনায় একটু বেশিই ম্যাচিউরড। আনন্দ বা দুঃখ কোনোটারই প্রকাশে খুব একটা পার্থক্য নেই। যেই মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম দেশে ফেরে, তার বাংলা এত পরিষ্কার আর গোছানো হয় কীভাবে, সেটাও একটা বিস্ময়। এতে পারিবারিকভাবেই বাংলার চর্চার প্রমাণ পাওয়া যায়, যেটা ছোটবেলা থেকেই তাকে একটা দেশীয় সংস্কৃতির আবহ দিয়েছিল বলে বোধ হয়। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর নাবিলার পড়াশোনার ব্যাপারে আগ্রহ আমাদের ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রির জন্য আশাজাগানিয়া। আমরা যদি ধরেই নিই সাধারণ মানুষ তারকাদের কাছ থেকে দেখে শেখে, তাহলে নাবিলাকে দেখে শেখাটা মন্দ হবে না। যে দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশেরও বেশি মানুষের বয়স ৩৫ বছরের নিচে, সেই দেশে নাবিলারাই আমাদের আশা-ভরসা। সেই আশার পালে খুব জোর হাওয়া লাগুক, নাবিলাদের হাত ধরে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, বাঙালির সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়। বাংলাদেশের জয় হোক। লেখক: আয়নাবাজি ছবির কাহিনিকার ও অন্যতম প্রযোজক
Source-Prothom alo
ঈদের পর বিয়ের খবর দিতে পারব By JasHim News
দেড় যুগ ধরে গানের সঙ্গে যুক্ত আছেন কনা। সাত বছর ধরে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে তারকা জরিপ বিভাগে সেরা গায়িকার পুরস্কারের দৌড়ে ছিলেন। গত বছর পর্যন্ত পুরস্কারটি অধরাই রয়ে গিয়েছিল। অবশেষে পাঠকের ভোটে এবার কাঙ্ক্ষিত সেই পুরস্কার জিতে গেলেন। ২০১৬ সালে সেরা গায়িকার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন কনা। এদিকে ইউরোপের তিন দেশে গান গাইতে গতকাল শুক্রবার ভোরে ঢাকা ছাড়েন এই শিল্পী। দেশের বাইরে যাওয়ার আগে পুরস্কার প্রাপ্তি ও অন্যান্য কাজ প্রসঙ্গে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বহুদিন পর গান গাইতে দেশের বাইরে যাচ্ছেন?
হ্যাঁ, বহুদিন পর। এবার গাইব জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও সুইডেনে। তিন দেশের মধ্যে শেষেরটিতে আগেও গিয়েছি। সুইজারল্যান্ড নিয়ে খুবই রোমাঞ্চিত।
কেন?
ওই দেশের অনেক গল্প শুনেছি। পরিচিতদের অনেকে বিয়ের পর হানিমুন করতে সুইজারল্যান্ডে যেতে চায়। ছবির মতো একটি দেশ। আরও দুই বছর আগে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। আমার সৌভাগ্য, মাকে নিয়ে সেই দেশে যাচ্ছি। মা জন্ম দিয়ে আমাকে পৃথিবী দেখিয়েছেন। আমার ইচ্ছা তাঁকে নিয়েই স্বপ্নের এই দেশটি ঘুরে দেখার। অবশেষে সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে।
সাতবার মনোনয়নের পর এবারই জিতলেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার...
আমার ধৈর্য অনেক। আমি সহজে নিরাশ হই না। ‘দিল দিল’ গানের জন্য এবার আমি পুরস্কার পেয়েছি। এবার কেন যেন আমার আব্বুও বলেছিলেন, ‘এই গানটা যেহেতু হিট হয়েছে, হয়তো পুরস্কার পেয়েও যেতে পারিস।’ তাই আব্বুও সঙ্গে গেছেন।
নতুন গানের ভিডিও আসবে কবে?
গত কয়েক দিনে তিনটি গানের ভিডিওর শুটিং করেছি। মনে হচ্ছে, সামনের ঈদে বেশ কয়েকটি গানের ভিডিও দেখতে পাবেন দর্শকেরা। দেশের বাইরে থেকে ফিরে এসে আরও দুটি গানের ভিডিওর শুটিং করব। নজরুলের একটি গানও থাকবে। এ বছরের পর বিশ্রামে যাব, তাই নাচানাচি যা করার করে নিচ্ছি।
বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
এ বছর হয়তো বিয়ের কাজটা সেরে নেব। সেভাবেই সব পরিকল্পনা এগোচ্ছে। ঈদের পর বিয়ের খবর দিতে পারব।
Source: Prothom Alo
Source: Prothom Alo
বিসিবির কাছে নিজেদের স্বার্থই বড় by JasHim Foundation
আইসিসির প্রস্তাবিত নতুন আর্থিক ও পরিচালনকাঠামোর কোনোটিতেই বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়নি। দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড সভা শেষে পরশু দেশে ফিরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান কাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন তাই হাসিমুখেই।
প্রস্তাবিত নতুন আর্থিক কাঠামো নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) আপত্তি ধোপে টেকেনি আইসিসির বোর্ড সভায়। ৯-১ ভোটে পাস হওয়া নতুন আর্থিক সংস্কার প্রস্তাব অনুযায়ী ভারত আইসিসির কাছ থেকে পাবে ২৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাদের দাবি ছিল ৫৭০ মিলিয়ন ডলার। যে দাবি পূরণে আইসিসি সভায় অন্য বোর্ডের মতো বাংলাদেশকেও পাশে পায়নি বিসিসিআই।
বিসিবি নিজেদের সিদ্ধান্তকে সঠিকই মনে করছে। কাল বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে নাজমুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রথম সভাতেই আপত্তি তুলেছিলাম আর্থিক বিষয়ে, টাকা যেভাবে ভাগ করা হয় এটার ভিত্তিটা কী? তখন হিসাব না করেই চ্যালেঞ্জ করেছিলাম অন্যদের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক কম টাকা পাচ্ছে। বাংলাদেশ এত কম পেতে পারে না। পরে নানা আলোচনার পর সবাই একমত, আরও বেশি টাকা প্রাপ্য বাংলাদেশের।’
২০১৪ সালে পাস হওয়া ‘তিন মোড়ল’ নীতি অনুযায়ী ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসির আয়ের ২৭ দশমিক ৪ শতাংশই নেওয়ার কথা ছিল বিসিসিআইয়ের। এই ৮ বছরে আইসিসি থেকে ভারতের প্রাপ্য ছিল ৫৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রস্তাবিত নতুন কাঠামোয় বিসিসিআই সেটি আর পাবে না। ভারতের কমলেও আয় বাড়ছে অন্য বোর্ডের। যে বাংলাদেশের আগে পাওয়ার কথা ছিল ৭৬ মিলিয়ন ডলার, এখন তারা পাবে ১৩২ মিলিয়ন। বছরে বিসিবির আগে পাওয়ার কথা ছিল সাড়ে ৯ মিলিয়ন ডলার, এখন সেটি হবে ১৬ মিলিয়ন। টাকার অঙ্কটা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়া আর সময়ের সঙ্গে ক্রিকেট-বাণিজ্যে প্রথম সারিতে অবস্থান করায় বিসিবি এই সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয়।
শুধু বাংলাদেশ কেন, আর্থিক সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতায় বিসিসিআই কাউকেই পাশে পায়নি। যদিও এ মাসের গোড়ায় বিসিসিআইয়ের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বিসিবির। এবং বিসিবি সভাপতির বক্তব্যে বিসিসিআইয়ের পক্ষে থাকারই আভাস পাওয়া গিয়েছিল। উদ্ভূত নতুন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেট-সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না তো? নাজমুল তা মনে করেন না, ‘ভারতের উদ্বেগ শুধু আর্থিক বিষয়ে। তাদের অনেক বিষয়েই আমরা সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ টাকা বেশি পাবে—এটির বিরোধিতা তো করতে পারব না। এ সুযোগ কখনোই ছাড়ব না। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বিসিসিআইও এই কাঠামোর বিরুদ্ধে নয়।’
ভারতীয় বোর্ডের আপত্তিটা কোথায়? বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ওদের আপত্তি টাকা ভাগাভাগির প্রক্রিয়া নিয়ে। তারা চাচ্ছে, ওদেরটাও ঠিক থাক, অন্যরাও বেশি পাক। এখনো জুন পর্যন্ত সময় আছে (আইসিসির বার্ষিক সভা জুনে)। আর্থিক বিষয়টা গঠনতন্ত্রের অংশ নয় বলে এটা হয়তো জুন পর্যন্ত যাবে না। তবু এর মধ্যে ওরা যদি গ্রহণ করার মতো কোনো প্রস্তাব দিতে পারে, সেটা মানব। তবে আমাদের কারও এক পয়সা কমতে পারবে না।’
ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর আইসিসিকে চাপে ফেলতে এখনো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেনি ভারত। বিসিবি সভাপতির আশা, শিগগিরই দল দিয়ে দেবে ভারত, ‘তারা ক্রিকেট-পাগল দেশ। জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তানের মতো ভারতের টাকার সংকট নেই। টাকার জন্য ওরা এটা করবে বিশ্বাস করি না। একটা পদক্ষেপ নিশ্চয়ই নেবে।’
Source: Prothom alo
নানা ভঙ্গিতে মাশরাফি-JasHim News
একটু পরেই দিতে হবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর। সামনে থাকা মাইক্রোফোনটা ঠিক করে নিচ্ছন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ছবি: প্রথম আলো
কোনো একটা প্রশ্ন শুনে একটু যেন চিন্তায় পড়ে গেলেন মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো
মনোযোগ দিয়ে প্রশ্ন শুনছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। ছবি: প্রথম আলো
মাশরাফি এমনই। প্রশ্নের উত্তরটা খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে তো বলেনই, ভালোভাবে বুঝিয়েও দেন। ছবি: প্রথম আলো
খুব ধীরেসুস্থে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো
হাস্যোজ্জ্বল: কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হেসেই ফেললেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। ছবি: প্রথম আলো
কোনো একটা প্রশ্ন শুনে একটু যেন চিন্তায় পড়ে গেলেন মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো
মনোযোগ দিয়ে প্রশ্ন শুনছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। ছবি: প্রথম আলো
মাশরাফি এমনই। প্রশ্নের উত্তরটা খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে তো বলেনই, ভালোভাবে বুঝিয়েও দেন। ছবি: প্রথম আলো
খুব ধীরেসুস্থে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো
হাস্যোজ্জ্বল: কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হেসেই ফেললেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। ছবি: প্রথম আলো
মোটরযান চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াল ভুটান
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে মোটরযান চুক্তি (বিবিআইএন-এমভিএ) থেকে সরে দাঁড়াল ভুটান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার এক প্রতিবেদনে আজ শুক্রবার এ কথা বলা হয়েছে।
হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, এই উপ-আঞ্চলিক মোটরযান চুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের পরিকল্পনা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। কারণ, গতকাল বৃহস্পতিবার ভুটান সরকার জানিয়ে দিয়েছে যে তারা এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে প্রস্তুত নয়। বিবিআইএন-এমভিএ নামের এ চুক্তিটি ভুটান ছাড়া বাকি সদস্য ভারত, বাংলাদেশ ও নেপালকে এগিয়ে নিতে আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
থিম্পুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভুটানের কোনো বাধ্যবাধকতা ছাড়াই তিন সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তি এগিয়ে নিতে রয়্যাল সরকার সম্মতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘মোটরযান চুক্তিসহ (বিবিআইএন-এমভিএ) ভুটান সরকার বিবিআইএনের (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল) প্রক্রিয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ভুটান এরই মধ্যে ভারতকে জানিয়ে দিয়েছে যে দেশটির পার্লামেন্টে বিরোধিতার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেরিং টবগে সরকার চুক্তিটি অনুমোদন করাতে পারেননি। এ ছাড়া আগামী বছর দেশটির সাধারণ নির্বাচনের কারণে ‘এই মুহূর্তে’ এ ধরনের চুক্তিটি পাস করাতে গিয়ে কোনো রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে চায় না ভুটান সরকার।
ভুটানের সরকারবিরোধী আইনপ্রণেতাদের আশঙ্কা, বিবিআইএন চুক্তি তাদের পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তা ছাড়া অন্য তিন দেশের যানবাহনকে অবাধ চলাচলের সুযোগ দেওয়া হলে তা ভুটানে বেকারত্ব সৃষ্টি করতে পারে।
২০১৫ সালে ১৫ জুন এ চুক্তি সই হয়। এরপরে গত বছরের নভেম্বরে বিবিআইএন-এমভিএ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য ভুটানের পার্লামেন্টে তোলা হয়েছিল। কিন্তু ১৫টি সুনির্দিষ্ট আপত্তির কথা জানিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন আইনপ্রণেতারা।
এদিকে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে মোটরযান চুক্তি (বিবিআইএন-এমভিএ) বাস্তবায়নে নয়াদিল্লি সম্ভবত ধীরে চলো নীতিতে চলতে চায়। চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভুটানের স্থানীয় পরিবহন সংস্থা ও ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে ভুটান সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চায় না ভারত। ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ও সরকারের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এতে আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন ভুটানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধানে আগ্রহী।
Source:Prothom alo
প্রেসিডেন্টের কাজ এত কঠিন আগে বুঝিনি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ শনিবার ১০০ দিন পূর্ণ করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এত দিনে তিনি বুঝেছেন, প্রেসিডেন্টের কাজ অনেক কঠিন! বলেছেন, ‘আমার ধারণা ছিল, এই কাজ আরও সহজ।’
দায়িত্বের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার আগে গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন এ কথা।
গত ৮ নভেম্বর নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন নিউইয়র্কের ধনাঢ্য এই ব্যবসায়ী।
সাক্ষাৎকারে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এখনকার চেয়ে বরং নিজের আগের জীবনকে ভালোবাসেন তিনি। বর্তমানের জীবনের কাজ আগের জীবনের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি গাড়ি চালাতে ভালোবাসি। কিন্তু এখন আর চালাতে পারি না।’ আগের জীবনে এখনকার মতো এতটা গোপনীয়তা বজায় রাখতে হতো না বলেও জানান তিনি। ২৪ ঘণ্টাই সিক্রেট সার্ভিসের সুরক্ষায় থাকার ব্যাপারে নিজেকে অভ্যস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘বাস্তবিক অর্থেই নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আবদ্ধ হয়ে ছোট্ট গণ্ডির মধ্যে থাকতে হবে আপনাকে। কারণ, আপনার এত বেশি সুরক্ষা থাকবে যে আপনি কোথাও যেতেও পারবেন না।’
রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরদিন গতকাল শুক্রবার ট্রাম্প কথা বলেন তাঁর দায়িত্বের এক শ দিন নিয়ে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পর হোয়াইট হাউসের ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা ১০০ দিনে যা করেছি, আমার মনে হয় না আর কেউ তা কখনো করতে পেরেছে। আমরা অনেক কাজ করেছি। তাই আমরা খুবই খুশি।’
১০০ দিনেই সাফল্য-ব্যর্থতার মূল্যায়ন ঠিক নয় এবং এটা যে যার মতো করে করেন বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘এত কাজ করেছি, যা আমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে করিনি।’
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিজীবন ছাড়াও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে বলেন, দেশটি যদি পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি থেকে সরে না আসে, তাহলে তাদের সঙ্গে ‘বড় ধরনের সংঘাত’ বেধে যেতে পারে।
কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়াকে নিজের দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের বড় আকারের সংঘাত বেধে যাওয়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমরা বিষয়টি কূটনৈতিকভাবেই সমাধানের পক্ষে, কিন্তু তা অত্যন্ত কঠিন।’ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, এই নেতা তুলনামূলক অল্প বয়সে দেশের ভার নিয়েছেন।
নিজেদের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বসাতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি চান, দক্ষিণ কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার খরচ বহন করুক। তাঁর হিসাব অনুযায়ী, এ জন্য খরচ হবে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যে মুক্তবাণিজ্যের চুক্তি রয়েছে, তা ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি জানান, এ নিয়ে হয় নতুন করে আলোচনা শুরু করবেন, নতুবা বাতিল করে দেবেন।
নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের (নাফটা) বিষয়েও ট্রাম্প একই মন্তব্য করেন। কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে এই চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের অপর মিত্র সৌদি আরব সম্পর্কে সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দেশটি তাঁর দেশের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করছে না এবং এ দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এ সময় জানান, আগামী মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে তিনি সৌদি আরব ও ইসরায়েল সফর করবেন।
সৌদি আরবের সামরিক সরঞ্জামের প্রধান সরবরাহকারী হলো যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরই সৌদি আরবকে এফ-১৫ যুদ্ধবিমানসহ কোটি কোটি ডলারের বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম দেওয়ার চুক্তি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। সেখানকার অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ উৎপাদনেও জড়িত আছে নানা মার্কিন কোম্পানি।
অবশ্য সৌদি আরবের সম্পর্কে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য এবারই প্রথম নয়। প্রায় এক বছর আগে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলার সময় তিনি বলেছিলেন, ‘কেউ সৌদি আরবকে ঘাঁটায় না, কারণ তাঁদের আমরা পেছনে আছি। কিন্তু তাঁরা এর ন্যায্য মূল্য দিচ্ছে না।’
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, আগামী মে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি আরব ও ইসরায়েলে তাঁর সম্ভাব্য সফরের ব্যাপারে প্রশাসনিক পর্যায়ে কথা হয়েছে। মে মাসের ২৫ তারিখে ব্রাসেলসে ন্যাটো সম্মেলনেও যোগ দেবেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই হবে তাঁর প্রথম বিদেশ সফর।
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) দমন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, তাদের শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে এবং তাদের পরাজয়টা হবে খুব করুণ। তবে জঙ্গি দমনে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনার কথা জানাননি তিনি।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে আবারও টেলিফোনে কথা বলা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, এই মুহূর্তে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে কোনো সমস্যায় জড়াতে চান না। গত বৃহস্পতিবার সাই ইং-ওয়েন বলেছিলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে হয়তো তিনি আবারও টেলিফোনে কথা বলবেন। বিষয়টি পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আমি খুব ভালো ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন করেছি। আমি বাস্তবিকই অনুভব করি, তিনি নিজের ক্ষমতায় যতটুকু সম্ভব, তার সবটুকু দিয়ে বড় একটা পরিস্থিতিতে আমাদের সহায়তা করছেন। আমি তাঁর জন্য এই মুহূর্তে কঠিন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে চাই না।’
গত ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর গত ডিসেম্বর মাসে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাতে টেলিফোন করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় বেইজিং।
Source: Prothom alo
Thursday, April 13, 2017
দিনভর গুলি, বোমা বিস্ফোরণ
দিনভর গুলি ও বিস্ফোরণের পর মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটে জঙ্গি আস্তানা ঘিরে সোয়াটের ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ স্থগিত করা হয়েছে। আলোকস্বল্পতার কারণে গতকাল সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করার কথা জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। আবহাওয়া ভালো থাকলে আজ শনিবার সকালে আবার অভিযান শুরু হবে বলে জানান তিনি।
মৌলভীবাজার শহরের এই বাড়ি জঙ্গি আস্তানা বলে সন্দেহ করে ৫৩ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’। এরপর সেখান থেকে দিনভর গোলাগুলি আর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। গণমাধ্যমকর্মীদের ওই বাড়ির ত্রিসীমানায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সেখানে কী ঘটছে তা জানা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রচুর বিস্ফোরকসহ বোমা তৈরিতে দক্ষ একজন ওই বাড়িতে আছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের নাসিরপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ শেষ হওয়ার পর ওই বাড়ি থেকে চার শিশু, দুই নারীসহ সাতজনের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধারের খবর জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মৌলভীবাজার পৌরসভার ভেতরে বড়হাট এলাকার আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসার গলিতে দোতলা একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে আস্তানা গেড়েছে জঙ্গিরা। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেটি শনাক্ত করে ঘিরে রাখা হয়। বুধবার ওই আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একজন কর্মকর্তা বলেন, বুধবার দিনের বিভিন্ন সময় ভবনের জানালা দিয়ে উঁকিঝুঁকি দিতে দেখা যায়। তাদের দেখামাত্রই পুলিশ গুলি ছুড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে, যাতে তারা পুলিশের দিকে গুলি বা বোমা ছুড়তে না পারে। তবে বুধবার রাত থেকেই ভবনটি থেকে তেমন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
গতকাল বড়হাটের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে জঙ্গি আস্তানার কাছ থেকে একটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এরপর থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার দিকেও গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলি ও বোমার শব্দে আশপাশের বাসাগুলোর শিশুরা প্রচণ্ড ভয়ে আছে। পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, গতকাল ভোরবেলা থেকেই অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় মৌলভীবাজার-সিলেট সড়ক। স্থানীয় লোকদের নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করে আবারও ১৪৪ ধারা জারির কথা ঘোষণা করা হয়। সকালবেলায় জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ জালাল নিজে উপস্থিত থেকে যানবাহন চলাচল ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেন। গণমাধ্যমকর্মীদেরও জটলা পাকিয়ে থাকতে নিষেধ করা হয়। সকাল আটটার দিকে বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটের সদস্যরা মাদ্রাসা গলিতে ঢোকেন। ৯টা ৫২ মিনিট থেকে গুলির শব্দ শুরু হয়। সকাল ১০টা ৮ মিনিট পর্যন্ত টানা গুলি চলে। সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন সদস্যকে ইলেকট্রিক করাত, রশি, দা, কুড়াল নিয়ে জঙ্গি আস্তানার দিকে যেতে দেখা যায়। অভিযান চলাকালে কখনো টানা বা কখনোবা থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যায়। দফায় দফায় বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। পুলিশের দাবি, আস্তানার ভেতর থেকে জঙ্গিরা এ বিস্ফোরণগুলো ঘটাচ্ছে।
বেলা একটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের কনস্টেবল কায়সরকে আহতাবস্থায় নিয়ে যেতে দেখা যায়। জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন-উদ-জামান বলেন, বিস্ফোরণে হয়তো জানালার কাচ ভেঙে তা উড়ে এসে ওই পুলিশ সদস্যের গায়ে লেগেছে। বেলা দুইটার দিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মুঠোফোনের খুদে বার্তায় বলেন, পুলিশ সদস্যের গায়ে খালি কার্তুজের আঘাত লেগেছে।
গতকাল অভিযান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর সকালে ও সন্ধ্যায় দুই দফায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মনিরুল ইসলাম। বেলা ১১টার দিকে বড়হাটে মূল সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে মনিরুল বলেন, ‘এখানে একাধিক জঙ্গি অবস্থান নিয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। গত বৃহস্পতিবারও তারা একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। বৃহস্পতিবার তারা গুলিও করেছে। সিলেটের জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনার সূত্র ধরে এখানে এ বাসাটি চিহ্নিত করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে সোয়াটের অভিযান শুরু হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন ম্যাক্সিমাস। এটি একটি জটিল অভিযান। আমাদের কাছে খবর আছে, প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরকসহ একজন বিস্ফোরক তৈরিতে বিশেষজ্ঞ জঙ্গি এখানে রয়েছে।’
সন্ধ্যা সাতটার দিকে দ্বিতীয় দফা ব্রিফ করেন মনিরুল। তখন তিনি বলেন, আলোকস্বল্পতার কারণে অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকা সাপেক্ষে সকাল থেকে আবারও শুরু হবে। ওই বাড়িটিতে এখন কেউ জীবিত আছে কি না জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, ‘আপনারা বোধ হয় এখান থেকে শুনেছেন, কিছু ব্লাস্ট (বিস্ফোরণ) হয়েছে। বেশ কয়েকটি বোম্ব ব্লাস্ট তারা ভেতর থেকে করেছে। সোয়াটের আভিযানিক দল যখনই সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেছে, তখনই তারা ভেতর থেকে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। এই অভিযানটি অপেক্ষাকৃত জটিল। কেননা যে বাড়িটিতে তারা অবস্থান নিয়েছে, সেখানে অনেকগুলো কামরা রয়েছে। সে কারণেই অভিযান শেষ হতে আরেকটু সময় লাগবে। অভিযান স্থগিত করা হলেও গত কয়েক দিনের মতো বাড়িটি ঘিরে রাখবে পুলিশ।’
অভিযান স্থগিত ঘোষণা করার সোয়া এক ঘণ্টা পর বৃষ্টির মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে আবারও গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এদিকে অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা বলেন, গত কয়েক দিনে বাড়িটির জানালার কাচগুলো গুলি করে ভাঙা যায়নি। গুলিতে সেগুলো ফুটো হয়ে গেলেও ভেঙে পড়ছে না। এগুলো গাড়ির কাচের মতো বা প্লাস্টিকের কাগজের প্রলেপযুক্ত।
এদিকে জঙ্গি আস্তানায় গোলাগুলির শব্দে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জঙ্গিনেতা সৈয়দ জিয়াউল হকের বাড়ি এ জঙ্গি আস্তানা থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে। এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা জল্পনা ও আতঙ্ক রয়েছে।
Source: Prothom alo dot com
মৌলভীবাজার শহরের এই বাড়ি জঙ্গি আস্তানা বলে সন্দেহ করে ৫৩ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’। এরপর সেখান থেকে দিনভর গোলাগুলি আর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। গণমাধ্যমকর্মীদের ওই বাড়ির ত্রিসীমানায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সেখানে কী ঘটছে তা জানা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রচুর বিস্ফোরকসহ বোমা তৈরিতে দক্ষ একজন ওই বাড়িতে আছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের নাসিরপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ শেষ হওয়ার পর ওই বাড়ি থেকে চার শিশু, দুই নারীসহ সাতজনের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধারের খবর জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মৌলভীবাজার পৌরসভার ভেতরে বড়হাট এলাকার আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসার গলিতে দোতলা একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে আস্তানা গেড়েছে জঙ্গিরা। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেটি শনাক্ত করে ঘিরে রাখা হয়। বুধবার ওই আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একজন কর্মকর্তা বলেন, বুধবার দিনের বিভিন্ন সময় ভবনের জানালা দিয়ে উঁকিঝুঁকি দিতে দেখা যায়। তাদের দেখামাত্রই পুলিশ গুলি ছুড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে, যাতে তারা পুলিশের দিকে গুলি বা বোমা ছুড়তে না পারে। তবে বুধবার রাত থেকেই ভবনটি থেকে তেমন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না।
গতকাল বড়হাটের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে জঙ্গি আস্তানার কাছ থেকে একটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এরপর থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার দিকেও গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলি ও বোমার শব্দে আশপাশের বাসাগুলোর শিশুরা প্রচণ্ড ভয়ে আছে। পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, গতকাল ভোরবেলা থেকেই অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় মৌলভীবাজার-সিলেট সড়ক। স্থানীয় লোকদের নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করে আবারও ১৪৪ ধারা জারির কথা ঘোষণা করা হয়। সকালবেলায় জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ জালাল নিজে উপস্থিত থেকে যানবাহন চলাচল ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেন। গণমাধ্যমকর্মীদেরও জটলা পাকিয়ে থাকতে নিষেধ করা হয়। সকাল আটটার দিকে বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটের সদস্যরা মাদ্রাসা গলিতে ঢোকেন। ৯টা ৫২ মিনিট থেকে গুলির শব্দ শুরু হয়। সকাল ১০টা ৮ মিনিট পর্যন্ত টানা গুলি চলে। সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন সদস্যকে ইলেকট্রিক করাত, রশি, দা, কুড়াল নিয়ে জঙ্গি আস্তানার দিকে যেতে দেখা যায়। অভিযান চলাকালে কখনো টানা বা কখনোবা থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যায়। দফায় দফায় বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। পুলিশের দাবি, আস্তানার ভেতর থেকে জঙ্গিরা এ বিস্ফোরণগুলো ঘটাচ্ছে।
বেলা একটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের কনস্টেবল কায়সরকে আহতাবস্থায় নিয়ে যেতে দেখা যায়। জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন-উদ-জামান বলেন, বিস্ফোরণে হয়তো জানালার কাচ ভেঙে তা উড়ে এসে ওই পুলিশ সদস্যের গায়ে লেগেছে। বেলা দুইটার দিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মুঠোফোনের খুদে বার্তায় বলেন, পুলিশ সদস্যের গায়ে খালি কার্তুজের আঘাত লেগেছে।
গতকাল অভিযান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর সকালে ও সন্ধ্যায় দুই দফায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মনিরুল ইসলাম। বেলা ১১টার দিকে বড়হাটে মূল সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে মনিরুল বলেন, ‘এখানে একাধিক জঙ্গি অবস্থান নিয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। গত বৃহস্পতিবারও তারা একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। বৃহস্পতিবার তারা গুলিও করেছে। সিলেটের জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনার সূত্র ধরে এখানে এ বাসাটি চিহ্নিত করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে সোয়াটের অভিযান শুরু হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন ম্যাক্সিমাস। এটি একটি জটিল অভিযান। আমাদের কাছে খবর আছে, প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরকসহ একজন বিস্ফোরক তৈরিতে বিশেষজ্ঞ জঙ্গি এখানে রয়েছে।’
সন্ধ্যা সাতটার দিকে দ্বিতীয় দফা ব্রিফ করেন মনিরুল। তখন তিনি বলেন, আলোকস্বল্পতার কারণে অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকা সাপেক্ষে সকাল থেকে আবারও শুরু হবে। ওই বাড়িটিতে এখন কেউ জীবিত আছে কি না জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, ‘আপনারা বোধ হয় এখান থেকে শুনেছেন, কিছু ব্লাস্ট (বিস্ফোরণ) হয়েছে। বেশ কয়েকটি বোম্ব ব্লাস্ট তারা ভেতর থেকে করেছে। সোয়াটের আভিযানিক দল যখনই সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেছে, তখনই তারা ভেতর থেকে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। এই অভিযানটি অপেক্ষাকৃত জটিল। কেননা যে বাড়িটিতে তারা অবস্থান নিয়েছে, সেখানে অনেকগুলো কামরা রয়েছে। সে কারণেই অভিযান শেষ হতে আরেকটু সময় লাগবে। অভিযান স্থগিত করা হলেও গত কয়েক দিনের মতো বাড়িটি ঘিরে রাখবে পুলিশ।’
অভিযান স্থগিত ঘোষণা করার সোয়া এক ঘণ্টা পর বৃষ্টির মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে আবারও গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এদিকে অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা বলেন, গত কয়েক দিনে বাড়িটির জানালার কাচগুলো গুলি করে ভাঙা যায়নি। গুলিতে সেগুলো ফুটো হয়ে গেলেও ভেঙে পড়ছে না। এগুলো গাড়ির কাচের মতো বা প্লাস্টিকের কাগজের প্রলেপযুক্ত।
এদিকে জঙ্গি আস্তানায় গোলাগুলির শব্দে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জঙ্গিনেতা সৈয়দ জিয়াউল হকের বাড়ি এ জঙ্গি আস্তানা থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে। এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা জল্পনা ও আতঙ্ক রয়েছে।
Source: Prothom alo dot com